ওয়ান্ডারফুল ইফতার ইভিনিং।

in hive-129948 •  6 months ago 

হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামুয়ালাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমাদের জীবনে কিছু কিছু মুহূর্ত খুব স্বল্প সময়ের জন্য আসে কিন্তু সেই মুহূর্তের অনুভূতিটা সারা জীবন মনের মধ্যে গেঁথে থাকে। একটি সরু রাস্তায় যেমন একসাথে পথ চলা যায় খুব কাছে থেকে, ঠিক তেমনি যখনই রাস্তার প্রশস্ততা বাড়ে তখনই ছন্নছাড়া হয়ে যেতে হয়।

জীবনের একটা মুহূর্তে গিয়ে আমাদের প্রত্যেকেরই জীবনের তাগিদে কোথাও না কোথাও প্রস্থান করতে হয়। একসাথে গ্রামের সেই আড্ডা, একসাথে পথ চলা -মনের মত করে আর হয়ে ওঠে না। আজ যখন ফেসবুকে ঢুকলাম তখন দেখলাম গত বছর এই দিনের একটি মেমরি আমার টাইমলাইনে শো করছে। গত বছরে এখনো রোজার ঈদ শেষ হয়নি। এই দিনে হয়তো ২৭-২৮ রোজা ছিল এরকম হবে। আমরা ইফতারির আয়োজন করেছিলাম মাঠের মধ্যে। সেদিনের ফটোগুলো ওয়ান ইয়ার মেমোরিতে আজকে দেখাচ্ছে।

IMG_20240420_221249.jpg

শুধুমাত্র কিছুদিনের জন্য হয়তো এখন সবাই একসাথে হওয়া যায় কিন্তু আগের মতন সেই স্বাধীন ইচ্ছা এবং সে রকম ফ্রী সময় আর হয়ে ওঠে না। এ বছরেও রমজানে আমরা ইফতারির আয়োজন করেছিলাম কিন্তু আমাদের মধ্য একজন মিসিং ছিল শুধুমাত্র তার ছুটি না হওয়ার কারণে। আমাদের আয়োজনটা খুব একটা বড় না তবে প্রত্যেক বছরেই আমরা এরকম নদীর পাড়ে গিয়ে ছোটখাটো পরিসরে একসাথে ইফতার করি। এটা আমাদে হ্যাপিনেস।

1713627955068-01.jpeg

1713628017982-01.jpeg

প্রত্যেক বছর একই জায়গায় আমরা যাই কিন্তু এবার একটু ভিন্ন জায়গায় গিয়েছিলাম। ইফতারির আইটেমগুলো সব আগে থেকেই কিনে এনে সবাই একসাথে বসে ঠান্ডা এই পরিবেশে ইফতার করেছিলাম। ইফতারি শেষ করে ওখানেই নামাজ-কালাম পড়ে একটুখানি রেস্ট নিয়ে এরপর একটু ভারী খাবার অর্থাৎ বিরিয়ানি খেয়েছিলাম।

1713627977738-01.jpeg

1713628109970-01.jpeg

জায়গাটা অসম্ভব সুন্দর ছিল। পরিষ্কার ঘাস আর নদীর একেবারেই পাড়। জায়গাটা ছিল নদীর ওপরের অংশ থেকে বেশ খানিকটা নিচে। তবে আমরা সবাই সেখানে বাইক নিয়েই নেমেছিলাম। আমরা এবার একসাথে ইফতার করেছি মোট ১১ জন। বাজার থেকে ছোলা, মুড়ি, বুন্দিয়া, সিঙ্গারা, পিয়াজি, চপ আর ফলমূলের মধ্যে তরমুজ, আঙ্গুর ফল, খেজুর এগুলো এনেছিলাম।

ভারী খাবারের মধ্যে বিরিয়ানি আনা হয়েছিল যেটা খুবই স্বাদের ছিল। যেহেতু সারাদিন পর খাওয়া দাওয়া তাই শরবত রেখেছিলাম। সাদা পানি আর শরবত খুব খেয়েছিলাম ইফতারের সময়। সব মিলিয়ে সুন্দর ছিল সেদিনের ইফতারের আয়োজনটা। গত বছরের অনুভূতিটাও শেয়ার করেছিলাম এবছরেরটাও শেয়ার করে রাখলাম। স্মৃতি হিসেবে থেকে যাক মুহূর্তগুলো।



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy


20240320_225328_0000.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

20230619_2107145.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আসলেই জীবন জীবিকার তাগিদে আমাদেরকে অনেক সময় বিভিন্ন জায়গায় থাকতে হয়। সেজন্য ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সবসময় একসাথে সময় কাটানো যায় না। তবুও অনেক দিন পরপর হলেও,যদি একসাথে সবাই মিলে মজা করা যায়, সেই মুহূর্তগুলো স্মৃতি হিসেবে থেকে যায়। যাইহোক প্রতি বছরের মতো এবারও একসাথে সবাই মিলে ইফতার করেছেন,এটা দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই। জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর। এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য করার জন্য। এ মুহূর্তগুলো আসলেই স্মৃতিসাবে থেকে যায় আজীবন।

ফেসবুকের এই ব‍্যাপার টা বেশ ভালো লাগে। সুন্দর মতো টাইম লাইনে ভেসে উঠে মূহূর্তগুলো। সঙ্গে সঙ্গে তার পুরো কাহিনী টা মনে পড়ে যায়। এবারে অবশ‍্য রাজু ভাই আমাকে ইফতারের দাওয়াত দিয়েছিল। কিন্তু যেতে পারিনি। বিগত কয়েক বছর ধরেই দেখছি আপনারা এইরকম সবাই মিলে ইফতারের আয়োজন করে থাকেন। ব‍্যাপার টা বেশ ভালো লাগে আমার কাছে

নেক্সট বার তাহলে চলে আসবে তুমিও।

ঠিক আছে ভাই। চেষ্টা করবনে ❣