কনকনে শীতের সকালে খেঁজুরের রস । দৃশ্যপট পুনরাবৃত্তি।

in hive-129948 •  2 years ago 

হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। গত মাসের ৯ তারিখে অর্থাৎ ডিসেম্বরের ৯ তারিখে খেজুরের রস খেতে বেরিয়ে পড়েছিলাম সকাল সকাল। প্ল্যান ছিল বহু আগে থেকেই। কারণ গত বছরেও আমরা ঠিক একই ভাবে রস খেতে গিয়েছিলাম। আমার পোস্ট যারা নিয়মিত পড়েন অনেক আগে থেকে তারা হয়তো দেখে থাকবেন। সে এক দুর্দান্ত মুহূর্ত। এটি হলো আমার গত বছরের সেই পোস্ট:- https://steemit.com/hive-129948/@rex-sumon/36i5lw

1642400728135.png
গত বছরের ছবি

গত বছরের ন্যায় এবারও আমাদের প্ল্যান ছিল ঠিক একইভাবে আমরা সবাই অনেক সকালে ঘুম থেকে উঠেই চলে যাব রস খেতে। বাড়ি থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে এই স্পটটা। খেজুরের রসের জন্য বিখ্যাত এই জায়গাটা। আমাদের জেলার বিভিন্ন স্থানের মানুষ এখানে সকাল সকাল চলে আসে খেজুরের রস খেতে। রস অবশ্য আমাদের গ্রামেও পাওয়া যায় কিন্তু ওই যে একটা এডভেঞ্চার নিতে হবে এটাই হচ্ছে বড় বিষয়। আমাদের প্ল্যান মত আমরা সকাল পাঁচটার দিকে ঘুম থেকে উঠে রেডি হয়ে সাড়ে পাঁচটা ছয়টার দিকে বেরিয়ে পড়েছিলাম।

প্রথমে বাড়ি থেকে আমরা রওনা দিয়েছিলাম মোট ৯ জন। পরবর্তীতে আরো দুজন আমাদের সাথে অ্যাড হয়েছিল। আমরা যেখানে রস খেতে যাচ্ছিলাম ঐখানে আসলে অরিজিনাল রস পাওয়া খুবই কষ্টকর। বেশি মুনাফার লোভে পানি মিশিয়ে বিক্রি করে। আমাদের একজন পরিচিত ছিল তার স্টুডেন্টদের নিজস্ব গাছ আছে এখানে। তিনভার রস আমরা রেখে দিতে বলেছিলাম আলাদা। যাইহোক কনকনে শীতের মধ্যে সকালে এতদূর বাইক চালিয়ে যাওয়াটা যেমন ছিল অ্যাডভেঞ্চার পূর্ণ তেমন ছিল কষ্টকর। সবাই একসাথে তো সবসময়ই দেখা হয় না তবে প্রত্যেক বছর আমাদের এই যাওয়াটা অব্যাহত থাকবে ইনশা আল্লাহ্, এটাই আমি সবসময় আশা করি।

1674623439106-01.jpeg

1674623820040-01.jpeg

1674623802700-01.jpeg

আমরা স্পটে পৌঁছে দেখি ওখানে বহু মানুষ চলে এসেছে ইতিমধ্যেই রস খাওয়ার জন্য। আমাদের জন্য তিনভার রস আলাদা রেখে দেয়া হয়েছিল সেটা নিয়ে আমরা একটু সাইডে চলে আসছিলাম। এরপর যার যেকয় গ্লাস ইচ্ছে...। আমি তো মোট সাত গ্লাস মেরেছি। রস খাওয়ার পর গায়ের মধ্যে কাঁপুনি শুরু হয়ে গিয়েছিল। প্রচন্ড শীত, তারপর আবার খেয়েছি ঠান্ডা রস। আর গ্রামে যারা থাকেন তারা তো জানেন গ্রামে কেমন শীত পড়ে। যাই হোক রস খাওয়ার পর একটু প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতেও ভুলিনি। আশেপাশে ঘুরেছি অনেকগুলো ছবিও তুলেছি। সূর্য মামার দেখাই মিলছিল না। একেবারে ঢেকেছিল কুয়াশায়। রস খাওয়ার পর একটুখানি রোদের উষ্ণ স্পর্শ নিতে মন চাইছিল। কিন্তু সূর্যি মামা যে কুয়াশার আড়ালে লুকিয়ে আছে। তবে বেশ খানিকটা সময় অপেক্ষা করার পর ধীরে ধীরে সূর্যি মামার দর্শন পেয়েছিলাম।

1674623524330-01.jpeg

1674623492578-01.jpeg

1674623469446-01.jpeg

1674623545618-01.jpeg

রস খাওয়া পর্ব শেষ হওয়ার পর আবার সবাই বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। আসার সময় অবশ্য বাড়ির জন্য রস কিনে নিয়ে এসেছিলাম বোতলে। অরিজিনাল রস খাওয়ার মজাটাই আসলে অন্যরকম। কিন্তু আসার সময় হঠাৎ করে ব্যাগ ছিরে রাস্তার মাঝে রসের বোতলগুলো পড়ে গিয়েছিল। কপাল ভালো রসের বোতল একটা ফাটছিল না। যাইহোক, ভালো একটা সকাল কাটিয়েছি গত বছরের মতই। এই পোস্ট আমি ওখান থেকে এসেই করতে চেয়েছিলাম কিন্তু করবো করবো করে আর করাই হয়নি। যাহোক শেষমেষ আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করেই ফেললাম। জানাবেন কেমন লাগলো আপনাদের।

1674623590015-01.jpeg

যারা আমার গত বছরের ওই পোস্টটি দেখেননি তারা কিন্তু ঘুরে আসতে পারেন। সকাল সকাল রসের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বিদায় নিচ্ছি এখানেই। দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে ইনশা আল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

কি বলেন ভাইয়া? খেজুরের রসেও পানি মেশায়। আর সে খেজুরের রস খাওয়ার জন্য আপনারা ভোর ৫-৫.৩০ মিনিটে বের হয়ে গেলেন? যাক অবশেষে আপনারা অরজিনাল রস পেয়ে গেলেন। বাপরে সাত গ্লাস রস। ভাবছি ওটা কি শীতের কাপনি ছিল নাকি মাতলামী ছিল! ভাগ্যিস বাড়ির জন্য আনা অরজিনাল রস গুলো নষ্ট হয়নি। তবে আপনার তোলা প্রতিটি ছবিই কিন্তু বেশ মন ছুঁয়ে যাওয়া।

গ্রামে একদম স্পটে গিয়ে না খেলে আপনি যে রসগুলো পাবেন ওই সবগুলোতে পানি মিশানোই থাকে। দেখবেন অরজিনাল এর মত লাগছে না।

একাই সাত গ্লাস মেরে দিয়েছেন দেখছি 🤭🤭। আর এদিকে শীত চলে গেল, খেজুরের রস না খাওয়া আমি 🙂। গতবারের মতো এবারেও অনেক উপভোগ করেছেন দেখছি! এগারোজন মিলে শীতের সকালটা ভালোই কেটেছে! বাড়িতে খাটিঁ রসও নিয়ে এনেছেন! যদিও রাস্তায় ব্যাগ ছিড়ে গিয়েছিল!

লোভ সামলানো মুশকিল ভাই। 🤓

it sounds like you have a great plan for getting up early in the morning and heading to that famous spot for some delicious sugarcane juice. It's cool that the spot is only about 30km away from your house and that so many people from your area make the trip to get it. I can only imagine how tasty it must be, especially since it's not something easily found in your village. And it's good that you and your friends still stick to the plan of getting up early and hitting the road, even after last year's experience. Keep it up!

সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

কনকনে শীতের সকালে খেঁজুরের রস খেতে গিয়ে তো চমৎকার মহূর্ত কাটিয়েছেন। খেজুরের রস গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে জমিয়ে খেয়েছেন। আমাদের এখানে খেজুর রস পাওয়া যায় তবে বেশি ভালো লাগে না খেতে। চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।

ওগুলোতে মনে হয় পানি মিশায় অনেক।

আপনার গতবারের রস খাওয়া দেখেছিলাম দাদা।অনেক দূর কষ্ট করেছেন আপনারা।তবে দুধে জল মেশায় শুনেছি এখন আবার রসে জল মেশাতে শুনলাম প্রথম।যাইহোক আপনি সাত গ্লাস রস খেয়েছেন আবার বাড়ির জন্য ও নিয়ে গেছেন জেনে ভালো লাগলো।প্লাস্টিক বোতল হলে সহজে ফেটে যায় না।দারুণ সময় কাটিয়েছেন,ধন্যবাদ দাদা।

আপনার গতবারের রস খাওয়া দেখেছিলাম দাদা।অনেক দূর কষ্ট করেছেন আপনারা।তবে দুধে জল মেশায় শুনেছি এখন আবার রসে জল মেশাতে শুনলাম প্রথম।যাইহোক আপনি সাত গ্লাস রস খেয়েছেন আবার বাড়ির জন্য ও নিয়ে গেছেন জেনে ভালো লাগলো।প্লাস্টিক বোতল হলে সহজে ফেটে যায় না।দারুণ সময় কাটিয়েছেন,ধন্যবাদ দাদা।

হ্যাঁ দিদি।। রসের মধ্যে পানি মিশায়। সকাল সকাল মিশিয়ে রাখে ওরা।

গত বছর আপনার এই রস খাওয়ার পোস্ট দেখে আফসোস করছিলাম যে কত বছর রস খাইনা। এ বছরও সেই একই অবস্থা কত বছর হয়েছে যে রস খাই না তার কোন ঠিক নেই। এবার ইচ্ছা ছিল খাওয়ার কিন্তু ভালো রস কোথায় পাবো এই ভয়ে আর খাওয়া হয়নি। সকালবেলায় পরিবেশটা বেশ চমৎকার লাগছে দেখতে। ভাগ্য ভালো যে ব্যাগ ছিড়ে যাওয়ার পরেও রসের বোতলগুলো ভালো ছিল। তা না হলে তো আপনাদের কষ্ট করে নিয়ে যাওয়াটাই মাটি হয়ে যেত। খুব ভালো অ্যাডভেঞ্চার হয়েছে সব বন্ধুরা মিলে। ভালো লাগলো দেখে।

বাহ্ খুবই ভালো লাগলো যে গত বছরের কথা মনে রাখছেন এখনো। আল্লাহ্ চাইলে নেক্সট ইয়ারেও লোভ দেখাতে পারবো। হাহাহা 😜

এটা মোটেও ভালো কিছু হলো না, আপনি দৃশ্য পুরাবৃত্তি ঘটান আর আমাদের মনের বারোটা বাজান, পেট খারাপ হলে মজা বুঝবেন, হা হা হা।

পেট খারাপ হওয়ার চান্স নেই ভাই। অনেকদিন আগে খেয়েছি। 🤣
অনেক পরে এই পোস্টটা দিয়ে ভালই হল তাহলে। 🤣🤣🤣