হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম নিজামীর স্পেশাল কাঠি রোল খাওয়ার অনুভূতি। লিখেছিলাম আমরা কাঠি রোল খেতে খেতেই হলুদ ট্যাক্সি নিয়ে হাওড়া ব্রিজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। সেখান থেকেই আমার আজকের এই পর্ব শুরু হচ্ছে।
যখন কলকাতায় এসে নির্মাল্য ভাইয়ের সাথে প্রথম দেখা হয়েছিল তখন থেকেই ভাইয়ের কাছে বলতেছিলাম আমার হাওড়া ব্রিজ দেখতে যেতেই হবে। আসলে আমি ছোটবেলা থেকেই সংগীত বাংলা বা ইন্ডিয়ান বিভিন্ন মুভিতে হাওড়া ব্রিজ দেখেছি অনেক বার। সংগীত বাংলায়, হাওড়া ব্রিজ নামের একটা অনুষ্ঠান হতো, পরিচালনা করত মোনালিসা নামের একটি মেয়ে। ওনার অনুষ্ঠানগুলো আমি দেখতাম নিয়মিত। এরপর বিভিন্ন মুভিতে আমি দেখেছি, বিভিন্ন ভিডিওতে দেখেছি, নিউজে দেখেছি। তারপর থেকেই ইচ্ছা জাগত কখনো যদি কলকাতায় যেতে পারি এই ব্রিজটা দেখতে যাব। আলহামদুলিল্লাহ্ ইচ্ছাটা পূরণ হয়েছে। হলুদ ট্যাক্সিতে করে আমরা হাওড়া ব্রিজ অব্দি পৌঁছে গেলাম সন্ধ্যা ছয়টা বিশ মিনিটের দিকে।
সন্ধ্যার সময় আসাটা আরো বেশি উপভোগ্য ছিল। এর কারণ হচ্ছে সন্ধ্যার পর থেকে ব্রিজে লাইট জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এর জন্য ব্রিজের সৌন্দর্যটা আরো অনেক বেশি বেড়ে যায়। তাই দিনের বেলা থেকে সন্ধ্যার সময় আসাটাই আমাদের জন্য বেশি ভালো ছিল। দিনের শেষ ভাগের হালকা আলো আর রংবেরঙের লাইটের সমারোহে ব্রিজের সৌন্দর্য বহুগুনে বেড়ে গেছে। ব্রিজে যখন পা দিলাম তখন থেকেই আমি খুব এক্সাইটেড ছিলাম। অনেক অনেক ফটো তুলেছি আমরা। ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়া গাড়ি এবং ব্রিজের স্ট্রাকচার গুলো আমি খুব মনোযোগ দিয়ে দেখছিলাম আর ভাবছিলাম অবশেষে আমি হাওড়া ব্রিজের উপর। আলহামদুলিল্লাহ্।
হাফিজ ভাই আরিফ ভাই আর নির্মাল্য ভাই সবাইকে ছেড়ে ছবি তুলতে তুলতে আমি একটু বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলাম। পরক্ষণেই আবার ফোন দিয়ে একত্রিত হলাম। এরপর একসাথে হেঁটে চললাম ব্রিজের উপর দিয়ে। অমায়িক একটা অনুভূতি। আমাদের বাংলাদেশের বাস আর কলকাতার বাসের মধ্যে অনেক তফাৎ আছে। দুই দেশের বাসগুলো চেহারা আলাদা। দেখলেই বোঝা যায় এটা বাংলাদেশের এটা কলকাতার। দুরন্ত গতিতে ছুটে চলছে বাস, হলুদ ট্যাক্সি, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, ট্রাক সহ বিভিন্ন রকমের গাড়ি। মাঝেমধ্যে ব্রিজের সাইডে দাঁড়িয়ে নদী আর চলন্ত গাড়িগুলো মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম। জানিনা এখানে মুগ্ধতা কোথায় কিন্তু আমি মুগ্ধতা অনুভব করেছি।
নদীতে চলছে যাত্রীবাহী ট্রলার, ছোট ছোট নৌকা। এ এক অপরূপ সৌন্দর্য। সন্ধ্যার সময় না আসলে এই সৌন্দর্যটার উপভোগ করতে পারতাম না। ব্রিজের সুউচ্চ কাঠামো ব্রিজের বিশালতার জানান দিচ্ছিল। প্রত্যেকটা জিনিসের মধ্যে থেকে সুনিপুণভাবে আমার নিজের জন্য সৌন্দর্যগুলো বের করে নিয়ে আসছিলাম আর উপভোগ করছিলাম। এটি আমি করতে পারি কারণ আমি সৌন্দর্য পিপাসু। আমি এমন কিছু জায়গা থেকে সৌন্দর্যের আভাস পাই যেটা অন্যের কাছে নিতান্তই তুচ্ছ বস্তু।
