হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। কলকাতা ভ্রমণের বেশ কয়েকটি পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি ইতিমধ্যেই। আর ৬-৭ টি পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তাই এই কলকাতা ভ্রমণের পর্ব গুলো ক্লোজ। এরপর অবশ্য থাকবে কিছু ফটোগ্রাফি পোস্ট। শেষের দিনটি আমরা কিভাবে কাটিয়েছি সেটাই আজকের পর্বে শেয়ার করব। শেষের দিনটি মোট তিনটি পর্বে ভাগ করেছি। প্রথম ভাগ এই পর্বে তুলে ধরবো।
আমাদের অন্যতম একটা প্ল্যান ছিল কলকাতা থেকে কিছু শপিং করে বাড়ি ফেরার। ইন্ডিয়ান কিছু অরজিনাল প্রোডাক্ট নিয়ে দেশে না ফিরলে কি হয়!! এখানে খুবই সহজলভ্য যতদূর জেনেছি আগে। কলকাতা আসলে সবাই মার্কেট করেই দেশে ফিরতে চায়। শপিং করতে কার না ভালো লাগে। তাছাড়া কলকাতা আসার পর বাড়ির সবার একটা ইচ্ছা থাকে যে কিছু একটা নিয়েই আসবে। তাছাড়া সামনে ছিল ঈদ, এই মুহূর্তে শপিং করা তো অবধারিত। যাইহোক প্রথম দিন আমরা খুব সকাল সকালই বেরিয়ে পড়েছিলাম। আমরা প্রথমেই গেছিলাম নিউমার্কেটে। শ্রীলেদার্স এ গিয়ে শপিং শুরু করলাম প্রথমে। শ্রীলেদার্স থেকে অবশ্য তখন আমি কিছুই কিনিনি। আরিফ ভাই আর হাফিজ ভাই যা কিছু কিনেছিল।
আরিফ ভাই নিজের ফ্যামিলির জন্য বেশ কয়েক জোড়া জুতো কেনে। হাফিজ ভাই ও এদিক-ওদিক দেখছিল। ভাবির জন্য আর শালীকার জন্য জুতো নিল হাফিজ ভাই। হাফিজ ভাইয়ের ছোট্ট মেয়ের জন্যও নিতে হবে।কিন্তু সমস্যা হল ওই মাপের পছন্দসই জুতো পাচ্ছিলাম না। একটা জুতো পছন্দ হলো কিন্তু সেটা দু'সাইজ বড় হবে মনে হলো। হাফিজ ভাইকে বললাম এটাই নিতে। একটু বড় হলে পড়বে সমস্যা নাই। প্রায় ঘন্টা দুই লাগলো আমাদের সবগুলো জুতো কিনতে। অনেকগুলো জুতা কিনে ফেলেছিলাম আমরা। জুতো কিনতে কিনতে এক সময় কিংপ্রোস ভাই চলে আসলো। ভাইকে আসতে বলেছিলাম আমরা এই জায়গাটাতেই। আমি তো শুধুমাত্র ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। কারণ আমি ওই সময় কিছুই কিনি নাই।
জুতো কেনার পর্ব শেষ হওয়ার পর হাফিজ ভাই ভাবীর জন্য একটা ব্যাগ নিল। ব্যাগ পছন্দ করতে একটু সময় লাগলো। ছবি পাঠালো তারপর ভাবী পছন্দ করে দিল তারপর নেয়া হলো। যাহোক শ্রীলেদার্স থেকে সবকিছু কেন কমপ্লিট। আসার সময় একটা লাগেজ নিয়েছিল আরিফ ভাই। ওটার মধ্যে যা কিছু শপিং করা হয়েছে সবকিছু ঢুকিয়ে আমরা চলে আসলাম রুমে। আমাদের প্ল্যান ছিল এগুলো রুমে রেখে তারপর আমরা আবার বাইরে যাব। এগুলো টেনে তো আর ঘুরে বেড়ানো সম্ভব নয়। আসলে আমাদের শপিং করার বাকি ছিল আরো বহু কিছু। আমাদের ইচ্ছা ছিল আরো যে কলকাতার ভালো ভালো কিছু স্ট্রিটফুড টেস্ট করব। এজন্য ব্যাগ পত্র সবকিছু রেখে আবারো আমরা বেরিয়ে পড়লাম।
খাওয়া-দাওয়া পর্ব শেষ করে আবারও শপিং করব এটাই প্ল্যান ছিল। আমরা তেমন কোথাও ঘুরতে পারিনি। কারণ মাত্র দুই দিন আমাদের হাতে সময়, একদিন অলরেডি অতিবাহিত হয়ে গেছে আর আজকের দিনটি। আমিতো এখন পর্যন্ত কিছুই কিনলাম না। আমার বিশেষ করে কসমেটিক আইটেম আর ফার্মেসি থেকে কিছু ওষুধ নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। ওয়াইফের জন্য ঈদের শপিং করারও ইচ্ছে ছিল কিন্তু সেটা সবার শেষে করব ভাবছিলাম। আসলে সময় ম্যানেজই করতে পারতেছিলাম না। কখন কোনটা করব সেটাই মিলাইতেই পারছিলাম না আমরা। আমার সেশনাল পরীক্ষার রুটিন যদি আরো কিছুদিন আগে পেতাম তাহলে সময় নিয়ে আসতে পারতাম। হঠাৎ করে রুটিনটা পাওয়ায় সব কিছু ঝামেলা হয়ে গেল।
যাইহোক এবার আমরা বেরিয়ে পড়লাম স্ট্রিটফুড খাওয়ার উদ্দেশ্যে। কিংপ্রোস ভাইয়ের পরিচিত একটি জায়গা আছে যেখানকার স্ট্রিটফুড নাকি অনেক ফেমাস। রউনা হলাম আমরা ওই জায়গার উদ্দেশ্যে। স্ট্রিটফুড খাওয়ার গল্প শেয়ার করব পরবর্তী পর্বে। আশা করি আপনাদের ভালই লাগবে। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি বন্ধুরা। দেখা হবে পরবর্তী পর্বে ইনশা আল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ঈদ সামনে রেখে যেহেতু কলকাতায় গিয়েছিলেন তাই কমবেশি তো পরিবারের জন্য একটু কেনাকাটা করতেই হয়। তবে কেনাকাটার ক্ষেত্রে আপনি দেখছি একটু পিছিয়ে গিয়েছেন আরিফ ভাই আর হাফিজ ভাই একটু ফাস্ট। তবে জুতার দোকানের যে বড় এরিয়া তাতে পুরোপুরি ঘুরে কেনাকাটা করতে গেলে তো দু ঘন্টা সময় মিনিমাম লাগবেই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুবই অল্প সময়ের জন্য গিয়েছিলেন বলেই টাইম ম্যানেজ করতে বেশ কষ্ট হয়েছে। তবে কোথাও গেলে যদি পরিবারের জন্য কিছু না আনা হয় তাহলে নিজের কাছেই খারাপ লাগে। হয়তো পরিবারের মানুষগুলোও প্রতীক্ষায় থাকে কোন কিছু উপহার পাওয়ার জন্য। যাইহোক সবাই নিজেদের পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার চেষ্টা করেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অবশ্য এর আগে আরিফ ভাইয়ের একটি পোস্টে পড়েছিলাম জুতা কিনার কথা। আজ আবার আপনার পোস্টেও পড়লাম। আসলে কোথাও যাবো আর পরিবার পরিজনের জন্য কিছু আনবো না তা কি করে হয়। যাই হোক খুব অল্প সময়ের জন্য গেলেন তার মধ্যে যতটুকু নিয়ে আসলেন সেটাই বা কম কিসে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শ্রীলেদারে গেলে তো মাথা খারাপ হয়ে যায়। এত সুন্দর সুন্দর জুতা। কিনতে কিনতে যে কত জোড়া কেনা হয়ে যায় তার ঠিক নেই। আর আপনি এখানে গিয়ে না কিনে কিভাবে থাকতে পারলেন । আমি যেই কইবার গিয়েছি অনেক গুলো করে কিনে নিয়ে এসেছি। এদের জুতার মানও খুব ভালো। শুধু বউয়ের জন্য শপিং করলেন আমাদের জন্য খালি হাতে আসলে কি হবে?
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি শপিং করব না করব না করে অনেক শপিং করে ফেলেছিলাম একদম রাতে খাওয়ার জন্য বাইরে বেরিয়ে। পরে সব লিখবনে বিস্তারিত।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমিও যখন কলকাতায় গিয়েছিলাম তখন নিউমার্কেটে গিয়ে শপিং করেছিলাম। আসলেই ইন্ডিয়ান অরিজিনাল প্রোডাক্টস সত্যিই খুব ভালো হয়। তাইতো ইন্ডিয়ায় গেলে পরিবারের সবাই আশা করে থাকে কিছু না কিছু নিয়ে আসবে। যাইহোক আপনারা জুতা কিনতে গিয়ে বেশ ভালোই সময় লাগিয়েছিলেন দেখছি। আমাদের হাফিজ ভাইয়ের শালীকা খুব লাকি এমন দুলাভাই পেয়ে। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit