হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। তবে আছি একটু ব্যস্ততার মাঝে। আসলে সেল এর একটা প্রেশার দিয়ে রেখেছে স্যার রা। এটা নিয়ে সারাদিন কাজ করতে হচ্ছে। সাথে আমার স্পেয়ার পার্টস সেকশন মেইন্টেইন এর আলাদা দায়িত্ব তো আছেই। সব কিছু মিলিয়ে সময় একদমই বের করতে পারছিনা। আবার আগের মতন ব্যস্ত হয়ে গেছি বলা চলে। তো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার বৃষ্টির দিনের অফিসের অভিজ্ঞতা।
প্রতিদিনের মতন আজও সকালে ঘুম থেকে উঠি সকাল ৭ টায়। এরপর গোসলে চলে যাই। রেডি হতে হতে বাইরে একবার তাকিয়ে দেখি আকাশ মেঘলা। আর রাস্তা ভেজা দেখাচ্ছিলো। দেখেই বুঝে গেলাম ভোর বেলায় ও বৃষ্টি হয়েছিলো। তো আমি যথারীতি গোসল শেষ করে খাওয়া সেরে নিলাম । এরপর রেডি হয়ে হেলমেট হাতে নিয়ে গ্যারেজ এর দিকে রউনা হলাম। তখনো বৃষ্টির ছিটে ফোটাও ছিলোনা। রাস্তার পাশের বাড়ি গুলার চাল গুলো ও শুকিয়ে গিয়েছিলো। তো আমি গ্যারেজ থেকে আমার বাইক নিয়ে বের হবো আর এই অবস্থায় দেখি বৃষ্টি পরা শুরু হলো। বাইক স্টার্ট দিয়েও আবার অফ করে দিলাম। এরপর ব্যাগ থেকে রেইন কোট বের করে পরে নিলাম। এরপর বাইক নিয়ে ধীরে ধীরে চালায়ে মেইন রোডে এসে গেলাম। বৃষ্টি আরো বেড়ে গেলো। আর বৃষ্টিতে বাইক চালানো একটু রিস্কি ব্যাপার। তবুও অফিস তো যেতেই হবে। তবে আজ অফিস যাওয়ার প্ল্যান ছিলোনা আমার একদমই। শুধু মাত্র আমার একটা অর্ডার করতে হবে বড় তাই গিয়েছিলাম। তো রাস্তাতে দেখি জ্যাম। অবাক হই। এতো দূরে জ্যাম দেখিনি কখনো। এরপর সামনে এগোতেই দেখি বৃষ্টি হওয়াতে ফ্লাই ওভার এর নিচে মাঝ রাস্তা পর্যন্ত বাইকার রা বাইক রেখে সাইডে দাঁড়িয়েছে।
রাস্তার অর্ধেক এর বেশি জায়গা ভরাট হয়ে গেছে। তাই সব গাড়ি সাইড দিয়ে বের হতে যেয়ে জ্যাম লেগে গেছে। এখন বাইকার দের দোষ দেওয়া যায় আবার দেওয়া যায় না। দোষ ধরা যায়না কারণ বৃষ্টির জন্য বিপদে পরে এভাবে রেখেছে। আবার দোষ চিন্তা করলে অনেক দোষের। কারণ এভাবে মাঝ রাস্তা পর্যন্ত বাইক কেন রাখবে। সাইডে রাখতে পারতো। বাইক ভিজুক তাতে সমস্যা কি। এখন তো এর জন্য বিশাল জ্যাম লেগে গিয়েছে। তো এভাবে জ্যাম ঠেলে অফিস চলে যাই। আরো ঢালা বৃষ্টি নামে দেখলাম। আমি হাওয়া মেরে আমার রেইন কোট এর পানি ও জুতার পানি গুলো ঝরালাম। এবার গেট এর দিকে এসে বৃষ্টি দেখতে নিলাম। মাঝে আমার বাইকটিকেও রেইন কোট পড়ালাম। আমি কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। আর কিছু স্লো ভিডিও নিলাম। যা দিয়ে রিলস বানাবো। ছাতা ধরে ছবি আর ভিডিও গুলো নিতে হয়েছে। দু একজন বিখ্যাতো মানুষ দেখলাম বৃষ্টিতে ভিজে চলে আসছে সার্ভিস নিতে। মনে মনে বকাই দিলাম। আমাদের না হয় চাকরী বাঁচাতে আসতেই হবে। কিন্তু ওদের কি দরকার এই বৃষ্টি দিয়ে ভিজে সার্ভিস করাতে আসার।
আমার এসিস্ট্যান্ট দুইটাও ভিজেই আসলো। ওদের একটু কাজে লাগিয়ে দিলাম। এরপর আমি সামনে যেয়ে বৃষ্টি উপভোগ করতে নিলাম। কিভাবে যে সময় চলে গেলো বুঝিও নি। সাধারনত এমন দিন গুলো সহজে কাটতে চায়না। অথচ যেনো এক পলকে সময় চলে গিয়ে দুপুর হয়ে গেলো। আমি আমার ডেস্ক এর পিসিতে ম্যান অফ স্টিল ছবিটি ছেড়ে দেখতে থাকলাম। তবে আজ বেশির ভাগ সময় ছিলাম সামনের দিকে। দুপুরে এমন বৃষ্টি শুরু হলো যে আর থামার নাম নাই। আমি তো দুপুরের খাবার খেতেও যেতে পারলাম না। সন্ধ্যা পর্যন্ত গাড়ি আসলো মাত্র ২১ টা। এরপর হঠাৎ আমাদের ভাইবার গ্রুপে স্যার এর মেসেজ। বললো ওয়ারেন্টি পার্টস গুলো রেডি করে শনিবারের মধ্যে পাঠিয়ে দিতে। আর বিল ও সেইদিন যাবে। আমিও তখন বিল বানাতে বসে গেলাম । নতুন এক ফরম্যাট এ বিল বানাতে হলো। তাই অনেক সময় লেগে যায়। এরপর বিল বানানো হলে মেইল করে আমি বাসার দিকে রউনা দেই।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বুঝতে পারলাম আপনি অনেক ব্যাস্ততার মাঝে দিন কাটাচ্ছেন। যাইহোক এই ব্যাস্ততা হয়তো আপনার জন্য ভালো, এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকুন। বৃষ্টি অবিরত চলছে আমাদের এদিকে, কি আর করা আমাকেও আজকে এভাবেই অফিস করতে হয়েছে।
শেষের ছবিটা অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হুম ভাই।। ঝড় বৃষ্টি যাই হোক অফিস করাই লাগবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে চাকরি করতে হলে সব বাধা উপেক্ষা করে কাজের জন্য ছুটে যেতে হয়। যাই হোক আপনার মত আমার কাছেও বৃষ্টির দিনের মুহূর্তটা কিভাবে পার হয়ে যায় বুঝতে পারি না। সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে আর ঘড়ির কাঁটায় যখন সময় দেখি তখন বুঝতে পারি এখন সকাল ঘনিয়ে বিকেল হতে চলেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা ভাই ঠিক বলেছেন। সব কিছুর উর্ধে আমাদের ডিউটি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গতকালকে আমাদের এখানে সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছিলো। বাচ্চাকে স্কুল থেকে আনার সময় একেবারে ভিজে একাকার অবস্থা হয়েছিল। হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হলে রাস্তায় বাইকারদের অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যাইহোক আপনার অফিসে জরুরী কাজ না থাকলে বৃষ্টির দিনে বাসায় আরামে কাটাতে পারতেন। যাক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা আপু। কিছু বাইকার দের জন্য আমাদের নাম খারাপ হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit