বন্ধুদের সাথে মাঝে মাঝে শহরের কোলাহল থেকে দূরে কোথাও বেড়িয়ে আসা সবসময়ই আনন্দের। এ রকমই এক বিকেলে আমরা চলে গেলাম সুরঞ্জনা নামক এক পার্কে। পার্কটির নামটা শুনলেই যেন একটা আলাদা অনুভূতি হয়। প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়ার জন্য এমন একটি জায়গা সত্যিই বিশেষ।
সুরঞ্জনা পার্কে ঢুকতে হলে ৫০ টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হয়। সোজাভাবে বলতে গেলে, ৫০ টাকায় প্রশান্তির অক্সিজেন কিনে নেওয়া যায়। এ টুকরো প্রশান্তির সামান্য মূল্য দিতে কারই বা আপত্তি থাকতে পারে? পার্কটিতে ঢুকেই যেন মনটা প্রশান্তি আর আনন্দে ভরে ওঠে।
সুরঞ্জনা মূলত সুন্দরবনের একাংশ। সেখানে প্রকৃতির সাথে মিশে যাওয়ার এক অদ্ভুত মাদকতা আছে। ঢুকতেই আমরা দেখলাম, সবুজে ঘেরা একটি জায়গা, যেখানে নানান রকমের গাছপালা আর ফুলের বাগান রয়েছে। হালকা বাতাসে সেই ফুলের মিষ্টি গন্ধ আমাদের মনকে আরও প্রফুল্ল করে তুলল।
পাখির কিচিরমিচির শব্দে পার্কটা যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছিল। মনে হচ্ছিল, প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গেছি, যেখানে কোলাহল নেই, শুধু পাখিদের মধুর সুর। এই পাখির ডাক শুনতে যে কত ভালো লাগছিল, তা বলার মতো নয়। এই পরিবেশে বসে আমরা সবাই মিলে গল্প করছিলাম, আর সেই সাথে মন ভরে উপভোগ করছিলাম প্রকৃতির সঙ্গ।
পার্কটিতে হাতে তৈরি বিনোদনের জন্য অনেক কিছুই ছিলো। বিভিন্ন ধরনের দোলনা, বাঁশের তৈরি বসার জায়গা, আর ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্য খেলার জায়গা। তবে এসবের মাঝে পাখির সেই কিচিরমিচির শব্দ আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। মনে হচ্ছিল, এ যেন কোনো এক মধুর সুরের কনসার্ট চলছে।
প্রকৃতির কোলে বসে, পাখির ডাকে মন ভরে উঠছিল। আমরা সবাই মিলে অনেক গল্প করলাম, হাসলাম, আর আনন্দ করলাম। প্রকৃতির সাথে এমনভাবে মিশে যাওয়ার অভিজ্ঞতা সত্যিই অসাধারণ। সুরঞ্জনা পার্কের প্রতিটি মুহূর্ত মনে রাখার মতো। মনে হচ্ছিল, এই জায়গা আমাদের জীবনের প্রতিদিনের ক্লান্তি দূর করে নতুন করে বাঁচার শক্তি দেয়।
সুরঞ্জনা পার্কের আরেকটি বিশেষ দিক হলো, সেখানে বিভিন্ন রকমের গাছপালা আর ফুলের বাগান রয়েছে। আমরা সেগুলো দেখে খুব মুগ্ধ হয়েছি। প্রতিটি গাছে যেন আলাদা করে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে পরিবেশটাও বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ছিল, যা আমাদের আরও বেশি মুগ্ধ করেছে।
এই পার্কটি এমন একটি জায়গা, যেখানে একবার গেলে বারবার যেতে ইচ্ছে করবে। প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়ার জন্য সুরঞ্জনা পার্কের জুড়ি মেলা ভার। এই পার্কে বসে পাখির ডাক শুনতে শুনতে আমরা সবাই মিলে প্রকৃতির সাথে একাত্ম হতে পেরেছি। এ এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা, যা কখনো ভুলব না।
বন্ধুদের সাথে কাটানো এই সময়টুকু আমাদের জীবনে নতুন রঙ এনে দিয়েছে। সুরঞ্জনা পার্কে কাটানো এই সুন্দর সময় আমাদের স্মৃতির পাতায় এক মধুর স্মৃতি হয়ে থাকবে। আবার কোনো একদিন আমরা এখানে আসব, এই সুন্দর পরিবেশে আবারও সময় কাটাব। সুরঞ্জনা পার্ক আমাদের মনের প্রফুল্লতা আর প্রশান্তির এক নতুন ঠিকানা।
৫০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে এই পার্কে প্রবেশ করতে হয় জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। এই ধরনের পার্কে কখনো যাওয়া হয়নি। তবে বোঝা যাচ্ছে জায়গাটি অনেক সুন্দর। আপনি খুবই দক্ষতার সাথে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। সুরঞ্জনা পার্কের দৃশ্যগুলো দেখে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। সুরঞ্জনা পার্কের সৌন্দর্য ফটোগ্রাফিতে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র। আপনি পার্কে গেলে এর প্রকৃত সৌন্দর্য আরো বেশি উপভোগ করতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনাকে!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit