হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। আজ আমার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হলো। এখন থেকে আগামী ২ সপ্তাহ মোটামুটি ফ্রি থাকবো। যেহেতু চাপ নাই। অফিসের কথা আলাদা। অফিসে চাপ থাকলে তো আর কি করবো। তবে এই কয়দিন চেষ্টা করবো একটু স্টিমিটে সময় দেওয়ার। যেহেতু অনেক পিছিয়ে গিয়েছি। তো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো সেদিন বৃষ্টিতে ভিজে অফিস যাওয়ার অভিজ্ঞতা।
শনিবার মানেই সপ্তাহের শুরু। আগের দিনের অফিস ছুটি আরাম মজা সব যেনো ফিকে হয়ে যায় শনিবার আসলে। আবার দীর্ঘ লম্বা একটা সপ্তাহ হতে চলেছে। আর সাথে শনিবারের এক্সট্রা প্রেশারতো রয়েছেই অফিসে। তাই শনিবার সকালটা কেমন বোরিং বোরিং লাগে। অন্য দিন যেমন শরীরে একটা চাঙ্গা ভাব থাকে শনিবার সকালে সেটা আমি একদমই পাই না। কারণ তখন সামনে দীর্ঘ একটা সপ্তাহ আসছে এটা ভেবেই কেমন চিন্তায় পরে যাই। তবে মজার বিষয় হচ্ছে এটা শনিবার সারাদিন ধরেই থাকে শুধু। রবিবার যেনো সব কিছু আবার নরমাল একদম। আর আমার জন্য তো শনিবার হয় বিশাল এক লম্বা। তো আজকে সকালেও তার ব্যাতিক্রম নয়। কেমন যেনো সব অগোছালো লাগছিলো। তো সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে গোসল করে নিলাম। সকালে গোসল না করলে দিনটা একটুও ভালো যায়না। আর এটা আমার অভ্যাস হয়ে গেছে। ছুটি হোক আর যাই হোক আমার গোসল করতে হবে সকাল বেলাতেই। তো গোসল করার পর আম্মু একটু খিচুড়ি গরম করে দিলেন। সকালের নাস্তা হিসেবে তা খেয়ে বাইকের চাবি নিয়ে বের হয়ে গেলাম। গ্যারেজ থেকে বাইক বার করার পর দেখি সময় ভালোই হয়েছে। তবে প্যারা ছিলোনা। যেহেতু শনিবার তাই রাস্তায় জ্যাম থাকবেনা তেমন।
মেইন রাস্তায় উঠেও দেখি জ্যাম নাই। আমিও ধুমছে টান। এরপর ৩০ মিনিটে অফিসে পৌঁছে গেলাম। পৌঁছে দেখি মোটামুটি ভালোই ভিড় লেগে গিয়েছে। আমি আমার বাইক রেখে চায়ের দোকানে গেলাম চা পান করতে। কারণ তখনো অফিসের গেট খুলেনি। তাই ভাবলাম এই সুযোগে চা খেয়ে আসি। চা খাওয়ার পর অফিসে চলে যাই। শুরুতেই আগের দিনের হিসেবে একটু চোখ বুলিয়ে নেই। এরপর কিছু পেন্ডিং ওয়ারেন্টি ছিলো সেগুলো সব গুছিয়ে গেলি। অনগোয়িং কিছু জবকার্ড ছিলো সেগুলো ক্লোজ করে নেই। কারণ নতুন সিরিয়ালে আজকের তারিখে সেগুলোকে ক্লেইম করবো। এগুলো মূলত জমে আছে অনেক দিন ধরেই। আমাদের ইয়ামাহাতে ওয়ারেন্টি পলিসি তে একটু পরিবর্তন এনেছে। যেদিন জবকার্ড হবে সেদিনই ওয়ারেন্টি ক্লেইম করতে হবে সার্ভারে। নাইলে আমার রিপোর্টিং বস আমাকে ঝাড়ে। কয়েকবার তো স্যার থ্রেট ও দিয়ে দিয়েছিলো। যাক তাই সব গুছ গাছ করে ওয়ারেন্টি ক্লেইম শেষ করলাম। যদিও এখনো কিছু পেন্ডিং রেখেছি। এগুলো কাল করে ফেলবো।
অফিসে খুব সাধারন সময় পার করছিলাম। হঠাৎ আমাদের এখানে একটা পার্টস এর শর্ট পরে। তো সেটা তেজগাঁও সার্ভিস সেন্টার থেকে সাপোর্ট আনার কথা। সাধারনত এগুলো আমার এসিস্ট্যান্ট করে থাকে। তবে আজ আমার বিকেলে একটু ঘুরতে মন চাইলো। তাই আমাদের একজন কে নিয়ে চলে গেলাম তেজগাও এর দিকে। তো হাতির ঝিল এসে ভাবলাম একটু আড্ডা দেই। হেহে । সেখানে চা খেলাম। এরপর কিছু ছবি তুললাম। বিকেল বেলাটা হাতির ঝিলটা সুন্দরই লাগে। এরপর আর কি তেজগাঁও থেকে পার্টস নিয়ে এসে আমাদের টেকনিশিয়ান কে দিলাম। গতকাল খবই প্রেশার ছিলো। অফিস থেকে সব ক্লোজ করে বের হতে আমার ১০ টা বেজে যায়। তাই আর গতকাল বাসায় এসেও পোস্ট করা হয়নি।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit