ধানমন্ডি লেক।

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)


হ্যালো বন্ধুরা। আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। তবে সকাল থেকে গলার মধ্যে কেমন একটা ফিল হচ্ছে। ঠান্ডা লাগার পূর্ব লক্ষণ এটা। আসলে সমস্যা হচ্ছে গরমের সময় সবারই মন চায় ঠান্ডা পানি খেতে। দোকান থেকে ফ্রিজের পানি কেনার পর ওইভাবেই খেয়ে ফেলতে মন চায়। খুবই ভালো লাগে ঠান্ডা পানি খেলে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অতিরিক্ত ঠান্ডা খাওয়ার কারণে ঠান্ডা লেগে যায়। যাইহোক, এটা সাধারণ একটা সমস্যা। সবাই স্বস্তি খোঁজে। সেটা যেখানেই হোক, যেভাবেই হোক। একটু স্বস্তির খোঁজে সবাই মুখিয়ে থাকে।

আজ আমি ধানমন্ডি লেক নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি। ঢাকা শহরের একখণ্ড বিনোদনের জায়গা। শত ব্যস্ততার মাঝে একটু ফ্রি সময় পেলে অনেকেই আসে এখানে দু'দণ্ড বসতে। আমি এর আগেও ধানমন্ডি লেকে বেশ কয়েকবার এসেছিলাম। তবে এবার ঢাকায় এসে গত পরশুদিন বিকেলে গিয়েছিলাম একটু সময় কাটাতে। যদিও আমাদের গ্রামের নদীর পাড়ে গিয়ে দাঁড়ালে যেই অনুভূতিটা পাওয়া যায় তার ধারেকাছেও এটা আসবে না। তবে ঢাকা শহরের ব্যাপারটি এমন যে "নাই মামা থেকে কানা মামা ভাল"। সবাই এইজন্যই যায়। যাহোক সেদিন বিকেলে আমরা যখন গিয়েছিলাম, রিক্সা থেকে নামার পর দেখি গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। জায়গাটা অল্প সময়ের মধ্যেই ফাঁকা হয়ে গেল। কিন্তু আমরা পাশের একটা ছোট্ট ছাউনির নিচে দাড়াইলাম। দু'চার মিনিট পর বৃষ্টি আবার থেমে গেল। তখন আমরা লেকের পাশে গিয়ে বসলাম।

1653271361984-01.jpeg

লেক এর আশেপাশে বিক্রি করা কিছু জিনিস আমরা খেয়েছিলাম। তার মধ্যে আম মাখা, আইসক্রিম, ঝাল মুড়ি, আর চা। লেকের পাশে চা বিক্রি করে কেতলি নিয়ে ঘুরে বেড়ানো চা বিক্রেতারা। চা টা খেতে ছিল জঘন্য। তবে আম মাখা আর ঝাল মুড়ি খেতে খুবই মজার লাগছিল।

Polish_20220523_080755951.jpg

আমি প্রথমে ভেবেছিলাম যে এখানে ঝাল মুড়ি হয়তো খেতে তেমন একটা ভাল লাগবে না। কিন্তু খাওয়ার পর দেখি খুবই সুস্বাদু করে বানানো। কিছু জিনিস আছে একবার খেলে পরবর্তীতে আর খাওয়ার রুচি আসে না। তবে এই ঝাল মুড়ি টা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আমি আবার নেক্সটে অন্য কোনদিন আসলে এখান থেকেই ঝাল মুড়ি খাবো চিন্তা করেছি। আর এটার লোকেশন ছিল ধানমণ্ডি লেকের পাশের মসজিদের পূর্ব সাইডে ।

এরপর আমরা অনেক সময় ওখানে বসে ছিলাম। একটু আগেই বৃষ্টি হয়েছে এজন্য লেকে মানুষের আনাগোনা তেমন একটা ছিল না। আমি বসে বসে আশেপাশের কিছু দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করলাম।

1653271601400-01.jpeg

1653271560142-01.jpeg

1653271543570-01.jpeg

1653271493254-01.jpeg

1653271406743-01.jpeg

1653271452283-01.jpeg

অনেক সময় ছিলাম লেকে। রাত প্রায় আটটার দিকে বাসার দিকে এসেছিলাম। তবে ওখানে গিয়ে আমার একটা বিষয় খারাপ লেগেছে সেটা হচ্ছে পাশেই বঙ্গবন্ধুর বাড়ি এবং মসজিদ রয়েছে। এখানে সুস্থ বিনোদনের জন্য ব্যস্ততা শেষে অনেক ভদ্র পরিবার সময় কাটাতে আসে। কিন্তু এখানে হরহামেশাই ধূমপান এবং অশ্লীলতা চলছেই।

একটা ভদ্র সুশীল ফ্যামিলির সাথে যখন তাদের ছোট্ট বাচ্চারা এখানে আসে, ধূমপানের ধোঁয়া আর অশ্লীলতার বাজে দৃশ্যগুলো তাদের চোখে পরলে কি ইফেক্ট পড়বে তাদের মস্তিষ্কে? এত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গার পরিবেশ এমন!! এটা কর্তৃপক্ষের দেখা উচিৎ। যাইহোক আজ আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে আবার নতুন কোন জায়গার গল্প নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ধানমন্ডি লেকে আমার প্রতি সপ্তাহে যাওয়া হয়। শুক্রবার গান বাজনা করি আড্ডা দেই বন্ধুরা মিলে। প্রিয় এই জায়গাটিতে আপনিও বেশ ভাল সময় কাটিয়েছেন ভাই। লোকজন কম থাকলে লেকে হেটে বেশ মজা পাওয়া যায়। আর আপনি যে লোকেশনের ঝাল মুড়ির কথা বলেছেন অইখান থেকে আমিও খেয়েছি। অনেক মজাই লাগে মুড়ি মাখানিটি। তবে লেকের মটকা চা ও মালাই চা খেতেও ভাল লাগে। খেয়েছেন নিশ্চয়ই। আপনার লেখা নিয়মিত দেখার চেষ্টা করি। ভালবাসা রইল আপনার জন্য ভাই। ভাল থাকবেন।

ধূমপানের ধোঁয়া আর অশ্লীলতার বাজে দৃশ্যগুলো তাদের চোখে পরলে কি ইফেক্ট পড়বে তাদের মস্তিষ্কে?

কথাটা আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই। আমিও মাঝে মাঝেই গেছি আগে যখন ধানমন্ডি ছিলাম। পরিবার নিয়ে বিশেষ করে রাতের বেলা যাওয়া একদম ঠিক না এই নোংরামি রাতের বেলা বেশি দেখা যায়। তবে আমিও মনে করি কর্তপক্ষের এই বিষয়টা নিয়ে কাজ করা উচিত। ধন্যবাদ ভাই আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।

একটা ভদ্র সুশীল ফ্যামিলির সাথে যখন তাদের ছোট্ট বাচ্চারা এখানে আসে, ধূমপানের ধোঁয়া আর অশ্লীলতার বাজে দৃশ্যগুলো তাদের চোখে পরলে কি ইফেক্ট পড়বে তাদের মস্তিষ্কে? এত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গার পরিবেশ এমন!!

গ্রামের নদীর পাড়ের কাছে এই শহরের লেকের পাড় হয়তো কিছুই না। তবে সবাই একটুখানি প্রশান্তি খোঁজার জন্য এবং নিরিবিলি সময় কাটাতে সেখানে যায়। অনেকে পরিবার নিয়ে সেখানে ঘুরতে যায়। সেখানে ছোট বড় সবাই থাকে। আর যারা সেখানে পরিবার নিয়ে ঘুরতে যায় তারা যদি কোন অশ্লীলতার সম্মুখীন হয় তাহলে এই বিষয়টি খুবই খারাপ লাগে। আসলে বাচ্চারা যদি অশ্লীলতা দেখে তাদের মস্তিষ্কের উপর বাজে একটি ইফেক্ট পরতে পারে। কারণ তারা বিনোদনের জন্য সেখানে ঘুরতে গিয়েছে ও নিজের বাবা-মায়ের সাথে সুন্দর সময় কাটাতে গিয়েছে। আসলে আমার মনে হয় এসকল জায়গাগুলোতে অনেক বেশী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা উচিত। এই জন্য কর্তৃপক্ষকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে এবং সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তবে যাই হোক আপনি আপনার কাটানো মুহূর্ত এবং অনুভূতি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

