বন্ধুত্বের বন্ধন //পর্ব-১

in hive-129948 •  3 months ago 

আসসালামু আলাইকুম/🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


জীবনে চলার পথে হাসিখুশি এবং আনন্দের সাথে চলতে হলে বন্ধুত্বের বন্ধন যেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বন্ধু ছাড়া লাইফে আনন্দ হাসি যেন কিছুই বোঝা যায় না। আসলে যার প্রিয় বন্ধু নেই, সে বোঝে বন্ধু ছাড়া তার জীবনটা কতটা অর্থহীন হয়ে যায়। আর বন্ধুর সাথে ভ্রমণের মুহূর্ত বন্ধুর সাথে ঘোরাফেরার মুহূর্তগুলো সত্যি অসাধারণ। জীবনকে আনন্দময় এবং জীবনকে উপভোগ করতে হলে বন্ধু থাকতেই হবে। আর বন্ধুদের সাথে দারুন কিছু মুহূর্ত উপভোগ করা হয়। আর জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্তগুলোই যেন কাটানো হয় এই বন্ধুত্বের সাথে। তাই বন্ধুত্বের বন্ধন নিয়ে আজকে আপনাদের মাঝে কিছু কথা বলতে এসেছি। আসলে বন্ধুত্বের বন্ধন যেন রক্তের বন্ধ না হলেও এই বন্ধনের গুরুত্ব অপরিসীম।


sunset-1807524_1280.jpg

source

হাই স্কুলের জীবনের মুহূর্তগুলো যেন অসাধারণ ছিল। বিশেষ করে হাইস্কুলে পাঁচটি বছর যে কাটিয়েছি এই পাঁচটি বছরের মত আর শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত আমাদের জীবনে আসবে কিনা সেটা কখনোই যেন মনে হয় না। মনে হয় যেন সেই মুহূর্তগুলোই অসাধারণ ছিল। যখন হাইস্কুলে ছিলাম তখন বারবার মনে হচ্ছিল কবে কলেজে উঠবো। এই জীবন আর ভালো লাগেনা, কিন্তু এখন বুঝতে পারছি জীবনের উপভোগ, জীবনের আনন্দময় মুহূর্তগুলো ছিল সেই পাঁচটি বছর। আর পাঁচটি বছরের যে বন্ধুত্ব, এই বন্ধুত্ব যেন জীবনের শ্রেষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিলো।আমরা কলেজ জীবনে ইউনিভার্সিটি জীবনে অনেক বন্ধু খুঁজে পাই, কিন্তু হাই স্কুল জীবনের যে বন্ধু এই বন্ধুত্বের মতো বন্ধন এবং এই বন্ধুত্বের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আর যেন তৈরি হয় না।


হাই স্কুল জীবনে আমার তিনজন সবচাইতে প্রিয় বন্ধু ছিল। এই তিনজন প্রিয় বন্ধু সাথে আমি পাঁচটি বছর কাটিয়েছি। ওদের সাথে খেলাধুলা ওদের সাথেই পড়াশোনার। প্রত্যেকটা মুহূর্ত আমি উপভোগ করেছি। ওদের ছাড়া কিছুই বুঝতাম না। তিনজন বন্ধু যেন গলায় গলায় মিল ছিল। এই তিনজন বন্ধু মিলে আমরা স্কুলে অনেক ধরনের খেলার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতাম। আমাদের তিনজনকে আলাদা করতে চাই তো কিন্তু আমরা কখনোই আলাদা হতাম না। সবসময় একই জায়গায় থাকতাম এবং আমরা ক্লাসে একই সিটে বসতাম। আর এই নিয়ে অনেক কথা হতো স্যারদের মধ্যে। এত মিল আমাদের মধ্যে কখনোই মারামারি হয়নি। তবে হাই স্কুল জীবন পার করলাম। অনেক আনন্দের সাথে, অনেক স্মৃতি যেন জড়িয়ে রয়েছে এই বন্ধুদের সাথে। হাইস্কুল পার হওয়ার পরে আমার দুই বন্ধু মিলে আমরা সিরাজগঞ্জে সরকারি কলেজে ভর্তি হই। আর একজন ভর্তি হয়ে ঢাকা অন্য একটি কলেজে,ঢাকা ভর্তি হয় সাজু। যার কারণে ওর সাথে আর ওইভাবে যোগাযোগ হয় না। আসলে দূরত্ব যখন আমাদের মধ্যে তৈরি হয়, তখন যেন ভালোবাসারও দূরত্ব বেড়ে যায়। আসলে কাছাকাছি থাকলে যে পরিমাণ আগ্রহ এবং ভালোবাসা থাকে দূরে থাকলে সেটা যেন আর হয়ে ওঠে না।


