দারুণ একটি বিকেল।

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

IMG_20221016_163704.jpg

হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমি অসুস্থতার কারনে অনেকদিন আগেই গ্রামে এসেছিলাম ঢাকা থেকে। গ্রামের পরিবেশ আমার এমনিতেই অনেক টানে। আর এই শীতের সময়টা আমার সবচেয়ে প্রিয়। গ্রামে কেমন একটা আমেজ পূর্ণ অবস্থা বিরাজ করে সব সময়। এ সময়টায় বিকেলের রোদ টাও দারুন লাগে। আমাদের বাড়ির পাশে মাঠে যখন আমি যাই, বিকেলে মাঠের পরিবেশ চেয়ে দেখলেও মন প্রশান্তিতে ভরে যায়।

আজ দুপুর বেলায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। কিছুদিন যাবত হলো দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস হয়ে গেছে। হাই পাওয়ারের ওষুধ খেয়ে শরীর অত্যন্ত ক্লান্ত থাকে তো সবসময়, এজন্য যখন শুই তখনই ঘুমিয়ে যাই। গোসল খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তো ঘুম থেকে উঠে ভালো লাগছিল না৷ ঘুম থেকে উঠার পর যেমন হয় আর কি। চিন্তা করলাম একটু মাঠের দিকে যাই চেয়ার টা নিয়ে। চেয়ার টা নিয়ে মাঠের দিকে আসলাম। সত্যিই মাঠের দিকে তাকিয়েই মনটা যেন ফ্রেশ হয়ে গেল৷ হালকা বাতাস, মিষ্টি মিষ্টি রোদ, সবুজ মাঠ। শীতের আমেজ আসবে আসবে ভাব। গ্রামের মধ্যে শীতের হাওয়া একটু আগেই লাগে৷ শহরে তো শীত পড়ে মাত্র এক মাস। গতকালকেও সন্ধ্যার সময় বাজারে গিয়েছিলাম গেঞ্জি পড়ে, শীত লাগতেছিল। যাহোক শীত আসবে এমন একটা জানান দিচ্ছে প্রকৃতি ৷

আজ মাঠের এখানে এসে শুধু শুধু বসে সময়টা কেন নষ্ট করবো। তাই একটু লেখালেখি করছিলাম। লেখালেখি শেষ, অনেকক্ষণ যাবৎ বসে ছিলাম। এরপর চেয়ার টা নিয়ে আবার ঘরের দিকে যাব ওই সময় আমার চোখে পড়ল আমাদের রান্না ঘরের দেয়ালের পাশ দিয়ে অনেকগুলো তালের আটি রেখে দেওয়া হয়েছে। আমিতো বাড়ি বেশি থাকিনি তাই ব্যাপারটা আমার মাথায় ছিলনা। তখনই মাথায় আসলো আমার যে কোনো মূল্যে এ ফুপড়া এখন কেটে খেতেই হবে। ঘর থেকে দা এনে প্রায় দশটা মতো কেটে ফেললাম।

1665915568552-01.jpeg

1665915594452-01.jpeg

1665915625937-01.jpeg

প্রথমে দেখে ভাবছিলাম হয়তো ভিতরে নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু সারপ্রাইজলী একটাও নষ্ট ছিলো না। বেশ মজার সাথেই কাটলাম সবগুলো । এখানে আরেকটা মজার বিষয় বলি, ফুপড়া বের করার পর ভিতরে যে আকাশী কালারের অংশটুকু থাকে ওইটুকু খেতে আমার দারুন লাগে। আমি ছোটবেলায় এটা খেতাম আর বলতাম যে এটা হচ্ছে আকাশ। আকাশ খাচ্ছি আমি । হাহাহাহা।।

1665915655688-01.jpeg

এই ফুপড়া আমার আপু খুবই পছন্দ করতো। আমরা যখন ছোট ছিলাম আমার মনে আছে আপু এগুলো কেটে কেটে দিত আর আমরা বসে বসে খেতাম। আমি ভিতরের ওই নীল রঙের অংশটুকুও চামিচ দিয়ে কুরে কুরে খেতাম। কিছুদিন আগেই আপুরা আমাদের এখান থেকে ঘুরে গেল তখন যদি আমি জানতাম এখানে তালের আটি আছে তাহলে আমি তখনই আপুদের সাথে মজা করে সবাই একসাথে খেতাম। যাইহোক দশ পিচ মত কেটেছিলাম। কেটে যেটা হলো সেটা পেয়েই খুশি।

1665915706859-01.jpeg

1665915741267-01.jpeg

কাটা শেষ হওয়ার পর একটু মজা করে বাটিতে এগুলো রেখে আমাদের নিজেদের ধানের জমি পিছনে রেখে কয়েকটি ছবি তুললাম। আসলে এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলো আরও অনেক বেশি ভালো লাগে যখন আপনাদের সাথে শেয়ার করি। যাইহোক এখন পোস্ট লিখতেছি ইতিমধ্যেই খাওয়া শেষ। এখন আবার এগুলো রেখে দিতে বলে কেউ দাওয়াত চাহিয়া লজ্জা দিবেন না। হাহাহা।। আরো কয়েকটা রেখে দিয়েছি। সেগুলো আরেকদিন কেটে খাব। এই সুন্দর বিকেলে সবাইকে এই ছোট্ট একটা পোস্ট উপহার দিয়ে বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে ইনশা আল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সন্ধ্যার পর বাইরে বের হলে শীতের আগমনী বার্তা বেশ ভালোভাবেই পাওয়া যাচ্ছে। আমি গতরাত্রে ফুল শার্ট পরে বাইক চালাচ্ছিলাম তবুও অনেক ঠান্ডা লেগেছিল।
যাইহোক ভাইয়া আপনার তালের বিচি কেটে খাওয়ার দৃশ্য দেখে আমারও ছোটবেলা মনে পড়ে গেল। হা হা হা আজকে অনেকগুলো আকাশ খেয়ে ফেললেন। তবে একথা সত্যি বিচির মাঝখানে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলে মনে হয় নীল আকাশ দেখছি। আসলে এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলো না থাকলে আমাদের জীবনের আনন্দটাই হারিয়ে যেত। খুব দ্রুত আপনার সুস্থতা কামনা করছি।

বিচির মাঝখানে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলে মনে হয় নীল আকাশ দেখছি।

আমারও ঠিক একদম এরকমই মনে হয়।

Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

হাহাহা! আপনি তাহলে অনেকগুলো আকাশ খেয়ে ফেললেন ভাইয়া 😁। তালের আটি তো ছোটবেলায় হাজার বার চেষ্টার পরেও ফাটাতে পারতাম না। বার বার যেন ব্যর্থ হতাম। গ্রামের ওয়েদার আসলেই অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে। শীতের সময় যে এসে গেছে তারই জানান দিচ্ছে। আশা করি আপনার শরীরটা এখন ভালো আছে 🌼

আপনার পোস্টে অনেক দিন পর তালের আটি দেখতে পেলাম ভাইয়া। ছোটবেলায় আমি আমাদের বাসায় তালের আটি খেতাম। কিন্তু এটা খেতে দাঁত লেগে যেত। কারণ অনেক শক্ত থাকতো। তবে অনেক ভালো লাগতো। আপনার তালর আটি দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছে। খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আসলে আজকে অনেক রোদ পড়েছে আর আবহাওয়াটা অনেক গরম ছিল। তবে গ্রামের প্রকৃতি পরিবেশ অনেক সুন্দর লাগে সবুজ শ্যামলে ভরা এবং শীতল বাতাস, আর গ্রামে শুনলাম একটু একটু ঠান্ডা পরেছে। যাই হোক আজকে আপনার ফটোগ্রাফি আমার দারুন লেগেছে এবং ছোটবেলায় কথা মনে পরছে। কারণ ছোটবেলা এই তালের আঁঠি খাওয়ার জন্য কত মারামারি করাকরি হত। ভিতরের আঁশ আসলে খুবই ভালো লাগছে খেতে।দেখে খুব খেতে ইচ্ছা করছে।

ছোট্ট পোস্ট উপহার না দিয়ে এগুলো উপহার দিলে অন্তত টেস্টটা বুঝতে পারতাম ভাই।😛আমার ও একই অবস্থা,খালি ঘুম আসে।

ওগুলো খেতে হলে চলে আসতে হবে কুষ্টিয়া। 😜

খুবই সুন্দর একটি বিকাল উপভোগ করেছেন। বিকেলবেলা সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে তালের আঁটি খাওয়ার মুহূর্তটা অসাধারণ, ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।

আপনার অসুস্থতার কথা শুনে আসলেই মনটা খারাপ হয়ে গেছিল 🥲, আপনি যে একদিন আমাকে কত বড় উপকারটাই করেছিলেন তার ঋণ আমি কখনোই শোধ করতে পারব না। ❤️😍, তালের আঁটির শ্বাসের আকাশি অংশটুকু খেতে আপনার মত আমার অনেক ভালো লাগে ছোটবেলায় এগুলো অনেক খেয়েছি এখনো সময় পেলে খাই 🥰 গ্রামের‌ পরিবেশের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি চোখটা জুড়িয়ে গেল। সর্বোপরি দোয়া করি আমার সুমন ভাই যেন সব সময় সুস্থ থাকে ভালো থাকে ❤️💕🙏

আপনারও দেখছি বাড়িতে এসে আমার মত অভ্যাস হয়ে গিয়েছে, আমারও দুপুরবেলায় পেট পুরে খাওয়ার শেষে ঘুম দিতে হয়। আর ঘুম থেকে ওঠার পরেই মনটা কেমন যেন করে আর প্রকৃতির সার নিতে গেলে সব মন খারাপ দূর হয়ে যায়। আপনার এই পোস্ট দেখে আমার ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল, আমাদের বাড়িতেও তালের গাছ আছে আর তালের আটি থেকে ফুকরা বের করে ছোটবেলায় চাচাতো ভাইদের সাথে একসাথে বসে খেতাম।

আর বলিয়েন না ঢাকাতে আজকে যা রোদ উঠেছে, ফ্যান চালিয়ে গরম লাগছে।আমার তো মনে হয় শীতকাল টা শহর থেকেই উঠে যাবে😉।গ্রামে একটু একটু ঠান্ডা পরেছে শুনলে, মনে হয় সব কিছু ছেড়ে দিয়ে গ্রামে চলে যাই। যাই হোক তালের বিচির এই ভিতরে ফুপড়া গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।নারিকেলের ফুলগুলো ও আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।ধন্যবাদ

যা বলেছেন আপু।।।
নারিকেলের ঐটাও আমার দারুন লাগে ।

শহরে লংটাইম স্টে করা আসলেই অনেক কষ্টের। দীর্ঘমেয়াদি প্লান করেন গ্রামে সেটেল হওয়ার জন্য।

আমেজ আসবে আসবে ভাব। গ্রামের মধ্যে শীতের হাওয়া একটু আগেই লাগে৷ শহরে তো শীত পড়ে মাত্র এক মাস।

ভাইয়া, এটা একদম ঠিক কথা গ্রামের মধ্যে শীতের আমেজ টা খুব তাড়াতাড়ি টের পাওয়া যায়।শীত আসতে আরো একমাস রয়েছে,এখন সকালে দেখা যায় চারদিকে কুয়াশা পড়ছে।আমার এদিকে পাহাড়ি এলাকা শীত মনে হয় তাড়াতাড়ি পড়া শুরু করেছে। যাইহোক ভাইয়া, আপনার তালের আটি কাটার দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো। ছোটবেলায় আমিও তালের আটির মধ্যে ফুপড়া খেতে পছন্দ করতাম। তালের আটি নিয়ে আমরা ভাই বোনে খুব ঝগড়া লেগে যেতাম ওই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল, আর তালের আটি কাটার পর ফুপড়া নেওয়ার পর যে নীল অংশটা থাকতো সেটাই চামচ দিয়ে বের করে খেতাম আর খেতেও বেশ দারুন লাগতো।ভাইয়া,আপনার লেখাটি পড়ে সত্যিই অনেক ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ 💐💐

তালের আটি নিয়ে আমরা ভাই বোনে খুব ঝগড়া লেগে যেতাম।

হাহাহা.. মজা পেলাম।

আপনাদের কত্তো মজা। পাহাড়ি এলাকায় বাস করেন।

ছোট ছোট মুহুর্তগুলো জীবনকে আরো বেশী আনন্দময় করে তোলে এবং সময়গুলো আরো বেশী রঙিন হয়ে উঠে। সত্যি শৈশবের সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেলো। বাড়িন ওঠান হতে তালের বিচি নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হতো তারপর সেগুলোর ফুলকা (আমরা ফুলকা বলে ডাকতাম এগুলোকে) নিয়ে দারুণ মজা করতাম এবং তারপর সবাই মিলে ভাগ করে খেতাম। কত সুন্দর ছিলো সেই দিনগুলো! ফটোগ্রাফিগুলো কিন্তু দারুণ হয়েছে।

ছোটবেলার ওই দিনগুলো সত্যিই দারুণ ছিল। জীবন নিয়ে কোন টেনশন ছিল না। হই হুল্লোর খেলাধুলা ই ছিল মেইন কাজ।

আসলেই ভাইয়া গ্রামের মনোমুগ্ধকর পরিবেশের মাঝে এক প্রশান্তি আছে ৷ যা কেবল মাত্র গ্রামে থাকলে অনুভব করা যায় ৷ শীতও পড়ে গেছে গ্রামের সবুজ মাঠে ৷ ভোর বেলা বেশ ভালোই শীত লাগে ৷ আপনি দারুণ একটি বিকেল উপভোগ করেছেন ৷ সাথে অনেক লোভনীয় কিছু খাবার খেয়েছেন ৷ আসলে আপনার তালের আঁটি দেখে আমারও বেশ খেতে ইচ্ছে করছে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর বিকালটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ৷

ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।

সত্যি বলতে ভাই গ্রামকে নিয়ে আসলে মনের অনুভূতিগুলো বলে শেষ করার যাবেনা আমি ছোটকাল থেকে এখন পর্যন্ত গ্রামেই বসবাস করছি তাই গ্রামের প্রতিটি কণার রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে আছে ৷ ভালোবাসি প্রচুর ভালোবাসি সবুজ মাঠ ঘাট প্রান্তর৷ তালের বিচি নিয়ে বেশ কিছু মুহূর্ত আছে আমারও৷ আসলে তাল কিন্তু কঠিন শক্ত আর খেতে অনেক মিষ্টি৷ সে সময় আমার ছোট্টবেলার তালের বিচি কামড় দিতে গিয়ে দাঁত উপড়ে গিয়েছিল৷
যাহোক আপনি গ্রামে এসেছিলেন ৷ আপনার শারীরিক সুস্থতা কামনা করছি ৷আপনার এলার্জি কি এখন ঠিক কেমন হয়েছে তা জানাবেন এমনটাই প্রত্যাশা ৷

এলার্জি কি এখন ঠিক কেমন হয়েছে..

আগের থেকে অনেক ভালো।

আপনার কমেন্ট পড়েই গ্রামের প্রতি আপনার ভালবাসার গভীরতা টা বুঝতে পেরেছি।

এই ফুপড়া ছোটবেলা থেকেই আমি খুব পছন্দ করতাম, এখনো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে খেতে। কিন্তু ভাই আকাশ খেতে পারতাম না অনেক শক্তের জন্য হাহাহা! আপনার তোলা ছবিগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনি গ্রামে খুব সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করছেন।আপনার পোস্ট দেখে জানতে পারলাম আপনি শারীরিকভাবে অসুস্থ যেহেতু হাইপাওয়ার এর ঔষুধ খাচ্ছেন।দোয়া করি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান এবং গ্রামের মনোরম পরিবেশ আরো বেশি উপভোগ করুন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর সুন্দর ছবিগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

একদিন আকাশ খেয়ে দেখবেন ভাই। ভালোই লাগে। 😛

ঠিক আছে ভাই অবশ্যই খাবো,যেহেতু আপনি বলছেন। হাহাহাহা!

ভাইয়া আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমার সেই ছোটবেলার তাল বীজের ফুপড়া খাওয়ার কথাগুলো মনে পড়ে গেল। যাহোক বিকেল বেলার সময়টুকু দারুন ভাবে উপভোগ করেছেন। একই সাথে বিকেল বেলায় কাটানো মুহূর্তটুকু নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।

আপনার কিছুদিন হলো দুপুরে ঘুমের অভ্যাস হয়েছে। আর আমার তো সারা জীবনের অভ্যাস দুপুরে ঘুমানো। শীতকালে গ্রামীন পরিবেশে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে ধান ক্ষেতে শিশির পরা দেখতে চমৎকার লাগে। এই তালের আঁটিগুলো ছোটবেলায় অনেক খেয়েছি। তারপরে আর কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার তালের এই শাঁস গুলো দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। কয়েকটি আমার জন্য নিয়ে আসবেন আসার সময়। ঠিক বলেছেন এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই আসলে জীবনের আনন্দ। খুব ভালো লাগলো দেখে।

বলেন কি!! সেই ছোটবেলায় খেয়েছেন??

কি করবো ভাইরা একা একাই খায়। একটু খাওয়ায় না। তাহলে বড়বেলায় কেমনে খাবো?

প্রকৃতির মাঝে বসে বসে শরীরে হাওয়া লাগানো সত্যিই প্রশান্তির তার সঙ্গে তালের ফাপড়া খেতে দারুণ মজার।এটা আমাদের বাড়ি রোজ বিকেলে কাটা হয় এবং খাওয়া হয়।তবে আপনার আকাশ খাওয়ার গল্পটি দারুণ লেগেছে আমার কাছে।ছোটবেলাটা মনে হয় সকলের এমন ভাবতে ভাবতেই কাটে।ধন্যবাদ দাদা।

আপনাদের ওখানে তো মনে হয় অনেক তাল গাছ। আপনারা তো লাকি। অনেক অনেক ফুপড়া খেতে পারেন।

হ্যাঁ দাদা,তাল বাগান।

কালের ফুফরা খেতে খুবই মজা লাগে ভাই। ছোটবেলায় অনেক খাওয়া পড়তো। তখন বাড়ির পাশেই গাছ ছিল। এখন আর আগের মতো তালের গাছ নেই। কাল খেতে হলেই বাজার থেকে কিনে এনে খেতে হয়। তাও আবার পরিমাণে কম। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

আগের দিন গুলোই আসলে ভাল ছিল।