ফুলদানি/কলমদানি বানানোর সহজ টেকনিক ।

in hive-129948 •  3 years ago 

png_20220301_175214_0000.png
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY

হ্যালো বন্ধুরা। কি অবস্থা সবার? আজ দুইদিন যাবত কমিউনিটিতে বেশি একটা সময় দিতে পারছি না। আজ যশোর থেকে বাড়ি ফিরেছি । একটু আগেই বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে পোস্ট লিখতে বসলাম । আজ থেকে আবার পুরোপুরি একটিভ থাকতে পারবো।

আজ আমি আপনাদের সাথে অনেকদিন আগে করে রাখা একটি DIY পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি।

একদিন কোন কারণে একটি মুদি দোকানে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে অনেক গুলো রংবেরঙের কটনবাড চোখে পড়েছিল। তখনই ভেবেছিলাম এটা দিয়ে DIY প্রজেক্ট এর কিছু একটা বানানো যাবে। আমি সেদিন মোট ৪ টি কালারের কটনবাড কিনেছিলাম। তার মধ্য থেকে দুইটি কালার পছন্দ করে নিয়েছিলাম একটি ফুলদানি/কলমদানি বানানোর জন্য। আজকে আমি আপনাদেরকে কটনবাড দিয়ে ফুলদানি/কলমদানি বানানোর প্রসেস গুলো দেখাব। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

যা যা প্রয়োজনঃ-

  • কটনবাড
  • একটি কাঁচি
  • দুটি পেপার
  • গ্লু গান
  • ধৈর্য ও পর্যাপ্ত সময়

1646101033111-01.jpeg

1646101376357-01.jpeg

প্রথমে দুইটি পেপার নিলাম । একটি হলুদ কালারের এবং আরেকটি সাদা কালারের। হলুদ কালারের পেপার টি কোণ আকৃতিতে পেচিয়ে নিলাম। এরপর আঠা দিয়ে আটকে নিলাম। সাদা পেপারটি গোলাকৃতিতে কেটে নিলাম৷

1646100859076-01.jpeg
এরপর দুইটি রংয়ের কটনবাড নিলাম। কটনবাড গুলো বিভিন্ন সাইজে কেটে নিতে হবে প্রথমেই। যার যেমন পছন্দ বা যে সাইজের কলমদানি/ফুলদানি বানাতে চান সেই সাইজের কেটে নিলেই হবে।

1646100910163-01.jpeg

1646100992987-01.jpeg

কটনবাড গুলো ছোট ছোট সাইজের কেটে একটি ফ্ল্যাট পেপার এর উপর আঠা দিয়ে লাগিয়ে নিয়েছি। সৌন্দর্য বর্ধনে মাঝখানেরটা সবচেয়ে বড় আর ক্রমান্বয়ে দুই সাইডে ছোট সাইজে কেটে নেওয়া কটনবাড লাগিয়েছি।

1646100970648-01.jpeg
উপরে যে ভাবে আমি কেটে নিয়েছি সেটি এইভাবে রেখে কাটলে সহজ হবে । প্রত্যেকটির সাইডে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত যতটুকু স্পর্শ করে থাকে ততটুকু জায়গাতেই আঠা দিয়ে লাগাতে হবে তাহলে খুবই মজবুত হবে। সহজেই খুলে যাবে না।

1646101433840-01.jpeg
সবুজ কালারের যেই কটনবাড গুলো ছিল সেগুলো নিচে ঠিক এইভাবে লাগিয়ে নিলাম। মনে রাখবেন যে কোন এক কালারের কটনবাড একটি পার্টে ব্যবহার করলে সবচেয়ে সুন্দর লাগে দেখতে।

1646101342929-01.jpeg1646101406899-01.jpeg

1646101359089-01.jpeg
এবার পর্যায়ক্রমিকভাবে নিচ থেকে উপর পর্যন্ত পেপারের বডিতে আঠা দিয়ে কেটে নেওয়া কটনবাড গুলো লাগিয়ে দিলাম। এতেই কাজ শেষ। আপনারা চাইলে বডিতে ভিন্ন ভিন্ন কালারের কটনবাড ও ইউজ করতে পারেন।

1646101053284-01.jpeg
কিছু একটা রেখে দিলে ফাইনালি দেখতে এমন দেখাবে । এটা কলমদানি ও বলতে পারেন আবার ফুলদানি ও বলতে পারেন। টেবিলে কলম রেখে দিলেও দেখতে ভালো লাগবে আবার ফুল রেখে দিলেও ভালো লাগবে। সর্বোপরি টেবিলের উপর এরকম জিনিস রেখে দিলে দেখতে মন্দ লাগে না।

যাইহোক, আপনারা ও চাইলে বাসাবাড়িতে আপনাদের নিজের রুমে এমন সিম্পল কিছু জিনিস বানিয়ে রাখতে পারেন যেগুলো সৌন্দর্যবর্ধন করে। আমি আমার রুমের ড্রেসিং টেবিলের উপর রেখে দিয়েছি। এটার মধ্যে এখন অনেকগুলো গোলাপ ফুল শোভা পাচ্ছে। আজ আমি তাহলে বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে আবার আগামী কোন পোস্টে ইনশাআল্লাহ্। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
কটনবাড দিয়ে এতো সুন্দর ভাবে যে কলমদানি বানানো যায় জানা ছিলো না। অসাধারণ একটা কৌশল দেখালেন ভাই। কাজটা করতে যে অনেক সময় লেগেছে তা দেখেই বুঝা যাচ্ছে। আসলে নতুন কিছু সম্পর্কে জানতে পারলে আমার এই জিনিস ট্রাই করার জন্য মন পাগল হয়ে যায়। কটনবাড বাসায়ই আছে কাল করবো। ধন্যবাদ ভাই, এতো সুন্দর একটা প্রজেক্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। 💕

ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। আপনার যে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

কটনবার দিয়ে খুব সুন্দর একটি ফুলদানি তৈরি করেছ বন্ধু। দেখতে অসাধারণ লাগছে এবং প্রতিটা ধাপে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছ। তোমার জন্য শুভকামনা রইল এগিয়ে যাও।

তোর জন্য ও শুভকামনা। আজ পরীক্ষা দিয়ে ফিরে ফোন দিস।

শুধুমাত্র রঙিন কাগজ ও কটন বাট দিয়ে এত সুন্দর করে ফুলদানি বা কলমদানি বানানো যায় আমার আগে জানা ছিল না। আমার বাংলা ব্লগে এসে এরকম অনেক সুন্দর সুন্দর হাতের কাজ আমি শিখে নিয়েছি। অনুরূপভাবে আপনার ফুলদানি বানানোর যে ধাপগুলো উপস্থাপন করেছেন সেগুলো দেখে আমি খুব সহজেই বানিয়ে নিতে পারবো। এত চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাই। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন প্রতিভার দেখা মেলে।

কাগজের কোণ দেখে ভাবছিলাম এটা দাঁড়াবে কিভাবে। শেষ পর্যন্ত দেখলাম একটা বেজ বানিয়ে আপনি কাজটা করে দিলেন। কাজের ধাপ দেখে মনে হচ্ছে শেষ করতে একটু সময় লেগেছে। যাই হোক, আইডিয়াটা খুব ক্রিয়েটিভ ছিল।

হাহাহা,, নিচে কাগজের স্টান্ট লাগিয়ে দার করে দিয়েছি।

অনেক সুন্দর ফুলদানি তৈরি করেছেন আপনি। প্রথমে পোস্টটা পড়া শুরু করে ভাবনি যে নিচে একটা অসাধারণ ফুলদানি রয়েছে। শুধুমাত্র কাগজ আর কটনবাড দিয়ে এত সুন্দর ফুলদানি তৈরি করা যায় আমার তা জানা ছিলো না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

প্রথমে ভেবেছিলাম কটন বাড গুলো বোধহয় নষ্টই হয়ে গেল কিন্তু বিশ্বাস ছিল যে সুমন ভাই যা করবে ভালো কিছুই হবে। সবশেষে বিশ্বাসই সত্যে পরিণত হল।

এগুলো অনেক কম দামের কটনবাড কিনেছিলাম। নষ্ট হলেও সমস্যা ছিল না তেমন। 🤣🤣

রঙিন কাগজ এবং কটনবাড দিয়ে আপনি অসাধারণ একটি ফুলদানি তৈরি করেছেন। দেখতে খুবই চমৎকার লাগছে। আপনি অনেক সময় নিয়ে এই ফুলদানিটি বানিয়েছেন, দেখেই বোঝা যাচ্ছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই মন্তব্য করার জন্য। চাইলে আপনিও চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আশা করি ভালো কিছু হবে।

ভাই রঙিন কাগজ এবং কটনবার দিয়ে আপনি অসাধারণ একটি ফুলদানি তৈরি করেছেন। আমার কাছে দেখতে খুবই চমৎকার লাগছে। আপনি অনেক সময় ও ধৈর্য নিয়ে এই ফুলদানিটি বানিয়েছেন, দেখেই বোঝা যাচ্ছে। প্রতিটা ধাপ সাজিয়ে-গুছিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।

এত ব্যস্ততার মাঝেও খুব ইউনিক একটি কাজ আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলেই প্রশংসার দবিদার। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই কলমদানি বানানোর টেকনিকটি দেখে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনা করি।

সহজ বটে,তবে যে জানে তার কাছে।আমার কাছে আতংক। শৌখিন মন থেকে, শৌখিন কিছু উপহার। ভাল ছিল সাজানো গোছানোও।

কটন বাড দিয়ে কি চমৎকার একটি ফুলদানি তৈরি করলেন। আপনার তৈরি করা ফুলদানিটা আমার কাছে খুবই চমৎকার লাগলো। বিশেষ করে রংবেরঙের ফুল এই ফুলদানির মধ্যে রাখলে জাস্ট অসাধারণ দেখাবে। আমার খুব পছন্দ হয়েছে আপনার তৈরি করা এই ফুলদানিতে। পারলে আমার জন্য পাঠিয়ে দিয়েন আমি আমার পড়ার টেবিলে সাজিয়ে রাখব 🤗 অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি ফুলদানি তৈরি করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য 🥰🥰

আমাদের এদিকে এসে একদিন ঘুরে যান ভাইয়ের সাথে। আমার ফুলদানিটা ও গিফট করে দিব। 🥰

ওয়াও কটন বাড দিয়ে ফুলদানি। সত্যিই অসাধারণ। আমিও বাসায় এটি তৈরী করার চেষ্টা করব। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে এত সহজে একটা সুন্দর একটি ফুলদানি তৈরি করার টেকনিক তুলে ধরার জন্য।

জ্বী ভাই আপনিও বানাতে পারেন। আশা করি দেখতে ভালো লাগবে।

শুধুমাত্র রঙিন কাগজ ও কটনবার দিয়ে আপনি খুব সুন্দর একটি কলমদানি বা ফুলদানি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা কলমদানি বা ফুলদানি আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছে। এত সুন্দর ফুলদানি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

আপনাদের ভালো লাগাতে পেরেছি এটাই আমার সবচেয়ে বড় সার্থকতা। ধন্যবাদ আপু।

আমিও একটি বানিয়েছিলাম কটন বাড দিয়ে ফুলদানি। আসলেই ভাইয়া এটি করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন এবং অনেক দক্ষতা লাগে। আসলেই আপনি দারুন দক্ষতা নিয়ে কাজটি সম্পন্ন করেছেন। আসলে এই কাজগুলো করতে সময় দিতে হবে এইটা একদম সত্যি কথা এবং সময় দেয়ার পর জিনিসটি ভালো হলে সব দুঃখ কষ্ট দূর হয়ে যায়। বেশ ভালো ছিল ভাইয়া। দারুন বানিয়েছেন

প্রশংসা করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই৷ ভালো থাকবেন।

ওয়াও ভাইয়া কাগজ আর কোটনবার্ড দিয়ে যে এত সুন্দর ফুলদানি তৈরি করা যায় তা আপনার ফুলদানিটা না দেখলে বিশ্বাসই করতাম না। খুবই চমৎকার হয়েছে আপনার ফুলদানি। কোটনবার্ড দিয়ে যেকোনো কিছু বানানো আমার কাছে একটু জটিল লাগে। কিন্তু আপনি খুবই চমৎকার করে কোটনবার্ড দিয়ে ফুলদানি তৈরি করেছেন। দেখতে অসাধারণ লাগছে।

এটা বানাতে অনেক ধৈর্য্য আর সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু কটনবাড দিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস বানানো যায় কিন্তু। আপনিও চাইলে চেষ্টা করতে পারেন। আর বাজারে এ রং-বেরংয়ের কটনবাড গুলোকে অল্প দামে পাওয়া যায়।

কটন বাড দিয়ে ফুলদানি তৈরি খুবই সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। আপনার তৈরি করা এই ফুলদানি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি অনেকটা সময় নিয়ে ও ধৈর্য সহকারে এই ফুলদানি তৈরি করেছেন। ধৈর্যের ফল সব সময় ভালো হয়। কটন বাড দিয়ে অনেক সুন্দর একটি ফুলদানি তৈরি করে আমাদের সকলের মাঝে উপহার দিয়েছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

অল্প মূল্যে এরকম কটনবাড গুলো কিনে আপনিও বাড়িতে সুন্দর সুন্দর জিনিস বানিয়ে রাখতে পারেন আপু।

এটাকে কলমদানির চেয়ে ফুলদানিই বেশি সুন্দর লাগছে।তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে কারণ সময়ের ব্যাপার খুব।

জি আপু।।। অনেক সময় লাগে এটা বানাতে। আর এটা ফুলদানির জন্যই পারফেক্ট আমার ও মনে হয়।

ভাইয়া আপনি কটনবাড দিয়ে ফুলদানি বা কলমদানি তৈরি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আমিও বেশ কয়েক মাস আগে কটনবাড দিয়ে এরকম ফুলদানি তৈরি করেছিলাম। তবে আপনার তৈরি করা ফুলদানিটি বা কলমদানিটি দেখতে বেশি সুন্দর হয়েছে। কটনবাড দিয়ে ফুলদানি বা কলমদানি তৈরি করতে অনেক সময় লাগে। ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে কটনবাড দিয়ে ফুলদানি বা কলমদানি তৈরির পুরো প্রসেস উপস্থাপন করেছেন। দারুন এই ক্রাফট তৈরি করে সকলের মাঝে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেইসাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।❤️❤️

ধন্যবাদ ভাই। আপনিও চাইলে এরকম কটনবাড দিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র বানিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন ।