"আতঙ্ক".......

in hive-129948 •  4 years ago 

আসসালামু আলাইকুম,

সবাই কেমন আছেন?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আল্লাহ তায়ালার দয়ায় ভালো আছি।আজকে আমি এই মহামারির কিছু বাস্তব চিত্র আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টটা করব।আশা করি আপনারা বিষয়টা বুঝতে পারবেন।

post-natal-depressed-woman.jpg

Image

আজ বিশ্বের সব দেশ ও দেশের মানুষ এক অজানা অদৃশ্য ভাইরাসের আতঙ্কে তাদের দিনগুলো পার করছেন।ভাইরাসটার নাম আমাদের সবারই জানা,, "করোনা ভাইরাস"।এটি এমন একটা ভাইরাস যাতে শত শত মানুষের জীবন এক সেকেন্ডেই কেরে নিতে পারে।আজ দেশের সব মানুষ যেন নিজেদের জীবন নিয়ে ভয়ে ভয়ে বেঁচে আছে।কেউ যেন মনটা খুলে হাসঁতে ভুলে গেছে।দেখা দিয়েছে মানুষের দুঃখ -কষ্ট।কেউ আর আগের মতো বাইরে বেড়াতে পারে না,আড্ডা দিতে পারে না।বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বন্ধ রাখা হয়েছে অনেক অফিস, দেওয়া হচ্ছে মাঝে মাঝে করা লকডাউন। দেশে দিনে দিনে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।আতঙ্ক বেড়েছে মানুষের মনে।হাসপাতালগুলো হিমশিম খাচ্ছে রোগীদের সামলাতে।দেখা দিয়েছে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সরন্জামের সংকট।করোনা পরিক্ষার ল্যাবেও দেখা দিয়েছে সংকট।

এই মহামারির সময় আমাদের সবারই উচিত সকল ধরনের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা।বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, নিদির্ষ্ট দূরুত্ব মেনে চলতে হবে।আর প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া উচিত নয়।কিন্তু এর মাঝে এমন কিছু মানুষ আছে যারা কোনো নিয়ম মানতে চায় না।তারা বাইরে গেলে সামাজিক দূরত্ব মানা তো বাদ দিলাম। মুখে মাস্ক পর্যন্ত পরে না।আবার যারাও পরে তারা গলায় ঝুলিয়ে রাখে।কিন্তু আজ আমাদের যেখানে সব চেয়ে বেশি সচেতন থাকার দরকার ছিল।কিন্তু সেখানে আজ আমরা সবচেয়ে বেশি নিয়মের ব্যতিক্রম হয়ে চলছি।ছোট ছোট বাচ্চারা যেখানে সব সময় বাইরে খেলা করত।কিন্তু আজ সেখানে তারা বাইরে বের হতে পাচ্ছে না।সারা দিন বাড়ীর ভিতরে থাকতে থাকতে তারা হাসঁতে ভুলে গেছে।তারা যেন জেল খানায় আটকা রয়েছে।তারা তাদের ইচ্ছা মতো ঘুরতে পারছে না।তাদের মনেও যেন আতঙ্ক বাধা দিয়েছে।

আজ যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তারা সবচেয়ে বড় অবহেলিত। তাদের কাছে কেউ মন থেকে যেতে চায় না।নিজের আপন জনও যেন তাকে দূরে ঢেলে দিতে চায়।যাদের বাড়ীতে এরকম একটা রোগী থাকে তাদের বাড়ী করে দেওয়া হয় লকডাউন। সেখান থেকে কেউ বাইরে আসতে পারে না।কেউ তাদের বাসায় যেতেও পারে না।তারা যেন সমাজের সব চেয়ে অবহেলিত পরিবারে পরিণত হয়।বাজারে গেলে প্রশাসনকে দিতে হয় হাজারও প্রশ্নের উত্তর।আর উত্তর না দিলে,, দিতে হয় জরিমানা।এখন যদি আমাদের কারুর একটু ঠান্ডা বা জ্বর হয় তাহলে আমরা আতঙ্কেই যেন মরে যায়।কেউ যেন তার কাছে যেতে ভয় পায়।যদি তারও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত করে।তাদের সাথে যেন মেলামেশা বন্ধ হয়ে যায়।এখন যেনো এমন হয়েছে।সামান্য জ্বর হলেও পরিক্ষা করাতে গেলে করোনা আক্রান্ত বলে ধরে নিচ্ছে। এই সব ভয়ের কারণে আজ অনেক মানুষ পরিক্ষা করাতে যেতে চায় না।বাড়ীর আশে পাশে যদি কারুর এই রোগ হয় তাহলে সেই এলাকায় অন্য এলাকার মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়।

আজ প্রায় দুইটা বছর আমার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায়,আমি বাসায় থাকছি।আমার নিজেরই আর বাসায় থাকতে ভালো লাগে না।সারাটা দিন বাসায় থাকতে হয়,বাইরে বের হওয়া যায় না।সব সময় যেন আতঙ্কে দিন পার করতে হয়।বাড়ী থেকে সব সময় বলে বেশি বাইরে যাওয়ার দরকার নাই। দেশের অবস্থা বেশি ভালো না।আতঙ্কে আতঙ্কে থাকতে হয় কখন যেন এই অজানা ভাইরাস আমাদের জীবনে না বাসা বাধে।সব সময় মানতে হয় স্বাস্থ্য বিধি।নিজের স্বাধীন মতো কিছু করা যায় না।সামনের ভবিষ্যৎটা যেন অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে।সারা দিন ফোন নিয়ে থাকাটা যেন আমাদের একটা অভ্যাসে দারিয়েছে।এটা এক ধরনের নেশার মতো কাজ করে।এতে আমাদের সকল ধরনের মানুষের মানুষিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমরা ভুগছি মানুষিক সমস্যায়।সব সময় যেন একটা চিন্তার মধ্যে থাকতে হয়।

গ্রামের বাইরে থাকা লোক যখন বাসায় ফেরেন।তাকে মানতে হয় বিভিন্ন ধরনের নিয়ম, ১৪ দিন থাকতে হয় কোয়ারেন্টাইনে। কারুর সাথে কথা বলা, দেখা করা যায় না।দেশের বাইরে থেকে যখন বাসায় কেউ আসে। তাদের বাসায় টানিয়ে দিয়ে যাওয়া হয় লাল পতাকা।যাতে সেই বাসায় কেউ না যায় এবং সেখান থেকেও যাতে কেউ বাইরে না আসতে পারে।এর মাঝেও কিছু মানুষ কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করে বাইরে অবাদ ভাবে চলাফেরা করে।তাদের জন্য সমস্যায় পরে সাধারণ মানুষ।মহামারির এই সময়ে সব চেয়ে বেশি আতঙ্কে বাস করছেন গরিব, খেটে খাওয়া অসহায়, মানুষ।তারা ভয়ে বাইরে যেতে পারছেন না কাজ করতে।আর কাজ না করলে তাদের পরিবারের খাবার জোগার করা কষ্ট সাধ্য হয়ে পরে।আমরা নিজের কিছু হলেই যেন আতঙ্কেই কাতর হয়ে পরি।না যানি আমার কি হয়ে যায়।তাই আমাদের সবার উচিত আতঙ্কিত না হয়ে, সচেতন ভাবে বেঁচে থাকা।সকল প্রকার স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা।যাতে এই অদৃশ্য ভাইরাস থেকে আমরা কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পেতে পারি।বাইরে গেলে আমরা সবাই অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করব।বার বার সাবান পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।

আসুন আমরা সবাই করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে,, সকল স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার চেষ্টরা করি।ঘন ঘন সাবান পানি দিয়ে হাতধুই এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলব।সবাই ভালো থাকবেন।



Cc:
@rme
@justyy
@rex-sumon
@curators
@hafizulla.



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ধন্যবাদ ভাই,
হ্যা বর্তমান সময়টি খুবই নাজুক আমাদের জন্য, এই ক্ষেত্রে আমরা যতটা সতর্ক এবং সচেতন থাকতে পারবো ততটা সুস্থ্য থাকা আমাদের জন্য সহজ হবে। বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সবাই সংগ্রামী এখন। ধন্যবাদ

ধন্যবাদ ভাইয়া।আমার পোষ্টটা পড়ে আপনার মতামতটা জানানোর জন্য।

সময়টা আসলেই খুবই কঠিন যাচ্ছে। যাইহোক আমরা ভীষণ আশাবাদী যে একটা সময় পৃথিবী আবার সুস্থ হবে আবার ভালো সময় কাটাবো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাল লিখেছেন।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আমার পোষ্টটা পড়ে আপনার মতামতটা জানানোর জন্য।