হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছে। আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে একটু জোশ মুড এই থাকা যায়। যেমনটা আমি থাকি। তবে একটু গরম পরলেই আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। খুবই কষ্ট হয়। যাক আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো জুসি বার্গার খাওয়ার অনুভূতি। ট্রিট দিয়েছিলো এক বন্ধু। তো আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করি।
সেদিন শুক্রবার ছিলো। সকালে ভার্সিটি ছিলো। ভার্সিটি শেষ করে বাসায় আসছি দুপুর এর দিকে। এরপর এসে আব্বু আম্মুর সাথে দুপুরের খাবার খেয়ে শুয়ে পরি। ফোন চালাচ্ছিলাম। তো একটু ঘুম ঘুম লাগছিলো। তখন ফোন রেখে দিলাম এক ঘুম। বিশাল বড় ঘুম ছিলো। মাঝে এক বন্ধু কল দিয়ে ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিয়েছিলো। তবে ফোন রেখে আবারো ঘুমাই আমি। এরপর ঘুম থেকে উঠি একদম বিকেল ৫ টার পর। ঘুম থেকে উঠে ফোন চালাচ্ছিলাম। হটাৎ বন্ধু রাতুল এর কল। জিজ্ঞেস করলো ব্যাচেলরস এ যাবো কিনা বার্গার খাইতে। ওর সাথে @sajjadsohan ও ছিলো। ওরা ভার্সিটি থেকে আসবে। তাই আমারে জিজ্ঞেস করলো। ওখানে নতুন একটা জুসি বার্গার আসছে নাকি। সেটাই ট্রিট দিবে মনে হয়। এটা মনে মনেই ভাবলাম। আমি বললাম কে কে যাবে আর। বললো আমি , রাতুল আর সোহানই। প্লাবন ও যেতো। তবে ও একটা বিয়ের দাওয়াতে গেছে। তাই বললো ওরে পরে একদিন নিয়ে যাবে। তো আমি বললাম ঠিক আছে। তখন রাতুল জানালো ওরা গাবতলি থেকে আসবে। বললাম আচ্ছা কাছা কাছি এসে যেনো ফোন দেয়। বললো এমইএস ফ্লাইওভার এসে কল দিবে। তখন আমি কম্পিউটার ছেড়ে বসলাম। খবর দেখতে ছিলাম আরকি। তো ওরা যথারীতি ওরা ফ্লাইওভার এর কাছাকাছি আসার পর কল দিলো।
ওদের কল পেয়ে আমি প্রস্তুতি নিলাম যাওয়ার জন্য। বেড় হতে হতে একটু দেড়ি হয়ে গেলো। তখন রাতুল কল দিলো আবার। আমি রিকশায় উঠতে উঠতে বললাম যে রিকশায় আছি আসতেছি। ওরা এসে গিয়েছিলো আরকি। আমার রেডি হতে দেড়ি হয়ে গিয়েছিলো। ৫ মিনিট এর ভিতর পৌছে গেলাম বাজারে। তারপর ওভারব্রিজ পার হয়ে ওপাশে চলে গেলাম। সেখানে আরো ৫ মিনিট লেগে গিয়েছে। এতো বেশি মানুষ। যাক কি আর করা। ওদের সাথে মিট করলাম। এরপর আমরা হাটা ধরলাম ব্যাচেলর এর দিকে। হাঁটতে হাঁটতে পৌছে গেলাম ব্যাচেলরস এ। কত নাম্বার রোড মনে নাই। হেঁটে কথা বলার তালে ভুলে গিয়েছি। ভিতরে দেখলাম ভালোই ভিড়। আমরা ভিতরে চলে যাই। এরপর ফাঁকা এক টেবিল এ বসে পরি। এরপর আমি আর সোহান কিছু ছবি তুললাম। ভেতরের ডেকোরেশন ভালোই লেগেছে। খেলা চলছিলো বাংলাদেশের। সেটাও উপভোগ করছিলাম। একটু পর ম্যানু কার্ড সামনে এসে গেলো। আমরা ৩টি টোস্টেড রেগুলার বার্গার অর্ডার দিলাম। সাথে সফট ড্রিংস হিসেবে ৩ স্প্রাইট অর্ডার করলাম। এরপর আমরা গল্প করছিলাম আর খেলা দেখছিলাম।
ওদের সার্ভিস মোটেও পছন্দ হচ্ছিলোনা। প্রায় ৩০ মিনিট বসে আছি অর্ডার করে খবর নাই। তারপর বার্গার গুলো দিয়ে গেলো। কিন্তু সফট ড্রিংস দেওয়ার খবর নাই একদম। এরপর আবার ডেকে চাওয়ার পর দিলো। বার্গার এর দাম হিসেবে স্বাদ ভালোই ছিলো। মজাই লেগেছিলো অনেক। আমাদের বাজেট কম ছিলো। তাই কম বাজেটের বার্গারই খেয়েছি। তবে খাওয়ার পর মনেই হয়নি এটি কম দামি ছিলো। যাক খেয়ে দেয়ে বিল দিয়ে আমরা চলে আসলাম। আবারো যেতে হবে একদিন। কারণ আমার কাছে বার্গার এর স্বাদ ভালোই লেগেছিলো। আর বড় কথা হচ্ছে সেখানের পরিবেশ ভালো লেগেছে। বার্গার কে আমি ১০ এ ৮ রেটিং দিবো। যদি আপনি বাজেট চিন্তা করেন তাহলে এই বার্গারই বেস্ট।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দুপুরবেলায় খাবারে পরে একটু ঘুম দিলে খুব ভালো লাগে। সারাদিনের ক্লান্তি যেন দূর হয়ে যায়। যাক আপনি গভীর ঘুমাচ্ছিলেন এমন সময় আপনার বন্ধু ফোন দিয়েছিল। বন্ধুদের সাথে করে বার্গার খেতে গিয়েছিলেন। যদিও বাজার খেতে গিয়ে অর্ডার দেয়ার পরও ৩০ মিনিট পরে আপনাদের বার্গার দিয়েছিল। আসলে কোন কিছু অর্ডার দেয়ার পর বসে থাকাটা অনেক বিরক্তকর। যাইহোক সর্বশেষে যেহেতু খেতে পেরেছেন জানি ভালো লাগলো ধন্যবাদ আমাদের মাঝে আপনার অনুভূতিটা শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটা ঠিক ভাই। দুপুর বেলা খাবার খাওয়ার পর সে এক ঘুম আসে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit