হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। আসলে বৃষ্টি বৃষ্টি আবহাওয়া আর সব কিছু মিলিয়ে বেশ থাকাই হচ্ছে কয়দিন। তবে অফিসের ব্যস্ততা রয়েই গিয়েছে। আর মনে হয়না এই ব্যস্ততা কখনো শেষ হবে। এভাবেই যাচ্ছে দিন গুলো। সব কিছু মিলিয়ে দারুণ। তো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো মিরপুর বিআরটিএ তে যাওয়ার কাহিনী।
আমি আমার বাইকের মালিকানা পরিবর্তন এর আবেদন করেছিলাম গত জানুয়ারি মাসে। তো আমাকে একনলেজমেন্ট পেপার দেয় একটা। যা দিয়ে বাইক রাইড করতে পারছিলাম। অর্থাৎ এটি ছিলো বৈধ কাগজ। তবে এর মেয়াদ ছিলো মে মাস পর্যন্ত। তো মে মাসে এসে আবার ফিংগার প্রিন্ট দিলাম ও ছবি তুললাম। আবার কাগজ এর মেয়াদ বৃদ্ধি করে দিলো সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তো সেপ্টেম্বর শেষ। আবারো মেয়াদ বৃদ্ধি করতে হবে। যেহেতু স্মার্ট কার্ড দিচ্ছেনা সেহেতু বার বার যেয়ে মেয়ার বাড়াতে হবে। বিআরটিএ তে আমার পরিচিত এক ভাই আছে। গেলেই করে দিবে। তবে আমি যাচ্ছিলাম না। আসলে সময় করে উঠতে পারছিলাম না। আপনারা জানেনই আমি কতটা ব্যস্ততার মাঝে থাকি। আমি অবশ্য এপস ও এসএমএস এর মাধ্যমে চেক করে দেখেছি যে কার্ড আসেনাই। তো কার্ড যেহেতু হইছে কি হয়নি দেখতে পাচ্ছি তো কেন ডেট বাড়াতে যাবো। সমস্যা হচ্ছে কিছু দিন যাবৎ ধরে ধরে মামলা দিচ্ছে। আমি তো ভেবেছি সার্জেন্ট এর সাথে তর্কে জড়িয়ে যাবো। যেখানে আমি দেখতে পারতেছি আমার স্মার্ট কার্ড রেডি হয়নি সেখানে কেনো বার বার আমি বিআরটিএ তে গিয়ে তারিখ বৃদ্ধি করবো?
অবশ্য আমার এসব লজিক ধোপে টিকবেনা এও জানি। তখন মনে মনে ভাবতেছিলাম যদি আটকে মামলা দিয়েই দেয় তাইলে সেখানেই ওর নামে অভিশাপ দিতে থাকবো 😂😂😂। তো সেদিন দেখলাম প্রায় উত্তরায় এক যায়গায় ধরে ধরে ৫০০ এর উপর মামলা দিয়েছে। তো ভাবলাম আমার আর তর্কে যেয়ে মামলা খেয়ে লাভ নাই। তখন অফিস থেকে ছুটি নিয়ে নিলাম । বললাম পরদিন আসতে দেড়ি হবে একটু। বিআরটিএ তে কাজ শেষ করে তারপর আসবো। বিআরটিএ তে যাবো দেখে সেদিন ঘুম থেকেও উঠলাম দেড়িতে। যেহেতু খুলতে খুলতেই সম্ভবত ১০ টা বেজে যাবে। তাই আমি বাসা থেকে ৯ টা ৩০ এর দিকে বার হই। এরপর বাইক নিয়ে রউনা করি মিরপুর বিআরটিএ তে। এর আগের দুইবার অনেক আগে থেকেই ম্যাপ চালু করতে হয়েছিলো। এবার তাই আর প্রথমে ম্যাপ চালু করলাম না। একবার কালশি গিয়ে এরপর ম্যাপ চালু করলাম। ট্রাই করেছিলাম ম্যাপ ছাড়া যাইতে। কিন্তু পারলাম না তা আর। আমি আবার এক রাস্তা সহজে মনে রাখতে পারিনা। এটা আমার একটা দুর্বলতাই বলা চলে।
যাক এরপর ম্যাপ দেখতে দেখতে বিআরটিএ এর সামনে এসে গেলাম। তবে এবার বাইরে ভিড় দেখলাম না। আগে বাইরে অনেক দালাল থাকতো। সেদিন একজনকেও দেখলাম না। তো আমি পেছনের গেট দিয়ে ভেতরে চলে যাই। এরপর একটা সাইডে বাইক পার্ক করে চলে যাই ১২১ নং রুম এর দিকে। যেখানে আমার এক পরিচিত ভাই কাজ করে । প্রতিবার কল দিয়ে তারপর যাই। তবে আজ এমনি চলে গেলাম। রুম এর সামনে যেয়ে কল দিলাম। তবে উনি তখন সেখানে ছিলোনা। আসার পর আমি আমার একনলেজমেন্ট কাগজ দিলাম। এরপর উনি ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত তারিখ করে দিলেন। বেস আমার কাজ শেষ। এরপর ওনাকে চায়ের অফার করেছিলাম। কিন্তু একটু আগে বাইরে থেকে এসেছে দেখে আর যায়নি আমার সাথে। এরপর আর কি আমি বাইরে এসে চা খাই। তারপর অফিস এর দিকে রউনা দেই ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
![Banner.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV44ipDFZ9PNUMtyufYoaoMvPW4QZqAZUvWi9TkCh9NWx/Banner.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বি আর টি এতে সেই আগের অবস্থা আর নেই। আগে ওখানে দালাল ছাড়া কোন কাজই হতো না। আর এখন গেলে খুব সহজেই কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। এই একটা উন্নত হয়েছে বেশ। অবশ্য আমার কিছুটা সমস্যা হয়ে গিয়েছে। দালাল নেই তার জন্য লাইসেন্সও করতে পারছি না। যাই হোক খুব সহজে কাগজটি হাতে পেয়ে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা এখন খুব শান্তিতে কাজ করা যায়। সময় ও লাগে খুব কম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit