হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। অফিস এর কাজে ব্যস্ততায় সময় কেটে যাচ্ছে। সব সময় চেষ্টা করি ভালো থাকার। তবে যদিও ভালো থাকা নির্ভর করে পারিপার্শিক বিষয় গুলোর উপর। তবে যতটা ভালো থাকা যায় সে চেষ্টাই করে যেতে হয়। চাইলেও আপনি ইচ্ছে করে ভালো থাকতে পারবেন না আবার চাইলেও আপনি ইচ্ছে করে খারাপ থাকতে পারবেন না। তো যাই হোক আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার শুক্রবারের ব্যস্ততম সেই দিন এর গল্প।
শুক্রবার মানেই আমার অনেক ব্যস্ততা। সারা সপ্তাহ হাজার ব্যস্ততার পর আশে আমার শুক্রবার এর যুদ্ধ। মানুষ যেখানে সারা সপ্তাহ অফিস করে একদিন শুক্রবার একটু বিশ্রাম নেয়। আমার ক্ষেত্রে হয় এর একদম বিপরীত। আমি সেদিন আরো ব্যস্ত হয়ে যাই। সকালে সেদিন আরো আগে ঘুম থেকে উঠতে হয়। এভাবেই চলে যাচ্ছে দিন গুলো। আর ভার্সিটির এসাইনমেন্ট, ল্যাব রিপোর্ট, ক্লাস টেস্ট এসব তো রয়েছেই। সেমিস্টার যেহেতু শেষের দিকে সেহেতু এসাইনমেন্ট আর ল্যাব রিপোর্ট গুলো নিয়ে আছি অনেক মুসিবত এ। একদম ভালো লাগেনা আমার আর। এভাবে আর কতো পারা যায়। আসলে মানাই নিতে হচ্ছে হাজার কষ্ট সত্যেও। তো এই শুক্রবার আমার ক্লাস ছিলো সাথে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা আর এসাইমেন্ট সাবমিশন অনেক গুলো। বৃহস্পতিবার অফিস থেকে আগে আগে ছুটি নিয়ে বাসায় চলে যাই। এরপর বাসায় যেয়ে লেখা শুরু করি। ৩ টা এসাইনমেন্ট আজ করতেই হবে। লিখতে লিখতে তো আমার অবস্থা খারাপ হওয়ার মতন। তবুও কি আর করা। লিখতে তো হবেই। রাতে ২ টা শেষ করলাম। ভাবলাম ভোর বেলায় উঠে বাকি একটা শেষ করবো।
ভোর হলো। সকাল হলো। কিন্তু আমার ঘুম তো ভাঙল না। এইদিকে প্রথম ক্লাসেই আবার প্র্যাকটিক্যাল পরিক্ষা। কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না একদম। তারপর ও শুরু করলাম লেখা। চাপাই চাপাই লেখলাম। অনেক গুলো পয়েন্ট বাদ দিয়ে লিখেছি। শেষ করতে পেরেছিলাম। কিন্তু শেষ করতে গিয়ে দেখি দেড়ি হয়ে গিয়েছে। পরীক্ষায় দেড়ি হয়ে যেতে পারে। দ্রুতো গোসল সেরে সকালের নাস্তা কোনো মতে শেষ করে বাইক নিয়ে দিলাম টান। এতো স্পীডে সিটি তে আগে চালাইনি আমি। ১৫ মিনিটে ভার্সিটি পৌছে গেলাম। ভাগ্য ভালো দেড়ি হলেও স্যার তখনো আসেনি। এইদিকে ক্লাস তো ফুল। কিন্তু স্টুডেন্ট এখনো অনেক আসা বাকি। ওরাও আসতে থাকলো। তখন আমাদের ক্লাস রুম পাল্টাতে হলো। স্যার ব্যবস্থা করলেন সব। এরপর পরীক্ষা দিলাম। পরীক্ষা তো একদম বাশ। কিচ্ছু লিখতে পারিনি আমি। যাক পরীক্ষা শেষ করতে করতেই পরের ক্লাস শুরু হয়ে গেলো। সে ক্লাস শেষ করে খুদা লাগলো অনেক। তাই বন্ধুরা মিলে সবাই নিচে চলে গেলাম। খাওয়া দাওয়া করতে হবে একটু।
এই সময় সাধারনত আমরা সিঙ্গারা খেয়ে থাকি। তবে নিচে নেমে দেখলাম এখনো সিঙ্গারার প্রসেসিং চলতেছে। তাই আমরা অপেক্ষা করছিলাম। পরে সিঙ্গারা হয়ে গেলো দেখলাম। আমরা নিলাম প্রথমে ১০ টা সিঙ্গারা। প্রতিটা ৫ টাকা করে। সাথে শসার সালাদ। সেটা দিয়ে খাচ্ছিলাম। এরপর দেখলাম এক বন্ধু এই মামার থেকে চাটনি নিলো। ওটা দিয়ে সিঙ্গারা খেতে যা মজা লাগলো। বলার বাইরে। আমি তো খেতে খেতে ৮ টা সিঙ্গারা খেয়ে ফেলি। যদিও সিঙ্গারা গুলো সাইজে অনেক ছোট ছিলো। তাই ৮ টা খেতে পেরেছিলাম। এরপর আমরা ক্লাসে ব্যাক করি। শেষ ক্লাস টা করার ইচ্ছে ছিলোনা। তাই বাসার দিকে রউনা দেই। কারণ বিকালে একটা যায়গায় যেতে হবে।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/razuahmed788/status/1863206547004006442
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit