জ্বালাময়ি গরমের পিছনে অগ্নিজ্বালা রহস্য

in hive-129948 •  9 months ago 

summer-7434439_1280.png

Copyright Free Image Source : Pixabay

উফ! অনেক গরম, এতো গরমে বাচা জায় ?! ‍তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

আমরা আজ সকলে এই জ্বালাময়ী গরমে অতিষ্ট হয়ে কেউ না কেউ কোনো না কোনোভাবে একবার হলেও কথাটাকে ঘুরিয়ে হলেও বলেছি। আমাদের ভাবখানা এমন যে গরম হয়তো এমনি এমনি লাগছে আমাদের। আমাদের দেশে দাবদাহের কারনে স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আরো কিছু জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির গরমের তীব্রতা সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, এতো বেশি গরম কেন? এই গরমের জন্য কি আমরা দায়ি নই? যে মাত্রায় এখন তাপমাত্রা বাড়ছে তার জন্য অবশ্যই মানুষের কর্মকাণ্ডেই প্রধানত দায়ী বলে আমি মনে করি। কেননা, মানুষ যখন থেকে কল-কারখানা এবং যানবাহন চালাতে গ্যাস এবং কয়লা পোড়াতে শুরু করলো । তখন থেকে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়তে লাগলো। সব থেকে অবাক করা বিষয় হলো এই পরিস্থিতি দাড়িয়ে আমরা সমানে বনাঞ্চল ধ্বংস করছি যা আমাদের চরম একটি ভুল কর্মকান্ড। আমরা সকলেই ছোটবেলায় পড়েছি গাছপালা কার্বন-ডাই-অক্সাইড ধরে রাখে। ফলে, সেই গাছ যখন কাটা হয় বা পোড়ানো হয়, তখন আমরা সাবাই জানি সেই কার্বন-ডাই-অক্সাইড বাতাশে বেড়ে জায়। আর তার কারনেই আমাদের বেশি গরম লাগে। আর সেই কাজটাই আমরা জেনেশুনে অবাধে বন উজাড় করছি। আমরা রাস্তার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য নাকি গাছ কাটি, অথচ উচিৎ ছিলো রাস্তার ধারে গাছ লাগানো।

আমি বসে বসে গরমে অতিষ্ট হয়ে ভাবছি এই দোষতো আমাদেরি, কি হবে শুধু গরম গরম বলে রাগ হয়ে আর ‍বিদ্যুৎ চলে গেলে। আমাদের কর্মের ফল আমরা ভোগ করছি। এখন এই জটিলতা কিভাবে কাটিয়ে উঠা যায় বলে আপনারা মনে করেন !?

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কথাটা ঠিক বলেছেন ভাই এই যে গরম গরমে সবার অবস্থাই খা প্রায় 40° এর উপরে আজকে। আর বাইরে তো একেবারে যাওয়াই যাচ্ছে না। কি যে একটা অবস্থা! যাই হোক ভাই আপনার পোস্টটা মোটামুটি অনেক ভালো হয়েছে তবে আরও কিছু বিস্তারিত লিখে আর কয়টা ছবি দিলে পোষ্টের মানটা আমার মনে হয় আরো ভালো হতো। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার নিজের জায়গা থেকে সুন্দর করে চেষ্টা করার জন্য।

আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি উল্লেখ করেছেন যাতে করে পোস্টের গুনগতমান আরো এগিয়ে নিতে আরো কিছু বিস্তারিতো লিখে তার সাথে মিল রেখে আরো কয়েকটা ছবি দিলে ভালো হতো। আমি সামনের পোস্টগুলি থেকে কিভাবে আরো পোস্টের গুনগতমান ভালো করা যায় সেটি মাথায় রেখে আরো কিছু ছবি যোগ করে পোস্ট করার চেষ্টা করবো।

এই তীব্র গরমের কারণে আমরাই সবথেকে বেশি দায়ী। কারন আমরা প্রতিনিয়ত গাছ কেটে ফেলছি আর এই কারণেই গরমের পরিমাণটা অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই গরমের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য আমাদের বেশি বেশি পরিমাণে গাছ লাগানো উচিত।

গাছ এবং বৃক্ষরোপণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের সুস্থ বায়ুমণ্ডল এবং প্রাণী জীবনের জন্য গাছের অবদান অসামান্য। গাছের মাধ্যমে কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃশ্বাস, বৃষ্টির জল শংক্রমণ এবং প্রাণীদের আবাস ও খাবার সরবরাহ হয়। তবে, তীব্র গরমে এই গুরুত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য, গাছের সুরক্ষা ও সংরক্ষণে সমাজের অংশগ্রহণ ও শিক্ষার গুরুত্ব মোতাবেক বৃদ্ধি করা উচিত।

একটা দেশে যে পরিমাণে বনাঞ্চল থাকার দরকার সেটা বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে নেই। আর এই কারণটার জন্যই আমাদের দেশের তাপমাত্রা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। আমি বলব এটা আমাদের সকলের কর্মের ফল।

আপু, আপনার মতামত সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ, তীব্র গরমের পরিবেশে গাছের গুরুত্ব অত্যন্ত বৃদ্ধি পায়। গাছ ও বনপ্রাণী জীবনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং তারা সাথে সাথে পরিবেশের সুরক্ষা ও স্থিতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে, এই প্রক্রিয়ার সমস্যার সাথে মোকাবেলা করার জন্য একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ হতে পারে সম্পূর্ণ বৃক্ষরোপণ প্রোগ্রাম শুরু করা। আমাদের সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে আমরা বেশি বেশি গাছ লাগানোর প্রতি প্রবৃত্তি তৈরি করতে পারি এবং পরিবেশের সাথে সাথে একটি সুরক্ষিত ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করতে পারি। এটি আমাদের প্রতিটি ব্যক্তির দায়িত্ব এবং প্রাথমিক দায়িত্ব বলে আমারো মনে হয়।