ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্ব টিকে থাকুক যুগ যুগ ধরে

in hive-129948 •  last month 

আসসালামু আলাইকুম/🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


বাংলাদেশ ও ভারত দুটি আলাদা রাষ্ট্র হলেও এর উৎপত্তি একই জায়গা থেকে। মূলত আমরা ছিলাম ভারতবর্ষ। আর ভারতবর্ষের মধ্যেই ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশ সকলেই একসাথে আমরা ছিলাম।একটি জাতি বা একটি গোষ্ঠীর ইতিহাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না, ইতিহাস আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমরা কোথা থেকে জন্মগ্রহণ করেছি। আমরা যদি আমাদের ইতিহাস ভুলে যায়। তাহলে আমরা সঠিক পথ হারাবো। মূলত ইতিহাসই আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় আমাদের পূর্ব পরিচয়। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই পূর্ব পরিচয় জানা আবশ্যক। আমরা যদি আমাদের পূর্ব পরিচয় না জানি তাহলে আমরা পথ হারা হয়ে যাব। আমরা সঠিক জন্ম খুঁজে পাবো না। তাই প্রত্যেকটা দেশ, প্রত্যেকটা জাতির পূর্ব ইতিহাস আমাদের জানতে হবে। আমরা কোথা থেকে জন্মগ্রহণ করলাম। আমরা কিভাবে বাংলাদেশ পেলাম।


IMG_20241203_135527.jpg

ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পরে ভারত পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্র জন্ম হয়। একটি ছিল পূর্ব পাকিস্তান, আপরটি পশ্চিম পাকিস্তান। আমরা ছিলাম পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বাংলাদেশ ছিল পূর্ব পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রদেশ হিসাবে আমরা তখন থাকতাম, কিন্তু আমরা ছিলাম তখন পরাধীন জাতি। একটি জাতি পরাধীন ভাবে বেঁচে থাকতে অনেক বেশি কষ্ট হয়। সে জাতির উপরে সব সময় নির্যাতন এবং বৈষম্য তৈরি হয়ে থাকে।পশ্চিম পাকিস্তান আর পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে ঠিক তেমনটাই হয়েছিল। সবদিক থেকে পূর্ব পাকিস্তান যেন অন্যায় অত্যাচারে শিকার হতো। যার কারণে বাঙালি জাতি তাদের আত্মসম্মান এবং অধিকার এবং মাতৃভাষার জন্যই তারা স্বাধীন হওয়ার পথ খুঁজে নেয়। আর স্বাধীনতার যুদ্ধে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে।


দীর্ঘ নয়টি মাস রক্তক্ষয় যুদ্ধ চলতে থাকে। এই যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালিদের যেন পশুর মত নির্মমভাবে হত্যারই মেতে ওঠে।তারা শুধু বাঙালি জাতির উপরে হত্যায় মেতে ওঠেনি। তারা অন্যায় অত্যাচারও শুরু করে। নিরীহ মা-বোনদের ইজ্জতের উপরেও তারা হামলা করে। আর এমত অবস্থায় আমাদের পাশের বন্ধুদেশ ভারত একমাত্র বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ার। তারা শুধু আমাদের সাথে পাশেই থাকেনি তারা বাঙালিদেরকে যুদ্ধের জন্য ট্রেনিং দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ করার জন্য, তারপরে তারা নিজের হাতে যৌথ বাহিনী গঠন করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাংলাদেশের আশে পাশে অন্যান্য দেশও ছিল, চীন ছিল বাংলাদেশের মুক্তি যোদ্ধের বিরোধী দেশ।একমাত্র বন্ধু দেশ ভারতী বাংলাদেশের হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যৌথ বাহিনী গঠন করে দেশকে স্বাধীন করেছে। সেই থেকেই যেন আমাদের প্রিয় বন্ধু দেশ ভারত আমাদের বাংলাদেশ সকল বিপদে আপদে অর্থ ও বুদ্ধি দিয়ে আমাদের পাশে সব সময়ই রয়েছে।


ভারতের অবদান আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না। কারণ যারা আমাদের এই বাংলাদেশ জন্ম হতে সহায়তা করেছে। যারা জীবন বাজি রেখে বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ করেছে। তাই ভারত আমাদের প্রাণপ্রিয় বন্ধু দেশ। বন্ধু ছাড়া যেমন লাইফে আনন্দ হাসি খুঁজে পাওয়া যায় না। জীবনটাকে উপভোগ করা যায় না। ঠিক ভারতের মত বন্ধুদের ছাড়া আমরা কখনোই চলতে পারবো না। কিছুদিন হলো দেখতে পাচ্ছি আমাদের দেশের মধ্যে কিছু খারাপ মানুষ রয়েছে।যারা ভারতের মহান পতাকাকে অবমানোনা করেছে।জাতীয় পতাকা একটি দেশের মহান সম্পদ। জাতীয় পতাকা একটি দেশের প্রতীক। যে পতাকার উপরের নির্ভর করে দেশের পরিচয়। আর পতাকায় যেন দেশের প্রধান সম্পদ আর এই পতাকাকে অবমাননা করা মানে দেশকে অবমাননা করা। দেশের মানুষকে অবমাননা করা। আর ভারত আমাদের এত বড় একটি বন্ধু দেশ। ভারত আমাদের এত বড় উপকার করেছে এবং প্রতিনিধি উপকার করে যাচ্ছে।


যে কোন দেশের পতাকে অবমাননা করা দ্বন্দ্বনীয় অপরাধ বলে আমি মনে করি। আর বাংলাদেশের কিছু খারাপ মানুষ রয়েছে। আসলে প্রত্যেকটা দেশ, বা প্রত্যেকটা পরিবারে কিছু খারাপ মানুষ থাকে। যাদের কারণে পুরো পরিবার এবং পুরো দেশের বদনাম হয়। একটি পরিবারে দুই একজন খারাপ মানুষ থাকলে সেই পরিবারটা যেন খারাপে পরিণত হয়ে যায় সবার কাছে। ঠিক তেমনি কিছু খারাপ মানুষের কারণে বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষ খারাপ হয়ে যাচ্ছে।


যারা একটি দেশের পতাকাকে পায়ের নিচে ফেলে অপমান করতে পারে, তারা স্বার্থের কারণে নিজের দেশের পতাকা কেউ ছুড়ে ফেলতে পারে এবং পায়ের নিচে ফেলতে পারে।এইসব মানুষ সুবিধাবাদী মানুষ। যারা শুধু স্বার্থের জন্য ভালোবাসা দেখায়। এদের ভিতরে প্রকৃত দেশপ্রেম নেই। যদি প্রকৃত দেশপ্রেম থাকতো। তাহলে ইতিহাস জানত। আর ইতিহাস জানলে কখনোই এই নির্লজ্জ বেহায়া কাজ করতে পারত না। তাই এই সব মানুষদের আমি ঘৃণা করি এবং তাদের যেন কঠিন শাস্তি হয় সেটাই চায়। আসলে দেশের পতাকাকে অবমাননা করা খুবই খারাপ কাজ।তাই আমি এর বিপক্ষে প্রতিবাদ জানাই। আর ভারত আমাদের বন্ধু দেশ।তারা সবসময় আমাদের পাশে আছে এবং আমরা মিলেমিশে থাকবো এটাই আমি কামনা করি। ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়ুক আমার দেশ তোমার দেশ মোদের প্রিয় বাংলাদেশ ও ভরতের মধ্যে।


ভারত প্রতিনিয়ত আমাদের সাহায্য করে যাচ্ছে। আর আমরা আশাবাদী সারা জীবন যেন এভাবে ভালোবাসার বন্ধনে দুটি দেশ একত্রে থাকবে, এই ভালোবাসা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাব। আমাদের নতুন প্রজন্মকে আমরা ইতিহাস শিখাবো এবং তাদেরকে ভারত আমাদের কত উপকার করেছে সেই ইতিহাস আমরা শোনাবো। ভালোবাসা দুটি দেশের মধ্যে আবারো বন্ধ মিলিত হোক এবং ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়ুক দুটি দেশের প্রত্যেকটা মানুষের হৃদয়ে। এভাবেই যেন আমরা একে অপরের বন্ধু হয়ে সারা জীবন থাকতে পারি এই দোয়া করি।🙏🤲🙏

আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

ঐতিহাসিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে গেলে বলতে হয় আমরা ভারতের কাছে ঋণী। তবে কথা সেটা নয়,প্রতিটা দেশের একটি নিজস্ব জাতীয় প্রতীক রয়েছে তাদের পতাকা। আমাদের কারোর রাইট নেই সেই পতাকা কে অসম্মান করা। যারা এই কাজগুলো করেছে তারা কখনো চায় না দু'দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব থাকুক সারাজীবন। তাদের মতো মানুষদের যেনো শুবুদ্ধি হয় এই দোয়া করি। কাউকে অসম্মান কিংবা ছোট করে নিজে কখনও ভালো থাকা যায় না। তাই হিংসা বিদ্বেষ ভুলে বন্ধুত্ব অটুট থাকুক এটাই চাই।

ইতিহাসটাকে সুন্দর করে মনে করালেন ভাই। মানুষ যখন ইতিহাস ভুলে যায় এবং আবেগের উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে তখন বারবার ভুল করে ফেলে। এক্ষেত্রেও ঠিক তাই হচ্ছে। ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সম্পর্ক আজকের নয়। এই সম্পর্ক বহুদিন ধরে চলে আসছে। কিন্তু আজ কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ এই সম্পর্ককে ভুলে দুই দেশের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করছে।