বৃষ্টিভেজা ট্রেন জার্নির গল্প।

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)



শাটল ট্রেনে পোড়াদহ।


  • The 18th June , 2022
  • Saturday

হ্যালো প্রিয় বন্ধুগণ। কেমন আছেন সবাই? গতকাল থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভালই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজ সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা, আর থেকে থেকে বৃষ্টি বর্ষণ হচ্ছে। বর্ষাকালের আগমন ঘটে গেছে ইতিমধ্যেই। সঙ্গে ছাতা রাখার সময় চলে এসেছে। বর্ষাকালের বৃষ্টির দিনগুলো রোমাঞ্চকর হলেও বর্তমানে সিলেটের অবস্থা দেখে সত্যিই সময়টা ইনজয় করার মতো আর নেই। সবাই সিলেটবাসীর জন্য দোয়া করবেন।

আমি আজকে একটা সুন্দর মুহূর্তের গল্প শেয়ার করব। আকাশ মেঘলা, রেল স্টেশনে বসে থাকা, ট্রেনের অপেক্ষা করা, বৃষ্টিময় বিকেলে প্লাটফর্মে বসে চা খাওয়া, বন্ধুদের সাথে ট্রেন জার্নি। সবমিলিয়ে সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটিয়েছি গতকাল। অনেকদিন ধরে প্ল্যান করছিলাম আমরা একটু ঘুরতে যাবো ট্রেনে চড়ে। সেই কবেকার কথা......। তখন কলেজে পড়তাম। কোন সেমিস্টারে ছিলাম সেটা মনে নেই। রুমমেট আর বন্ধুদের সাথে গিয়েছিলাম পোড়াদহ জংশন স্টেশনে বিরিয়ানি খাইতে। গোয়ালন্দ টু পোড়াদহ লাইনের রেল পথ মোটামুটি নিরিবিলি। অবসর সময়ে ঘুরাঘুরি করতে করতে, বন্ধুদের সাথে শাটল ট্রেনের দরজায় বসে আড্ডা মারতে মারতে, ছুটে চলা মুহূর্তগুলো স্মৃতি হয়ে থাকে। সত্যি এখন একটু কম ব্যস্ত সময়ে সেই দিনগুলোতে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে।

1655458353198-01.jpeg

1655459734262-01.jpeg

1655538195581-01.jpeg

1655538152604-01.jpeg

1655538261552-01.jpeg

গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে আমরা বেরিয়েছিলাম সেই পুরনো স্মৃতির পুনরাবৃত্তি করতে। ট্রেন ছিল দুপুর সাড়ে তিনটায়। স্টেশন পর্যন্ত আমরা গেছিলাম ৫ জন দুইটা বাইক নিয়ে। স্টেশনে একটা গ্যারেজ আছে, কিন্তু যাওয়ার পর দুর্ভাগ্যবশত সেই গ্যারেজটা বন্ধ দেখতে পেলাম। কি আর করা, আরেকটু পরেই ট্রেন চলে আসবে। আমরা তিনজন স্টেশনের সাইডে গিয়ে বসলাম। আর দুজন বাইক রাখার জায়গা খুঁজতে গেল।

আমি বসে বসে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম আর এদিকে ট্রেন চলে আসার সময় হয়ে গেল। তখন ওদেরকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করা হলো বাইক রাখতে পেরেছে কিনা। ওরা বললো "এখনো জায়গা খুঁজে পাইনি"। আর তখনই ট্রেন চলে আসলো। ফোন রেখে দিয়ে আমরা বসে থাকলাম। আমাদের সামনেই ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। খুবই হতাশ লাগছিল। এত প্লান প্রোগ্রাম করে আসলাম আজকে। আর এখন গ্যারেজ বন্ধ থাকার কারণে সামনে দিয়ে ট্রেন চলে যাচ্ছে কিন্তু উঠতেই পারলাম না। তখন হালকা মেঘ ছিল। আকাশের ওয়েদার টা দেখতে দারুণ লাগছিল। এমন মেঘলা পরিবেশে ট্রেন ভ্রমণের মজাটাই অন্যরকম। কি আর করার.. আমরা হতাশ হয়ে বসে থাকলাম। আর ওদিকে ট্রেন ছেড়ে দিল। ট্রেন ছাড়ার কিছু সময় পর ওদের কাছে ফোন দেয়া হলে ওরা বলতেছে ওরা নাকি ট্রেনে দৌড়ে উঠে পরছে। মেজাজটা তখন এতটাই খারাপ হয়েছিল যে কি আর বলবো।

1655538354782-01.jpeg

ওরা বলল ফোন দেওয়ার সময় পাইনি। ওরা ভাবছে আমরা হয়তো উঠে গেছি। ওদের এইটা ভাবার কোন যুক্তি ছিল না। যাইহোক ওদেরকে বললাম নেক্সট স্টেশনে নেমে থাকতে৷ এরপরের যে ট্রেন আছে আধাঘন্টা পর, সেটাতে আমরা আসতেছি। এরপর আরো অনেক সময় অপেক্ষা করতে হলো পরবর্তী ট্রেনের জন্য। ততক্ষণে প্রচন্ড বৃষ্টি নেমে গেছে। প্ল্যাটফর্মের একটা চায়ের দোকানে গিয়ে চা আর চিপস খেয়ে সময় কাটালাম। এরপর পরবর্তী ট্রেন আসলো। আমরাও উঠে গেলাম একদম শেষের বগিতে। এরপর নেক্সট স্টেশনে গিয়ে ওদেরকেউ তুলে নিলাম। এরপর শুরু হলো আমাদের ট্রেন যাত্রা। ভালোই এনজয় করতে করতে গিয়েছি। তবে আগের ট্রেনে আসতে পারলে আরো বেশি মজা হত।

পোড়াদহ রেলওয়ে জংশন স্টেশনে আমরা পৌঁছেছি সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে। প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিল তখন। ট্রেন থেকে নেমে প্ল্যাটফর্মের ছাউনি পর্যন্ত যেতে যেতেই প্রায় ভিজে গিয়েছিলাম। তবে ওই সময়ে স্টেশন টা দেখতে মারাত্মক লেভেলের সুন্দর লাগছিল। ডায়নামিক ক্লাউড, মুষলধারায় বৃষ্টিময় ওয়েদার। এমন সুন্দর দৃশ্য ক্যামেরায় পারফেক্ট ভাবে নেওয়াটা কঠিন। তবুও নিচের ছবিতে দেখতে পারছেন যতটুকু সম্ভব ক্যাপচার করার চেষ্টা করেছি।

1655538542668-01.jpeg

1655538480541-01.jpeg

1655465242363-01.jpeg

Location: https://w3w.co/pinpoints.unr
Device: Redmi Note 9 Pro Max

বৃষ্টি মাথায় করে একটা বিরিয়ানি হাউসে ঢুকে পাঁচজন খাবারের অর্ডার করে দিলাম। আমি খেয়েছিলাম মোরগ-পোলাও, আর সবাই তেহারি। বেশ তৃপ্তি সহকারে খেয়ে আবার স্টেশনের প্লাটফর্মের চলে এলাম। আমাদের ফেরার ইচ্ছা ছিল রাত নয়টার ট্রেনে। বাসায় ফিরতে ফিরতে হয়তো রাত এগারোটা বারোটা বেজে যেত। প্লাটফর্মে অনেক সময় আড্ডা দেওয়ার ইচ্ছে ছিল খুব। কি আর করার। ওদিকে মোটরসাইকেল গ্যারেজে রাখতে পারিনি। রেখে আসতে হয়েছে একটা দোকানের সামনে। এজন্য টুংগীপাড়া এক্সপ্রেসেই আমাদেরকে ব্যাক করতে হলো। আসার সময় ট্রেনের মধ্যে গল্প গুজব করতে করতে চলে এলাম। কখন যে পৌঁছে গেলাম, বুঝতেই পারিনি।

ট্রেন থেকে নেমে আমরা দ্রুত চলে গেলাম বাইকের কাছে। বাইকের কাছে গিয়ে দেখলাম সবকিছু ঠিকই আছে। টেনশন মুক্ত হওয়া গেল। টেনশন নিয়ে আসলে কোথাও গিয়ে তেমন জমিয়ে আড্ডা দেওয়া যায় না। সামনে আবারও কোন একদিন যেতে হবে। আর এরই মাধ্যমে গত কালকের ট্রেন জার্নি শেষ করলাম। আজকের গল্প এ পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন । আল্লাহ্ হাফেজ।



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার অবস্থায় এখন আমি আছি। মাঝে মাঝেই ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সাথে পোড়াদহ জংশনে চলে যায় শাটল ট্রেনে দারুণ এক অনূভুতি। এবং সন্ধ‍্যার সময় পোড়াদহ জাংশনের বৃষ্টির মূহুর্ত্তের ফটোগ্রাফি টা সত্যি অসাধারণ যাকে বলে ভয়ংকর সুন্দর। কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ব‍্যাপার ছিল। তবে বেশ দারুণ কাটিয়েছেন সময় টা। ভালো লাগল পড়ে।।

ট্রেন দেখে নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস মনে হচ্ছে। লোকাল ট্রেন সব রেল স্টেশনে দাড়ায়। গোয়ালন্দ জায়গাটা চেনা চেনা লাগছে। এটা নিশ্চয় কুমিল্লার পরের রাস্তা হয়তো। যায়হোক, অনেকদিন পর পাচঁ বন্ধু মিলে ট্রেনে ভালো সময় কাটিয়েছেন, সাথে বৃষ্টিও ছিল। ফটোগ্রাফিগুলো অসাধারন লাগছে।

ডায়নামিক ক্লাউড, মুষলধারায় বৃষ্টিময় ওয়েদার। এমন সুন্দর দৃশ্য ক্যামেরায় পারফেক্ট ভাবে নেওয়াটা কঠিন। তবুও নিচের ছবিতে দেখতে পারছেন যতটুকু সম্ভব ক্যাপচার করার চেষ্টা করেছি।

বৃষ্টি ভেজা দিনে আপনি আপনার ট্রেন জার্নি কতটা উপভোগ করেছেন এটা আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। সেইসাথে বৃষ্টিভেজা দিনে ট্রেন জার্নির গল্প শুনে ভালো লাগলো। তবে বাইক গ্যারেজ করে এরপর ট্রেন জার্নিতে গেলে আরো ভালো লাগতো। মাথায় একটি টেনশন থেকেই যায়। তবে যাই হোক সবকিছুই ভালোয় ভালোয় মিটে গেছে এবং ভালো একটি ট্রেনে জার্নি করেছেন জেনে ভালো লাগলো। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য। 💓💓💓

আসলে ভাইয়া বৃষ্টির দিনে ট্রেন ভ্রমণের মজাটাই অন্যরকম। আপনারা ট্রেন ভ্রমণ করতে মোটরসাইকেল নিয়ে আসলেন। ট্রেন স্টেশনের পাশে গ্যারেজে মোটরসাইকেল রাখার জন্য কিন্তু গ্যারেজ বন্ধ থাকার কারণে আপনার মোটরসাইকেল রাখতে পারছিল না। কোথায় রাখবেন সেই জায়গা খুঁজতে লাগল আপনার বন্ধুরা। কিন্তু এখনও আপনার বন্ধুরা মোটরসাইকেল রাখার জায়গা পাচ্ছিনা। ট্রেন আপনাদের সামনে চলে গেল, আসলে ওই মুহূর্তে অনেক কষ্ট লেগেছে আপনার বুঝতে পেরেছি। কিন্তু আপনার বন্ধুরা ঠিকই দৌড়ে ট্রেনে উঠেছে এবং আপনার সামনে ছিল তাও আপনি উঠতে পারেননি। এটা অনেক কষ্টকর কিন্তু আপনার বন্ধুদের ধারণা ভুল ছিল। তাদের বোঝা উচিত ছিল যে আপনারা উঠেননি।

বাহ ঝুম বৃষ্টি হয়েছে দেখা যায়। সিলেট এর অবস্থা আসলেই খুব খারাপ। কাল সামান্য বৃষ্টিটে আমাদের এইদিকের উচু যায়গাতেই পানি জমে গেছে এতো। খুব খারাপ লাগছে সিলেট বাসির জন্য। আপনার বন্ধুরা একটু আগে কল দিলেই আপনিও ট্রেন ধরতে পারতেন। যাক কপাল খারাপ থাকলে যা হয় আরকি। ছবি গুলো সুন্দর ছিলো।

ভাইয়া আসলেই আকস্মিক বন্যার কারণে সিলেটের অবস্থা বেশ ভয়াবহ। আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রার্থনা করা ছাড়া তেমন কিছু করার নেই। আমার নিজের জেলাও বেশ বন্যাকবলিত প্রতিবছর বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়। গত দুই তিন দিন থেকে জেলা শহরের বাইরে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আমি আজকেও অঞ্চলগুলো ঘুরে আসলাম। যাইহোক ভাইয়া বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ শুনতে শুনতে ট্রেন জার্নি আমার কাছে বেশ রোমাঞ্চকর মনে হচ্ছিল। আপনার বন্ধুদের হুট করে ট্রেনে লাফ দিয়ে ওঠার কথাটি শুনে আমি অনেকক্ষণ মনে মনে হেসেছি। শেষ পর্যন্ত সবাই একত্রিত হয়ে বেশ খাওয়া-দাওয়া করে ভালোভাবে ফিরতে পেরেছেন এটাই বা কম কিসের। এরকম বৃষ্টির দিনে বিরানী খিচুরি খাবার গুলো আমার খুব ভালো লাগে। আপনার আনন্দের ভ্রমণ কাহিনীটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

ট্রেন ভ্রমণের গল্প টি পড়লাম খুব ভালো লাগল। লেখাটি পড়তে গিয়ে পুরোটা সময় অনেক উৎকণ্ঠা ও উদ্বিগ্ন তার মাঝে গিয়েছে। কারণ আপনার ভ্রমণটি খুব রোমাঞ্চকর ছিল , না জানি কোন দুর্ঘটনা সামনে অপেক্ষা করছে। বিশেষ করে যে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আপনাদের হোন্ডা গুলো রেখে গিয়েছিলেন ্
যেকোনো সময় হোন্ডাসমুহ হাইজ্যাক হওয়া সম্ভাবনা ছিল। যাই হোক কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।

ভাইয়া আপনার ট্রেন জার্নিয়ের গল্পটা শুনে বেশ ভালই লাগছিল। টিপ টিপ বৃষ্টির সাথে মনের আনন্দ টা ছিল অসাধারণ। তিনটি মোটরসাইকেলে ৫ জন গিয়েছিলেন ট্রেন জার্নি করতে। তবেই ট্রেনের সামনে বসে থাকা সত্বেও ট্রেনে উঠতে পারেননি ছেড়ে দিল ট্রেন। কিছুক্ষণ পরেই ফোন আসলো সাথের বন্ধুরা উঠে গেছে। কিন্তু আপনারা বসে আছেন তখন মেজাজটা কারই বা ভালো থাকে। আপনার এই কথাটা শোনার পর হাসবো না কাঁদবো সেটাও বুঝে উঠতে পারছি না। তবে শেষপর্যন্ত অনেকক্ষণ পর অন্য একটা ট্রেনে গিয়ে মিলিত হলেন। কিন্তু মুষলধারে বৃষ্টি পড়ার ফটোগ্রাফি গুলো ছিল অসাধারণ, উপভোগ করার মতো। আমিও বৃষ্টি খুব ভালোবাসি, আর বৃষ্টির সাথে সাথে প্রকৃতির রূপ পুরোপুরি পরিবর্তন হয়ে যায়। আমাদের সাথে আপনার ভ্রমণের আনন্দ বিষয়টুকু শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।

আমি কোনদিন ট্রেনে চড়িনি কিন্তু ট্রেনে চড়ার আমার খুব ইচ্ছে। বৃষ্টি মাথায় করে একটা বিরিয়ানি হাউজ এ ঢুকে পাঁচজন খাবারের অর্ডার করে দিলাম আমি খেয়েছিলাম মোরগ পোলাও আর সবাই নেহারি। মোরগ পোলাও খেতে আমি অনেক পছন্দ করি ।আপনার মোরগ পোলাও এর কথা শুনে আমার খেতে ইচ্ছে করছে ভাইয়া। কিন্তু কিছু করার নেই ।আপনার কথাগুলো পড়ে বুঝতে পারলাম আপনারা অনেক মজা করেছেন ।আসলেই কোথাও ঘুরতে গেলে সেদিন অনেক মজা হয়। আমি যদি কোথাও ঘুরতে যাই তাহলে তো আমার মনে হয় সেইদিন আমার ঈদ। কিন্তু পেটে বাচ্চা থাকার কারণে এখন আর জার্নি করতে পারিনা। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।দোয়া করি সবসময় ভালো থাকুন।

আপনার ট্রেন ভ্রমণ কাহিনী টা বেশ মজা লেগেছে প্রথমত যখন আপনি জানতে পারলেন আপনার বন্ধুরা ট্রেনে উঠে পড়েছে আপনি ট্রেনে উঠতে পারেননি তখন অবশ্য অনুভূতিটা একটু অন্যরকম লেগেছিল ভেবেছিলাম হয়তো আপনি ট্রেন ভ্রমণ মিস করেছেন।

যাক ভাইয়া তাহলে আপনারা ট্রেন জার্নি করেছেন। গল্পের প্রথম অংশ পড়তে পড়তে ভাবলাম আপনারা বাইকের কারনে ট্রেন ভ্রমন করতে পারবেন না,পরে আরেকটু পড়লাম তখন বুঝলাম আপনার বন্ধুরা উঠে গেছে আপনার ট্রেনে উঠতে না পারার জন্য আপনার বন্ধুদের পরের স্টেশন থেকে ফিরে আসতে হবে,পরের অংশ পড়ার পর বুঝলাম আপনারা পরের ট্রেনে গিয়ে তাদের সাথে করে জার্নিটা কমপ্লিট করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া গল্প পড়তে পড়তে পানির পিপাসা পেয়ে গেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।