আমরা দুই বন্ধু তো সিরাজগঞ্জ শহর থেকে আমাদের পড়াশোনা শেষ করলাম, কিন্তু আমার বন্ধু সাজু সে ঢাকায় ভালোভাবে পড়াশোনা করেছে এবং সে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে চান্স পেয়েছিলো।যার কারণে ওর সাথে আমাদের মাঝেমধ্যে কথা হতো এবং আমি যখন ঢাকায় যেতাম তখন ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে যাইতাম, ওর সাথে কথা বলতাম, খুবই ভালো লাগতো। আসলে ভালো পড়াশোনা করলে ভালো জায়গায় চান্স পাওয়া যায়। তাই বন্ধুর সাথে দেখা হলে খুবই ভালো লাগতো। ওর সাথে কথা বলতাম হাসি খুশি আগের মতই কিছু মুহূর্ত আমরা উপভোগ করতাম।


এভাবে যেন চলতেছিল আমাদের দিনকাল, অনেকদিন হলো কথা হয় না। কালকের রাত দশটার দিকে আমাকে ফোন দিয়েছে যে বন্ধু তুই আর হাসান দেরি না করে কালকে বিকেলবেলা ঢাকায় চলে আয়। তোদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা রয়েছে। আমি বারবার জিজ্ঞেস করলাম কি কথা ও আমাকে বললই না। বলল যে সারপ্রাইস রয়েছে তুই তাড়াতাড়ি চলে আয়, এবং হাসান কেউ সাথে নিয়ে আসবি। রাতেও হাসানকে ফোন দিয়েছে আমাকে সাজু তো কিছুই বলছে না, বারবার ওকে জিজ্ঞেস করলাম।ও শুধু যায়তে বলতেছে।তারপর আবার আমার আব্বা আম্মা ও হাসানের আব্বা আম্মার কাছেও সাজু ফোন দিয়েছে, যে ওদের দেরি না করে কালকে একটু পাঠিয়ে দিয়েন। ওদের জন্য সারপ্রাইজ দেবো যার কারণে ওকে কিছু বলছি নাই। কোন সমস্যা নেই আন্টি ওদের পাঠিয়ে দিয়েন। আব্বা আম্মা আবার আমাকে ফোন দিয়েছে যে সাজু তোদের যাইতে বললো, যেভাবে হোক কালকে বিকেলে তোরা দুইজন মিলে চলে যাস। তো হাসানকে বললাম যে চল যায়।এতো করে যেহেতু বলছে দেখি কি বলে।


তাই আমি আর হাসান সিদ্ধান্ত নিলাম যেহেতু সাজু আমাদের জরুরিভাবে ডেকেছে দেখি ও কি বলে। সেজন্য আমরা সকল কিছু রেডি করে আজকে বিকেল বেলায় রওনা দিলাম বন্ধুর সাথে দেখা করার জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে। তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের সাথে এই পর্যন্ত শেয়ার করলাম। দেখি বন্ধু আমাদের জরুরিভাবে ডেকে নিয়ে কি সারপ্রাইজ দেয়। সেই মুহূর্তটাও আপনাদের সাথে পরবর্তীতে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ। 🙏🤲🙏


আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

সত্যি বলেছেন ভাইয়া হাই স্কুলের বন্ধু সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। আপনারা তিনজন মিলে বেশ ভালো বন্ধু ছিলেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া বন্ধু যেহেতু ডেকেছে তাই আপনারা সবাই রওনা দিলেন ঢাকায় যাবার জন্য। তবে কি সারপ্রাইজ সে দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার বন্ধুত্বের বন্ধন আজকের প্রথম পর্ব পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। আসলে বন্ধু ছাড়া জীবন কল্পনা করা যায় না। বন্ধু যেখানে জীবনে আনন্দটাই সেখানেই হয়ে থাকে। আপনার জীবনের হাই স্কুলের গল্প বেশ দারুণ হয়েছে। বন্ধুরা সবাই মিলে খুবই সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। সারপ্রাইজের মুহূর্ত গুলো সম্পর্কে আগামী পর্বের জানতে চাই। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।