আপনি একদম ঠিক বলেছেন। গ্রামের নদীর পাড়ের যে পরিবেশ তার কাছে এইসব কিছুই না।

বেশ কয়েক বছর আগে ধানমন্ডি লেকে গিয়েছিলাম।আজকে আপনার পোস্ট দেখে মনে পরে গেলো।ভাইয়া তো দেখছি অনেক কিছু খেয়েছেন।আমার ও এই রকম সম্যাসা হয়, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খেলে,তারপর ও খাই।ব্যাথা হলে হবে,তাও ফ্রিজের পানি ছাড়া সম্ভব না।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

আসলে যেটা নিয়ে সমস্যা ওটা একটু এড়িয়ে চলাই ভালো।

আসলে ভাইয়া লেকের পাড়ে এই সৌন্দর্য পরিবেশের মধ্যে আপনি রাত আটটা পর্যন্ত ছিলেন। তবে একটা বিষয় আমার খুবই খারাপ লাগলো, এখানে সুন্দর পরিবেশ ভদ্র সমাজে এবং ছোট ছোট বাচ্চারা এখানে আসে। কিন্তু এই সুন্দর পরিবেশের মধ্যে পরিবেশটা নষ্ট করতে ধূমপান এবং অশ্লীলতার দেখা যায়। যা আমাদের পরিবেশকে অনেক খারাপ দিকে নিয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে বাচ্চারা এখানে এসে এই দৃশ্যগুলো দেখে তাদের মন মানসিকতা অনেকটাই নষ্ট হয়ে যাবে। যাইহোক খারাপ দিকগুলো যদি এখান থেকে দূর করা যায়, তাহলে অনেক ভালো হবে।

ধানমন্ডির লেক টি আসলে খুব সুন্দর। খুবই নিরিবিলি পরিবেশে। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে আপনার খাবার-দাবার আম মাখা, ঝাল মুড়ি,আইসক্রিমের ,চা ছবি দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে ভাইয়া। মামা দের হাতের এমন ঝাল মুড়ি খেতে আসলে কি ভালো লাগে। আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া অনেক সময় অনেক ভদ্র পরিবারের মানুষের সাথে ঘুরতে বেড়াতে এসে। তখন তারা যদি এমন ধূমপানের ধোয়া এবং অশ্লীলতা কোন পরিবেশ দেখে নিশ্চয়ই খুব খারাপ লাগে। এটা কর্তৃপক্ষের নজরে নেওয়া উচিত এবং খুব শীঘ্রই এটার জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। আপনাকে ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

ধানমন্ডি লেক প্রায় ২০১৫ সাথে গিয়েছিলাম তবে সেই সময়ের সব আজো পরিবর্তন হয়নি। আমার দেশ তো তাই এরকম। এখন শুধু ধানমন্ডি নয় আর সব বিনেদন পার্ক গুলোতে দেখা যায় সব এই কর্মকান্ড। যাই হোক এটি মনে করি কর্তৃপক্ষদের কিছু দোষ আছে যার কারনে এই আবস্থা। সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।

আমি এই ভয়ে শত গরমেও ঠান্ডা পানি খাই না। ঠান্ডা পানি খেলেই কাশি শুরু।
ধানমন্ডি লেকে যত মানুষ থাকে গিয়ে আরাম পাওয়া যায় না। বৃষ্টি হওয়াতে আপনাদের লাভ হয়েছে। ফাঁকা পেয়েছেন।
রাস্তার সাইডের এই সব খাবার আমার খুব ভালো লাগে । কিন্তু আমার হাসবেন্ড এগুলো একদম পছন্দ করেনা। এইজন্য খুব একটা খাওয়া হয়না। আপনার আম মাখানো দেখে মনে হচ্ছে যে খুবই মজাদার ছিল।
শেষের ছবিটা অসাধারণ ছিল।
এইসব পার্ক লেক এ আসলে পরিবার, বাচ্চাদের নিয়ে পরিবেশের কারণে যেতে ইচ্ছা করে না।

একদম ঠিক বলেছেন আপু। আমরা যখন ওখানে গিয়ে পৌঁছলাম তখন অনেক ভিড় ছিল। কিন্তু বৃষ্টির পর প্রায় ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। বৃষ্টি হয়ে আমাদের জন্য ভালোই হইছিল।

ভাইয়া দেখি ঢাকা শহরের এসে ভালই ঘোরাঘুরি করছেন রাত বিরাতে ।আবার ধানমন্ডি লেকে বেশ মজা করছেন। আসলে আপনি ঠিক বলেছেন নাই মামার থেকে কানা মামা ভাল। ঢাকার বুকে একটুখানি বিনোদনের জায়গা একটুখানি নির্মল বাতাস পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই ধানমন্ডি লেকে যেতে হবে। কিন্তু আপনার বাড়ির পাশের নদীর যে অনুভূতি সেই অনুভূতি কখনো এখানে পাবেন না আর সেই অনুভূতির সাথে তুলনা করাও যাবেনা। কিন্তু যাদের সেই অনুভূতি উপভোগ করার মতো সময় সুযোগ ও জায়গা নেই তারা তো এইটা কেই তাদের স্বর্গ মনে করবে এটাই স্বাভাবিক। যাইহোক আপনি ঢাকায় এসে খুব দারুণ সময় উপভোগ করছেন এবং আমাদের মাঝে দারুন সব ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন ।সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ইচ্ছে আছে ঢাকাতে প্রচুর ঘুরবো। ৪-৫ বছরের মধ্যে ঢাকার সব জায়গায় ঘোরা শেষ করবো। দেখা যাক কি হয়।

ঢাকার সব জায়গা ঘুরতে ৪/৫ বছরে লাগাবেন🙄🙄🙄।ঢাকা কি এত বড়!!! আর এত জিনিস আছে??

ভাই শহরের মধ্যে এক টুকরো সবুজ হচ্ছে এ ধানমন্ডি লেক। এখানে আমিও বহু বার গিয়েছি। তবে কখনো ঝালমুড়ি বা আম মাখা খাইনি। আপনার মত এই অশ্লীলতা আর যেখানে সেখানে ধূমপান আমারও চোখে পড়েছে। যা সার্বিকভাবে লেকের পরিবেশ নষ্ট করছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এ ব্যাপারে নজর দেয়ার মত কেউ নেই। আর আপনার তোলা সব শেষের ছবিটা চমৎকার এসেছে। ধন্যবাদ অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য

পরে আবার কখনো যদি যান তাহলে ঝাল মুড়ি খাওয়ার ট্রাই করবেন। কারণ উনি ওখানে নিয়মিতই বসে যতদূর জানি।

রোজার কিছুদিন আগে আমি ঢাকায় গিয়েছিলাম। তখন বিকেলের দিকে ধানমন্ডি লেকে গিয়ে একদম রাত পর্যন্ত সেখানে আড্ডা দিয়েছিলাম। কারন ঢাকা শহরে এত ব্যস্ততার মধ্যে ধানমন্ডি লেক সময় কাটানোর জন্য উপযুক্ত একটি জায়গা।লেকের পাশেই অনেক ধরনের খাবার পাওয়া যায়। বিশেষ করে এক মামার কাছে আমি পেয়ারা বানানো খেয়েছিলাম। পেয়ারা বানানো এতো সুস্বাদু হয়েছিল যে সে স্বাদ এখনো আমার মুখে লেগে আছে।যাইহোক আপনার ধানমন্ডি লেকে কাটানো কিছু মুহূর্ত এবং সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

তবে আমার কাছে মনে হয় ধানমন্ডি লেকের থেকে রবীন্দ্র সরোবর হাজারগুন ভালো জায়গা।

এস,এস,সি এক্সাম শেষে এবার ঢাকায় গিয়ে আমিও গিয়েছিলাম ধানমন্ডি লেকে।ভাবি বলছিলো বারবার ওখানে যাওয়ার জন্য।ভেবেছিলাম বেশ ভালো জায়গা হয়তো।হুম,জায়গাটা আসলেই সুন্দর কিন্তু আমার জন্য ঠিকঠাক ছিলনা।রবীন্দ্র সরবরের চতুর্দিকে শুধু জোড়ায় জোড়ায় বসেছিল।অনুভূতি মোটেও ভালো ছিলনা আমার😑।
লেকের প্রবেশমুখে আইস্ক্রিম খেতে খেতে একটু সময় কাটিয়েছিলাম ওখানে।সময় কাটানোর জন্য বেশ ভালো জায়গাই বলা চলে।তবে,পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে।উশৃংখলতার মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে দিনকেদিন।
ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর পোস্ট শেয়াররে জন্য🥰

আমাদের সময় আসবে সেই সময় আমরা ধানমন্ডি লেকে যাব ।খুব মজা করেছেন অনেক সুন্দর জায়গা একান্ত নিরিবিলি মনে হচ্ছে। তাছাড়া রাস্তায় বিক্রি করা আমড়া খেতে ভালই মজা লাগে দেখে খাওয়ার ইচ্ছে জাগলো।

কতৃপক্ষ এসব কখনো দেখবে না।এসব অশ্লীলতা আর বাজে মদ্যপান করা মানুষদের জন্যে পরিবার নিয়ে কোথাপ যাওয়াটাই মুশকিল।

ঠিক বলেছেন আপু। পরিবারের সাথে যেখানে সেখানে যাওয়ার এখন রিস্ক।

2015 সালে ধানমন্ডি লেকে আমি এবং আমার এক ফ্রেন্ড একটি ঘুরতে গিয়েছিলাম। বেশ ভালো লাগলো সেখানে এবং পরিবেশটি বেশ মজাদায়ক। সেখানে একটি সেতু রয়েছে সেটার উপরে দাঁড়িয়ে দেখতে পেলাম অনেক বড় বড় মাছ পানির মধ্যে রয়েছে। মনে হচ্ছে যেন অনেক বড় বড় চোখ দিয়ে তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। অনেকক্ষণ ধরে সেই মাছগুলোকে ফলো করলাম দেখলাম একই জায়গাতে স্থির হয়ে রয়েছে। আপনি দেখতে পেয়েছেন কিনা জানিনা। যাইহোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ধানমন্ডি লেকের কিছু ফটোগ্রাফি ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।

আসলে সন্ধ্যার সময় গিয়েছিলাম তো। আর ওই ভাবে মাছ আছে কিনা খেয়াল করা হয়নি।

আমার মনে হয়েছিল একেকটি মাছ ২০ কেজির উপরে হবে। এত বড় মাছ ছিল ভাই দেখলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। যাই হোক কখনো সুযোগ পেলে একটু দেখবেন হয়তো এই মাছগুলো এখনো রয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।

ধানমন্ডি লেকে কয়েকবারই যাওয়া হয়েছে ভাই। তবে আমার কাছে এই জায়গাটা যতটা না বেশি ভালো লাগে তার থেকে বেশি এর পরিবেশ টা খারাপ লাগে। আপনি ঠিকই বলেছেন এখানে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল কাজ এবং ধূমপান লেগে আছে যেটা আসলে খুবই খারাপ লাগে।

ভাইয়া খুব মনোযোগ সহকারে আপনার পুরো গল্পটি পড়লাম। আমার কাছে খুবই ভালো লাগল। এবং আপনার চমৎকার অনুভূতি থেকে উপলব্ধিগুলো আমিও উপলব্ধি করার চেষ্টা করলাম খুব ভালোভাবে।কারণ এই ধানমন্ডি লেকে আমি বহু বার গিয়েছি।আমার খুব পরিচিত জায়গা এটি।কাজেই লেকের চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে আমি বেশ অবগত।তবে ঝাল মুড়ি এবং আম মাখা খেয়ে যে তৃপ্তি পেয়েছেন সেটা জেনেও ভালো লাগলো।আসলে সমাজকে সচেতন করার আগে নিজে সচেতন হতে হবে। নিজের পরিবর্তন আনতে হবে। নিজের পরিবার থেকে। তবে সামাজিক পরিবর্তন আসবে এটা আমি বিশ্বাস করি। ধূমপান এবং অশ্লীলতার চিত্র আমরা এখন যেখানে সেখানে দেখতে পাই তা পারিবারিক এবং নৈতিক শিক্ষার অবক্ষয় বলা যেতে পারে।♥♥

একদম ঠিক বলেছেন আপু। এটা পারিবারিক এবং নৈতিক শিক্ষা অভাবের ফল ।

সত্যি বলতে সুমন ভাই জায়গাটা আমারও ভীষণ পছন্দের। মাঝে মাঝে আমিও ঘুরতে যাই। যতবারই রবীন্দ্র সরোবরে যাই বেশ ভালো সময় কাটে। তবে শেষের দিকে যে কথাগুলো বললেন আপনার কথার সাথে আমি একমত। আমাদের রুচি বোধ এত নিচে নেমে গেছে যে যেখানে সেখানে অশ্লীলতায় মত্ত হয়ে পরি। ব্যাপারটা খুবই বিব্রতকর যখন পরিবার নিয়ে যাওয়া হয়। আর নেশার কথা তো ছেড়েই দিলাম। বর্তমান সমাজ একটা ফ্যাশন হিসেবে নিয়ে নিয়েছে এটা। জানিনা আমাদের মনে শুভ বুদ্ধির উদয় কবে হবে আর।

আজ বিকেলে রবীন্দ্রসরোবরে যাবো ভাবছি।

আহা ভাই আমি মিস করে গেলাম। আমি তো বাড়িতে, কাল যাব ঢাকা। ☹️,, ব্যাপার না, পরে কোন এক দিন।

গত বছরে ধানমন্ডি লেকে গিয়েছিলাম কিন্তু রাতের সৌন্দর্য দেখা হয়নি। আপনার ছবির মধ্যে সব শেষ ছবিটায় কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। লেকের পাড়ে রাতের আলোর পাশাপাশি কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

এ ধানমন্ডি লেকে অনেক ঘোরাফেরা করেছি, বিকাল থেকে রাত আটটা নয়টা অব্দি। তবে আজকে আপনি যে ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ধানমন্ডি লেকের এতটা নিরিবিলি ধানমন্ডি লেকের অবস্থা আমি কখনই দেখিনি। সব সময় এত এত মানুষ থাকত যে হাঁটাচলায় সমস্যা হয়ে যেত। তবে ভালো ছিল।

আসলে আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন অনেক ভিড় ছিল। কিন্তু যখন হালকা বৃষ্টি হলো তারপরে ভির একেবারেই কমে গিয়েছিল।

ধানমন্ডি লেক, যার নাম বললেই পরিচয়ের কোন প্রয়োজন পড়ে না। সবার মোটামুটি পরিচিত একটি স্থান । বিশেষ করে যারা ঢাকায় কিংবা ঢাকার অদূরে বসবাস করেন। কোন এক সময় জীবনের অনেক সময় এই জায়গায় ঘুরিয়ে বেড়ানোর সুযোগ হয়েছিল। কিন্তু ছবি তোলার এত সুবিধা না থাকায় শুধু মনের ক্যামেরায় বন্দী করে রেখেছি। আজ আবারো মনের পর্দায় ভেসে উঠলো। ছবির সাথে মূল্যবান কিছু বক্তব্য সংযুক্ত করায়, পোস্টটি অন্যরকম মাত্রায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে।

আপনাদের ভালো লাগাতে পেরেছি, এটা শুনেই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রেখে দিলাম।

ধানমন্ডি লেক অপূর্ব জায়গা ছবি দেখেই বুঝতে পারছি দাদা।আসলে এইরকম নিরিবিলি জায়গায় সারাদিন বসে কাটিয়ে দেওয়া যায়।আর নদীর পাড়ে বসে ঝালমুড়ি ,আম মাখা খাওয়ার মজাই আলাদা।দারুণ সময় কাটিয়েছেন দাদা,সত্যিই ধূমপান শিশুদের উপর প্রভাব ফেলে।ধন্যবাদ আপনাকে।

আসলে আপু ওই জায়গাটা কোন সময় নিরিবিলি থাকেনা। বৃষ্টির পরের পরিবেশটা এরকম ছিল।

  ·  2 years ago (edited)

শেষের ফটোগ্রাফি টা মন কেড়ে নেওয়ার মতো। ঝাল মুড়ি দেখে তো জিভে পানি চলে আসলো,আর আম মাখা যে কিনতে পাওয়া যায় তা কখনই দেখিনি, কি দিয়ে মাখানো ছিল কাসুন্দি দিয়ে? অনেক ভালো লাগলো আপনার পোষ্টটি পড়ে।

জ্বি আপু।। কাসুন্দি দিয়ে মাখিয়ে দিয়েছিল। কাঁচা আম কেটে উনারা রেখে দেয়। কেউ কিনতে চাইলে কাসুন্দি দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে দেয়। তবে বাড়িতে আম মাখিয়ে খাওয়ার মত অতটা মজা পাইনি।