হাফিজ ভাই, আরিফ ভাই, নির্মাল্য ভাই আর আমি চারজন অনেকক্ষণ হেঁটেছি। এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে হেঁটে গিয়েছি। মজার মজার হাঁসি ঠাট্টার মধ্যে দিয়ে আড্ডা দিতে দিতে ৬:৩৫ মিনিটে অপর প্রান্তে পৌঁছালাম। পুরো সময়টা আমার জন্য ছিল স্পেশাল। আর এই পর্বটি ও আমার জন্য স্পেশাল। যাইহোক বন্ধুরা আগামি পর্বে শেয়ার করব হাওড়া ব্রিজের নিচের নদী দিয়ে পার হওয়ার অনুভূতির গল্প। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তী পোস্টে দেখা হবে ইনশাল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।
লোকেশন:- কোলকাতা হাওড়া ব্রিজ।
ডিভাইস:- Xiaomi Redmi note 9 pro max
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া, আপনার হাওড়া ব্রিজ দেখার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো আমার। সন্ধ্যার সময় হাওড়া ব্রিজের সৌন্দর্য আপনারা দারুন ভাবে উপভোগ করেছেন এবং ওই সময়টুকু খুবই আনন্দের সাথেই কাটিয়েছেন। হাওড়া ব্রিজের উপর আপনাদের কাটানো স্পেশাল সময়ের মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিভিন্ন মুভিতে হাওড়া ব্রিজ দেখেছি। আর এই ব্রিজ বাস্তবে দেখার সুযোগ হয়েছে আপনার জেনে সত্যিই ভালো লাগলো। এছাড়া বিভিন্ন মুভি এবং নাটকে দেখেছি হলুদ ট্যাক্সি। সত্যি ভাইয়া আজকে আবারো এগুলো দেখে অনেক ভালো লেগেছে। সুন্দর লাইটিং করা হাওড়া ব্রিজ দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এত সুন্দর জায়গায় ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে। তাই তো সবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন। যাই হোক ভাগ্যিস ফোন ছিল তাই তো একত্রিত হয়েছেন আবার। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আপনার মতো আমিও সংগীত বাংলায়, বিভিন্ন মুভিতে হাওড়া ব্রিজ দেখেছি।কিন্তু সামনে গিয়ে আর দেখার সুযোগ হয়নি।ব্যস্ততা ছিল তাই আর ঘোরা হয়নি।যাই হোক আপনার দেখার সুযোগ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। দাদা আপনাদের ঘুরিয়ে দেখিয়েছে খুব ভালোই হয়েছে।আপনারা তিনজন খুব ঘুরলেন।বেশকিছু ফটোগ্রাফি করলেন।তবে এটা ঠিক ব্রিজে দেখার কিছু না থাকলেও লাইটিং এর কারনে সন্ধ্যার সময়টাতে বেশ ভালো লাগে।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে অনুভূতি গুলো
শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আমারও বেশ সখ হাওড়া ব্রীজ দেখার। সেই সখ কিছু টা হলেও মিটলো মনে হয়। আপনাদের এত সুন্দর ফটোগ্রাফি করে। দেখেই তো বুঝা যাচেছ যে সন্ধ্যার হাওড়া ব্রীজ দেখতে কতটাই না সুন্দর । আমার তো দৌড় দিতে ইচেছ হচ্ছে। বেশ আনন্দ আর প্রশান্তির মধ্য দিয়েই চার গোয়েন্দা হাওড়া ব্রীজ এর সৌন্দর্য উপভোগ করলেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit