হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। কি খবর আপনাদের সবার? আজ একটু মুড টা খারাপ। সকাল সকাল অফিস যাওয়ার আগেই বস এর ঝাড়ি দিয়ে দিন শুরু। ভাবছিলাম অফিস এর যাওয়ার আগে একটু শরবত খাবো। কিন্তু স্যার ফোন দিয়ে হিসাব চেয়ে বসলেন। বললাম স্যার ১০ মিনিট দেড়ি হবে। তখনই ঝাড়ি। হেহে শেষে আমি শরবত রেখেই দৌড় অফিস এ। যাক হারিয়ে যাওয়া কিছু জিনিশ নিয়ে কথা বলবো আজ। যেগুলো খুবই মিস করি এখন। মাঝে মধ্যে তো ভেবেই বসি যে কিছু বছর আগেও সব কিছু কেমন ছিলো আর এখন দিন দিন কেমন হয়ে যাচ্ছে। সব দিক থেকেই চিন্তা করে দেখুন। সব কিছুই যেনো আগের মতন নেই।
আমি জানি যে সময় পরিবর্তনশীল। কিন্তু সময়ের সাথে পরিবেশের যে পরিবর্তন গুলো ঘটছে সেগুলো যেনো একটু বেশিই। আগের দিন গুলাকে এত্তো পরিমানে অনুভব করি যা হয়তো লিখে বা বলে প্রকাশ করতে পারবোনা। সে দিন গুলোর কথা ভাবলে মাঝে মধ্যে তো চোখের পানি চলে আসে। আগের দিন গুলোতে আমরা কত মজাই না করতাম। সে দিন গুল যেনো দেখতে দেখতে হারিয়ে গেলো। আগেকার দিন গুলোর কথা মনে পরে আমার খুব। তবে এখন আর লোডশেডিং হলে বাইরে যাওয়া হয়না। এখন আর লোড শেডিং হলে টুক পলান্টিস খেলা হয়না। এখন আর লোডশেডিং হলে বন্ধুদের সাথে গল্পে মেতে উঠা হয়ে উঠেনা। সত্যি আমি খুব খুব মিস করি সে দিন গুলোকে। আমার কাছে সে দিন গুলোই সেরা দিন মনে হয়। প্রযুক্তির এই যুগে সে সব যেনো হারিয়ে গিয়েছে। আগে বৃষ্টি হলেই আমাদের স্কুল মিস দিতেই হবে। বৃষ্টিতে ভিজতেই হবে। আহা লুকিয়ে লুকিয়ে কতই না বৃষ্টিতে ভিজেছি আমি। জ্বর আসবে ভেবে বাসা থেকে দিতোনা। তাই বেশির ভাগ সময় লুকাই বৃষ্টিতে ভিজতাম। এতো ছিলো বৃষ্টিতে ভেজার গল্প।
বন্ধের দিন গুলোতে বৃষ্টি হওয়া মানেই আমাদের ফুটবল খেলা। আকাশে মেঘ ডাকে তো আমাদের ফুটবল খোজা খোজি শুরু হয়। আর গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হলেই আমরা সবাই মিলে মাঠে চলে যেতাম ফুটবল খেলতে। বৃষ্টি আর কদায় মাখিয়ে ফেলতাম নিজেদের। এর পর তো বাসায় এসে আবার গোসল। আর আব্বু আম্মুর বকুনি তো আছেই। অন্যান্য দিন গুলোতে বিকেল বেলা মানেই আমাদের ব্যাট বল নিয়ে মাঠে চলে যাওয়া। খেলতে খেলতে পরিচিত অপরিচিত মানুষদের নিয়ে আমাদের দল হয়ে যেতো। এরপর আমরা ক্রিকেট খেলতাম। ক্রিকেট খেলতে খেলতে যদি ব্যাটিং করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে যেতো তাহলে যে দল বল করতো ওদের বলতাম তোরা জিতে গেছিস। আহা এই নিয়ে আমাদের কত ঝগড়াই না হইতো। তবুও শেষে আমরাই জিততাম। হেহে। ম্যাচ হারলেও ব্যাটিং তো করেছি। আর শেষের দিকের খেলায় বাজি ধরতাম না। কারন জানি যে সন্ধ্যার আজান হলে আর খেলবোনা। এই ভেবেই ফাকি দিতাম।
বেশি মজা হইতো সন্ধ্যার পর। কারেন্ট গেলেই আমরা এক চিল্লানি মেরে রাস্তায় বের হয়ে যেতাম। মানে কারেন্ট যেতে দেড়ি কিন্তু আমাদের চিল্লাইতে দেড়ি নাই। আর সবাই বের হয়েই আমাদের খেলা শুরু হতো। লুকোচুরি খেলতাম। যেটাকে আমাদের এইদিক টুক পলান্টিস বলে। এটাই খেলতাম সবাই মিলে। একজন চোর থাকতো। বাকি সবাই পালাতাম। এর পর সেই চোর আমাদের খুজে বের করতো। এই আরকি। সত্যি এই দিন গুল খুবই মিস করি আমি।
তো এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট এ। আশা করি ভালো লেগেছে আপনাদের। কেমন হলো জানাবেন।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ছোটবেলার সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে আজও ইচ্ছে করে সেই ছোটবেলায় হারিয়ে যেতে। কতইনা মজার ছিল সেই দিনগুলো। আপনাদের মত আমরাও বেশ মজা করতাম ছোটবেলায়। যখন সেই কথাগুলো মনে পড়ে ইচ্ছে করে যেন ছোটবেলায় ফিরে যাই। আপনারা তো দেখছি বেশ ভালই মজা করতেন ছোটবেলায়। যা পড়েই বুঝতে পারলাম। ভালো লাগলো ছোটবেলার সেই স্মৃতি বিজড়িত গল্প পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জ্বি আপু। সত্যি আবার যদি পারতাম ছোট বেলার সেই দিন গুলোতে হারিয়ে যেতে কতই না ভালো হতো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোটবেলার গল্প গুলোর কথা মনে পড়লে এখনো ভীষণ হাসি পায়। কারণ ছোটবেলায় কতই না মজা দুষ্টামি করতাম। আমি তো একটু বেশি দুষ্টামি ঠাট্টা করতাম। বিশেষ করে কাউকে ঠুষ ঠাস মেরে দিতাম। তারপর আম্মুর কাছে কতই না বিচার আসতো। তখন তো চুপিচুপি ঘরের মধ্যে প্রবেশ করতাম। এখনো আমার ছোটবেলার স্মৃতি ভীষণ মনে পড়ে। আপনারও ছোটবেলাটা খুবই সুন্দরভাবে কেটেছে জেনে আরো ভালো লাগলো। আপনার পোস্টের মধ্যে এসব কিছুই উল্লেখ করলেন। ভীষণ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হুম এটা বাস্তব। ছোট বেলার কিছু কথা মনে পরলেই যেনো হাসি পায় খুব।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কি জিনিস মনে করিয়ে দিলেন ভাই। আহা সেই দিনগুলো।সোনালী দিন। আর কখনো ফিরে পাওয়া যাবে না।এজন্যই হয়ত গান লিখেছিলেন কবি,"আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম"।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর অতীতকে তুলে ধরার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সোনালী অতীত ভাই। এখন আর কেউ সেই ফিল গুলো পাবেনা। যান্ত্রিক দুনিয়া হয়ে গেছে এখন। ফোন নিয়ে বসে সবাই এখন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ছোটবেলার সেই মুহূর্তগুলো সবার জীবন থেকে আজীবনের জন্য হারিয়ে গিয়েছে। ছোটবেলায় কাটানো সেই দিনগুলো সত্যি একেবারে ভালো ছিল সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে আজও ভীষণ ভালো লাগে। আসলে অনেক সময় অনেক কিছুই করে ফেলতাম। পরে আম্মু আব্বুর ভয়ে কখনো বাড়ি ফিরতাম অনেক রাত করে না হলে চুপিচুপি ঘরে ঢুকে বসে থাকতাম। ভালই লাগলো আপনার আজকের পোস্ট পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জ্বি ভাই এটা খাটি কথা। আমরা ছোট বেলায় যে দিন গুলো কাটীয়েছি সেগুলো অনেক দারুণ ছিলো। আর ভাবি আমি যে তাহলে আমার বাবার ছোট বেলার দিন গুলো আরো কতই না মজার ছিলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit