একটি সফল অভিযান।

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)

Polish_20211107_020755125.jpg

দিনটা ছিল অনেক বড়। কিন্তু সেটা সময়ের দিক থেকে না। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনারা বুঝতে পারবেন। এইতো গত দুদিন আগে আমরা সবাই মিলে ডিসিশন নিয়েছিলাম ভেড়ার মাংস দিয়ে পিকনিক করবো। আমাদের সার্কেলের মধ্যে দু-একজন ভেড়ার মাংস খেয়েছে। তাছাড়া আমরা কেউই পূর্বে কখনোই ভেড়ার মাংস খেয়ে দেখিনি । এজন্যই ডিসিশন ফাইনাল করলাম যে আমরা যেখানে ব্যাডমিন্টন খেলি ওইখানেই রান্না হবে আর খেলা শেষে ওখানেই খাওয়া-দাওয়া করা হবে। প্লান প্রোগ্রাম শেষ করে গত পরশুদিন আমরা চারজন ভেড়া কিনতে যাব বলে স্থির করলাম। সকাল আটটার দিকে আমার বন্ধু আমাকে ফোন দিয়ে বলল একটু পরেই আমরা রওনা দিব। এটা শুনে আমি খুব দ্রুত কমিউনিটির কাজগুলো শেষ করলাম। কাজ শেষ করে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম। প্রথমে বন্ধুর বাসায় গেলাম এরপর ওকে ডেকে নিয়ে বাকি দুজন যেখানে অপেক্ষা করছিল সেখানে চলে গেলাম।

1636225217561-01.jpeg

1636225246941-01.jpeg

1636225296910-01.jpeg

1636225361642-01.jpeg

আমরা মূলত পদ্মার চরে যাব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পদ্মার চরের ম্যাক্সিমাম কৃষকরাই বাড়িতে অনেক গরু আর ভেড়া পালে। আমরা চারজন একসাথে হয়ে যখন চরের দিকে যেতে শুরু করেছিলাম তখন ঘড়িতে প্রায় দশটা বাজে। আমাদের বাসা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার উত্তর দিকে হেঁটে গেলে পদ্মার চর পাওয়া যায়। আমরা যখন চরের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলাম ওই সময় প্রচন্ড রোদ ছিল। ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার হাঁটার পর কিছু লোককে এক জায়গায় বসে থাকতে দেখলাম। ওনাদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাস করলাম আমরা ভেড়া কিনতে এসেছি। কোথায় গেলে পাওয়া যাবে ? উনারা বললেন এই সময় আসলে ভেড়া পাওয়া যাবে না। ভেড়া পেতে হলে সকালে অথবা বিকেলের দিকে আসতে হবে। কারণ এই সময়টাতে ভেড়ার মালিকেরা ওগুলোকে খাবার খাওয়াতে নিয়ে যায়। আমরা ওনাদেরকে বললাম যেখানে খাওয়াতে নিয়ে গেছে ওইখানে আমরা যেতে পারি। আমাদেরকে লোকেশন টা বলে দিন। এরপর উনাদের কথা মত আরো প্রায় ১ কিলোমিটার হেঁটে পশ্চিম দিকের মাঠে চলে গেলাম।

1636225400765-01.jpeg

1636225447189-01.jpeg

1636225471150-01.jpeg

1636225500106-01.jpeg

এতদুর এই রোদ্রের মধ্যে হেঁটে আসতে খুবই কষ্ট হয়েছে। কারণ অভ্যাস নেই তো এরকম। তারপর আবার মাটিগুলোতে শুকনো ঢিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সেগুলোর উপর দিয়ে হাঁটা বেশ কষ্টকর। ওভাবেই হেঁটে অনেক দূর যাওয়ার পর দূরে দেখতে পেলাম এক পাল ভেড়া ঘাস খাচ্ছে। ভেড়াগুলোর কাছে গেলাম কিন্তু কোন রাখাল দেখতে পেলাম না। এদিক ওদিক তাকিয়ে কোথাও রাখাল কে দেখলাম না । ওখানে থাকা একজন কৃষক কে জিজ্ঞাসা করলাম যে ভেড়াগুলোর মালিক কোথায়। উনি বললো ভেড়াগুলোকে এখানে ছেড়ে দিয়ে উনি বাড়ি চলে গেছে। কি আর করার। পাশেই একটা ছোট গাছ ছিল। এত রোদের মধ্যে সামান্য একটু গাছের ছায়া অনেক প্রশান্তি দিতে পারে।

1636225530201-01.jpeg

1636225555277-01.jpeg

আমরা চারজন গাছের নিচে বসে অপেক্ষা করতে থাকলাম কখন ভেড়ার মালিক এখানে আসবে। আসলে ভেড়াগুলোকে কোন রাখাল চরাতে নিয়ে এসেছে নাকি মালিক নিয়ে এসেছে সেটার বিষয়ে আমারা জানতাম না। প্রায় ৩০/৪০ মিনিট আমরা ওইখানে বসে ছিলাম। এতক্ষণ বসে থাকার পর একটু অধৈর্য লাগছিল। এরপর চিন্তা করলাম সামনে ছোট্ট একটি গ্রাম মতো আছে ওখানে যেয়ে খোঁজ নিলে হয়তো ভেড়া পেতে পারি। এরপর হাঁটতে হাঁটতে ওদিকে চলে গেলাম। অনেক দূর যাওয়ার পর দেখলাম আমরা যেখান থেকে এসেছি সেখানে ভেড়ার কাছে কে যেন একজন এসেছে। তারপর সেখানে আবারো ব্যাক করলাম। প্রচন্ড রোদ আর অনেক বড় বড় শক্ত ঢিলের উপর দিয়ে হাঁটতে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছিল। তবুও হেঁটে চলে গেলাম ওইখানে। যাওয়ার পর আরো হতাশ হলাম। যে লোকটা ভেড়ার কাছে এসেছিল উনি নাকি ভেড়াগুলোর মালিক নন। মেজাজটা খুবই খারাপ হচ্ছিল। কি আর করার, তারপর আবার গ্রামের দিকে রওনা দিলাম। গ্রামের দিকে যাওয়ার পর কিছু লোকের সাথে দেখা। তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করলাম আমরা ভেড়া কিনতে এসেছি। কোথায় গেলে পেতে পারি? তারা আমাদেরকে একটি জায়গায় যেতে বলল সেখানে একটা বৃদ্ধ লোক আছে। উনার নাকি কিছু ভেড়া আছে। উনার সাথে গিয়ে কথা বলতে বলল।

উনাদের কথা মত সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে যথাস্থানেই বয়স্ক লোকটিকে পেয়ে গেলাম। এরপর উনার কাছে আমাদের ভেড়া কেনার কথা বললাম। উনি বলল উনার সাথে মাঠের দিকে যেতে হবে। কারণ উনি ভেড়াগুলোকে মাঠে রেখে এসেছেন। উনার সাথে একটু দূরে যাওয়ার পর যেটা বুঝলাম আমরা যেদিক থেকে এসেছি মোটামুটি আবার সেদিকেই যেতে হবে। খুবই বিরক্ত লাগছিল আর প্রচন্ড পানি পিপাসা লাগছিল। অনেকক্ষণ যাবৎ হাঁটাহাঁটি করছি কিন্তু কোন রেস্ট নেওয়া হয়নি। ওই বয়স্ক লোকের পিছে পিছে কিছু সময় যাওয়ার পর দেখতে পেলাম একটি ভেড়ার পাল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ভেড়াগুলো ছিল খুবই ছোট সাইজের।

আমরা সবাই চিন্তা করলাম আজকে আর হয়তো হবে না। অন্য দিন সকাল সকাল আসতে হবে অথবা বিকেলের দিকে আসতে হবে। কিন্তু আবার মনে হচ্ছিল, এসেছি যেহেতু ভেড়া আজ কিনে নিয়েই যাব। এসব চিন্তা করতে করতে আবার গ্রামের দিকে ফিরে গেলাম। এতক্ষণে হাঁটার মত আর শক্তি পাচ্ছিলাম না। এরপর একটা বসার স্থানে গিয়ে সবাই বসলাম । আর একটা বাচ্চাকে দেখতে পেলাম। ওকে বললাম বাড়ি থেকে এক জগ পানি নিয়ে আসতে । ওই ছেলেটা বাড়ি থেকে এক জগ পানি নিয়ে এসে দিল । সেটা আমরা সবাই মিলে খেলাম আর হাতে মুখে নিলাম। আরো কিছু সময় ওখানে বসে বিশ্রাম নিলাম। এরপর আমরা চিন্তা করলাম আমরা যদি নদীর ঐ পাড়ে যাই তাহলে হয়তো পেতে পারি । আমরা কিন্তু অলরেডি একটা নদী পাড় দিয়ে এসেছি চরে ।আবারো আরেকটি নদী পাড় দিয়ে ওই পাশে যেতে হবে । যদিও নদীটি খুবই ছোট , তারপরও আমরা সবাই একটি নৌকা নিয়ে নদী পার হলাম। মাত্র পাঁচ সাত মিনিটের মধ্যে আমরা নদী পার হয়ে অপর প্রান্তে পৌঁছে গেলাম । ওইখানে নৌকা থেকে নেমে প্রথমেই কাঁদার মধ্যে পা নামাতে হলো। কাঁদার মধ্যে দিয়ে হেঁটে সামনের দিকে যেতে হয়েছিল। সামনের দিকে ছোট্ট একটা পারা দেখতে পেলাম । যেখানে কয়েকটা বসতভিটা রয়েছে। ওখানে যাওয়ার পর দূরে দেখতে পেলাম প্রচুর গরু দেখা যাচ্ছে । হয়তো ওখানে ভেড়া পেতে পারি । ওদিকে হেঁটে গেলাম । অনেক দূরের পথ ছিল । হেঁটে যাওয়ার পর দেখতে পেলাম কয়েকটা রাখাল একসাথে বসে আছে আর তাদের গরু , ভেড়া মাঠে চড়াচ্ছে।

1636225771881-01.jpeg

1636225796330-01.jpeg

অনেক সময় লাগলো রাখালদের কাছে পর্যন্ত হেঁটে যেতে। উনাদের কাছে যাওয়ার পর উনারা বলল উনাদের কাছে যে ভেড়াগুলো রয়েছে এগুলো নাকি বিক্রি হবে না । আর এগুলোর মালিক তারা নিজেরা না। তারা শুধুমাত্র এগুলোকে খাওয়াতে নিয়ে এসেছে । তবে তারা আমাদেরকে দেখিয়ে দিল দূরে একটি রাখালের দল আছে। ওদের কাছে যেগুলো রয়েছে তারা নাকি ওগুলো বিক্রি করবে । আমাদের সেদিকেই যেতে বলল ।এরপর আমরা ২/৪ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে আবার সামনের দিকে এগোতে থাকলাম । কিন্তু এখানে এসে আরো বড় বিপত্তির দেখা পেলাম । সামনের দিকে কোমর পর্যন্ত পানি । পানির মধ্যে দিয়ে হেঁটে যেতে হবে । কি আর করার হেঁটে যেতে লাগলাম । তবে এখানে আরেকটি বিপদ ছিল । সেটি হচ্ছে ওই জায়গাটিতে প্রচুর শামুক ছিল । কিন্তু শামুক গুলো দেখা যাচ্ছিল না । কাঁদার নিচে ছিল। আন্দাজে পা ফেলতে হচ্ছিল । আর ভয়ে ভয়ে ছিলাম , যদি কোনো শামুক পায়ের মধ্যে বিধে যায় । ওইভাবেই অনেকক্ষণ ধরে ওই পানির ওইটুকু পার দিতে হয়েছিল। পানিতে কোমর পর্যন্ত ভিজে গিয়েছিল । ফোন আর মানি ব্যাগ হাতে নিয়েছিলাম। অল্প একটু পথ পাড়ি দিতে প্রচুর সময় লেগে গিয়েছিল ।

পানির অংশ পার দেয়ার পর সামনে আবার আগের মতন বড় বড় ঢিলওয়ালা মাঠ ।যেখান দিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছিল। পায়ে স্যান্ডেল পরে কিছুটা রক্ষে পাচ্ছিলাম । আমাদের সেই কাঙ্খিত ভেড়ার পালের কাছে যেতে এত সময় হাঁটতে হয়েছিল যেটার সময় আমার খেয়াল নেই। কিন্তু শুধু এটুকু বলতে পারব ,চোখের দৃষ্টিতে প্রথমে দেখা যাচ্ছিল না । আস্তে ধীরে হাঁটতে হাঁটতে তাদের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলাম । অনেক দূরের পথ ছিল । তাদের কাছে পৌঁছানোর পর একটা ভেড়া পছন্দ করলাম। অনেকক্ষণ যাবৎ দৌড়াদৌড়ি করার পর রাখালেরা ধরল। কিন্তু ধরার পর তারা অতিরিক্ত দাম চাচ্ছিল ।কিন্তু আমরা মোটামুটি ধারণা রেখেছিলাম যে কেমন দাম হতে পারে। অতিরিক্ত বেশি দাম যার কারণে আমরা নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করলাম । এরপর চিন্তা করলাম আমরা বাড়ির দিকে ফিরে যাব । অন্য কোনভাবে ভেড়ার মাংস কিনে পিকনিক করা যাবে। কারণ অতিরিক্ত দাম ছিল ।যেহেতু জিনিসটা শুধুমাত্র আমার একার না । অনেকেই এখানে আছে যারা পিকনিক করবে । সবাই এই দামে রাজি হবে না । এজন্য আবার সেই নদীর দিকে ফিরে যেতে লাগলাম । হঠাৎ সেই রাখালের দল আমাদেরকে ডাকলো । আমরা সেখানে গেলাম গিয়ে ওখানে একটু বসলাম । ওখানে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করছিল । আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওগুলো দেখছিলাম ।

1636225892774-01.jpeg

1636225873386-01.jpeg1636225834505-01.jpeg

এদিকে আমার সাথে যারা ছিল ওরা রাখালের দাম থেকে একটু কমিয়ে আর আমরা আগে যেটা বলেছিলাম সেটা থেকে একটু বাড়িয়ে মাঝামাঝি একটা দাম বলে ভেড়া কিনার বিষয়টি ফাইনাল করল। এরপর রাখালেরা চেষ্টা করছিলো ভেরাটাকে ধরতে। কিন্তু এরকম চেষ্টা করতে করতে আমাদের ওই স্থান থেকে অনেক দূর গিয়ে রাখল ভেড়াটিকে ধরতে পারলো । তার পরে মূল্য পরিশোধ করে করে ওই ভেড়াকে আমরা বাড়ির দিকে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করতে থাকলাম । কিন্তু এখানে আরও একটা নতুন বিপত্তি শুরু হলো। গলায় দড়ি দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে আসাও সম্ভব ছিল না।

ঠেলে ঠুলে কিছু দুরে নিয়ে আসার পর কিছু লোকের সাথে দেখা হলো । ওদের কাছে পানি ছিল । আমরা সবাই একটু করে পানি খেলাম । উনারা আমাদেরকে পরামর্শ দিল এভাবে আপনারা কখনোই ভেড়াকে নিয়ে যেতে পারবেন না । ওনাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে । উনাদের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা চেষ্টা করলাম ভেড়াটাকে কোলে করে নিয়ে যেতে । চারজন ছিলাম তার মধ্যে আমরা তিনজন কিছুদূর কিছু দূর করে কোলে করে নিয়ে আসছিলাম। যখন আমরা ভেড়াটাকে ছেড়ে দিয়েছিলাম আর সামনের দিকে টানছিলাম কিন্তু সে যেতেই চাচ্ছিল না । কোলে করা ছাড়া আমাদের কাছে আর কোন উপায় ছিল না। প্রচন্ড কষ্ট হয়েছিল নৌকা পর্যন্ত কলে করে আনতে। এরপর নৌকার উপর উঠিয়ে আমরা নিজেরাই নৌকা বেয়ে নদীর অপর প্রান্তে এসে পৌছালাম ।

1636225915398-01.jpeg

এরপর আমাদের এলাকার কিছু ছোট ভাইকে ফোন দিলাম যে তোমরা দ্রুত আসো । অনেকক্ষণ যাবৎ নদীরপাড়ে অপেক্ষা করার পর ছোট ভাইয়েরা চলে আসলো। অনেকক্ষণ ধরে আমরা ভেড়াটাকে একটুও নাড়াতে পারিনি । যাইহোক ছোট ভাইয়েরা আসার পর ওদের কাছে দায়িত্ব দিয়ে আমরা বাড়ির দিকে চলে গেলাম । ওরা দুইজন ছিল । ওদেরকে বলেছিলাম তোমরা যেভাবে ওকে নিয়ে আসবা আসো। আমাদের দ্বারা আর এ ভেড়া নিয়ে যাওয়া সম্ভব না । খুব কষ্ট হয়ে গেছে । এরপর সোজা বাড়ি দিকে চলে এলাম । বাড়ি এসে প্রথমেই কমিউনিটি তে ঢুকে হালকা কিছু কাজ করলাম । কাজ করে গোসল করে দুপুরের খাওয়া বিকেলে খেলাম । এটাই ছিল আমার সেই দিনটার ঘটনা । খুবই পরিশ্রম হয়েছে কিন্তু সুন্দর একটি অ্যাডভেঞ্চার ছিল ।


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
যখন বলেছেন যে ভেড়া আর কিনা হবে না সত্যি আমার খুব খারাপ লেগেছে এত কষ্ট করার পরে ভেরাটা না নিয়ে যাওয়াটা সত্যি খুব কষ্টের। পরে যখন এটা পড়লাম যে কিনে ফেলেছেন খুব ভালো লাগলো। তবে আমি খুব হেসেছি এত টা ঘুরা ঘুরি করতে হয়েছে। আমি ফিল করছিলাম আমি নিজেও আপনাদের সাথেই আছি। তবে ভাইয়া আমার একটা বিষয় জানার আগ্রহ জন্মে গেল। যেই পথে আপনার কোমর পানিতে ভিজে পার হয়েছে ভেড়া নিয়ে সেখান থেকে কিভাবে পারি দিলেন??

ভেড়া নিয়ে অন্য পাশ দিয়ে গিয়েছিলাম। সেই পাশে আবার অনেক বেশি পানি। নৌকা দিয়ে পার হতে হয়।

সুন্দর একটি ছবি হারিয়ে ফেলেছি। সেদিন যতগুলো ছবি তুলেছিলাম প্রত্যেকটি ছবি থেকে ওই ছবিটা সবচেয়ে ভালো হয়েছিল। এজন্য ছবিটা নিয়ে একটু এডিট করতে যেয়ে কি হল বুঝলাম না,, ডিলিট হয়ে গেছে।

হোক কষ্ট,অভিযান সফল তো কষ্ট কিছুই না।আমি নিজেও ভেড়ার মাংস টেস্ট করে দেখিনি,এমনিতে শুনেছি যে ভালো লাগে।আর কথা হচ্ছে,ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু করে দিয়েছেন?😵

হুম...অনেক আগেই তো শুরু করেছি । প্রায় প্রতিদিনই খেলি।

এদিকে এখনো শুরু হয় নাই,,এক ম্যাচ খেললেই গা গরম হবে এখনো 😸

  ·  3 years ago (edited)

যাক অবশেষে ভেড়াটি পেয়ে গিয়েছেন, ভেড়ার জন্য কতই না কষ্ট করেছেন আপনারা সকল বন্ধুর মিলে। আমার কাছে খুবই মজা লেগেছে চার বন্ধু কোলে করে ভেড়াটিকে নিয়ে এসেছেন।

ভেড়ার মাংস কিন্তু আসলেই খুবই মজা, আমরা ইংল্যান্ডে কিন্তু সবসময় ভেড়ার মাংস খাই, গরুর মাংস খাওয়া হয় না। এখানকার বাংলাদেশি বা অন্যান্য দেশের লোকেরা ভেড়ার মাংস বেশি খেয়ে থাকে, আর এর মজা আলাদা। এখন ভেড়ার মাংস খেতে খেতে গরুর মাংস আর ভালো লাগেনা।খুবই ভালো লাগলো আপনার অভিযানটি পড়ে।

আমাদের এদিকে সহজে পাওয়া যায় না। আর এজন্যই আমাদের এত কষ্ট করে ভেড়া কিনতে হয়েছে।

ভাই ভেড়াটি দেখি জমিদার সে কোলে উঠে যাব। তবে আপনারা অনেক কষ্ট করেছেন। এই দিন আমারও যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু কোন কারণবশত যেতে পারিনি। আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছিল আমিও আপনাদের সাথেই আছি। যাইহোক শেষমেশ ভেড়া নিয়ে বাড়িতে এসেছেন এটাই বড় বিষয়।

যত কষ্টই হোক অনেক ভালো একটা অ্যাডভেঞ্চার ছিল। আর আমরা সবাই তো অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী। তুমি মিস করেছ।

😢😢

হাজার কষ্টের পরেও যখন অভিজান সফল তখন সব কষ্ট হাওয়া হয়ে গিছে।অনেক পরিশ্রম করেছেন ভেরার জন্য।তবে এই পরিশ্রম এর মধ্যে যে আনন্দ পেয়েছেন তা টাকার দিয়েও কেনা যাবে না।যাইহোক অভিজান সফল মানে পিকনিক হবে।😋😋😋😋😋আমাদের কমিউনিটির জন্যও কিছু রাইখেন😁😁😁

ওয়াও আপনার পুরো পোস্ট পড়ে অনেক মজা লাগলো। কিছু হলেও ভেড়া কেনার একটা বাস্তব অভিজ্ঞতা তো জানতে পারলাম।দিনটায় আপনার অনেক পরিশ্রম হলেও দিন গুলো সোনালী অতীত হিসেবে থেকে যায়। সুন্দর মূহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে খুব হাসি পাইলাম।যাই হোক আপনি অনেক কষ্ট করে ভেড়াটি কিনতে পাইছেন এটাতে আপনার কষ্ট সফল হয়েছে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

ভাইরে ভাই আমার এত ধৈর্য নাই। আপনার জায়গায় আমি হলে ভেড়া কেনা বাদ দিয়ে কখন বাড়ি চলে আসতাম।এবং শক্ত ঢিলের উপর দিয়ে হাঁটার অভিজ্ঞতা আমার আছে। আমি জানি কতটা কষ্টকর এটা।অনেক কষ্টের পরে শেষ পর্যন্ত ভেড়া তো পেয়েছেন এটাই অনেক।তবে খোঁজ নিয়েছেন কী আপনার বন্ধুদের মধ্যে কারো পঁচা শামুকে কারো পা কেটেছে কিনা 😛😛।এবং গ্রামের দৃশ্য গুলো অনেক সুন্দর ছিল। বিশেষ করে মাঠের মধ্যে ঐ পথটা। এটা দেখে আমার একটা কথাই মনে পড়ছিল

গ্রাম ছেড়ে ঐ রাঙা মাটির পথ
আ..আমার মন ভোলায় রে।

দাদা লেখাটা পড়ার সময় যেমন খারাপ লাগছিল আপনাদের কষ্ট দেখে আবার মজাও পাচ্ছিলাম। ভেড়ার মাংস খাওয়ার জন্য এতটা পাগলামি ! হিহিহিহি। এ লেখাটার নাম দেয়া দরকার ছিল "একটি ভেড়া কাহিনী" 😂🥰। তবে একটা ব্যাপার শেখার আছে, হতাশ হয়ে না ফিরে যে কোনো কাজে যদি লেগে থাকা যায় তাহলে সফলতা আসবেই।

কি আর বলব রে বোন,,,
সারা জীবন মনে থাকবে এই ভেড়া কেনার গল্প।

দারুন একটি অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। ভেড়ার মাংস খাওয়ার জন্য আপনি অনেক পরিশ্রম করেছেন সেটা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে। তবে যে শেষ পর্যন্ত ভেড়া আপনাদের কোলে উঠেছে। ভেড়ার মাংস যখন খাবেনই একটু কষ্ট করে খান। তাহলে অনেকদিন পর্যন্ত সেই মাংসের স্বাদ মনে থাকবে। যাইহোক আপনি এবং আপনার বন্ধুরা মিলে অনেক পরিশ্রম করে অবশেষে আপনার কাঙ্খিত ভেড়া খুঁজে পেয়েছেন এবং কিনেছেন এটাই অনেক বড় কিছু। ভেড়ার মাংসের স্বাদ কেমন ছিল আশা করি আপনি আমাদেরকে জানাবেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

ভেড়ার মাংসের স্বাদ মোটামুটি ভালো। কিন্তু এই মাংস গুলোর দাম অনেক বেশি। দামের তুলনায় স্বাদ অতটাও বেশি না।

আসলে ভাইয়া ভেড়ার মাংস আমার কখনো খাওয়া হয়নি।

জি ভাইয়া অনেক পরিশ্রম এবং আনন্দের পর দিনটিকে অনেক অ্যাডভেঞ্চার মনে হয়। পুরো গল্পটা পড়ে যেমন মজা লেগেছে তেমন কষ্ট ও লেগেছে। একটা ভেড়ার জন্য কতই না কষ্ট কিন্তু শেষমেশ ভেড়াটি নিয়ে ফিরতে পেরেছেন এটাই আনন্দদায়ক। ভাইয়া আপনি ঐদিন এর পুরো কাহিনী টা এত সুন্দর করে লিখেছেন আমি পড়তে পড়তে কল্পনায় ওইখানে চলে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি অ্যাডভেঞ্চারময় দিন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আমার পাঠক কে ভালো লাগাতে পেরেছি এটা শুনে সত্যিই আমার অনেক খুশি লাগছে।

আপনার গল্পটি পড়ে একটি বিষয় বুঝতে পারলাম যে ধৈর্য ধরে কাজে লেগে থাকলে সফলতা আসবেই। আর আপনারা চার বন্ধু মিলে এত কষ্ট করেছেন শুনে খারাপ লাগেছে তবে শেষ পর্যন্ত ভেরাটি যে কিনতে পেরেছেন এইটা এইটা আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছে। আর সবচেয়ে বড় কথা কষ্টের পরে যদি সফলতা পাওয়া যায় তখন কষ্টের কথা মনে থাকে না।

ঠিক বলেছেন।। কষ্টের পর যদি সফলতা পাওয়া যায় তাহলে পূর্বের কষ্টের কথা আর মনে থাকে না।

ধন্যবাদ ভাই।

আপনার ভেড়া কেনার কাহিনী শুনে অনেক কিছু জানাও হলো যেমন পদ্নার চর, ছোট নদী,নৌকা, কাঁদা মাটি ইত্যাদি।এতো কষ্টের পরে আপনারা চার বন্ধু ভেড়া কেনার হাল ছাড়েননি। ভেড়াই কিনলেন, তবে ভেড়াটি আরো একটু বড় কিনলে আরো মজা পেতেন খাইতে।
তারপরেও মজা পাবেন।ভেড়ার মাংস খুবই সুস্বাদু। তবে পরে একটু গা ব্যথা করতো।কোন ব্যাপার না পরে ঠিক হবে।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে ভাগ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনি সেদিন যে টিকিট ক্রিয়েট করেছিলেন,, আমি চরের মধ্যে ছিলাম৷ এজন্য রিপ্লাই দিতে দেরি হয়েছিল।

ঠিক আছে কোন ব্যাপার না।উভয়েরই বুঝার ভুল।ধন্যবাদ আপনাকে।ভালো থাকবেন।

ভাই অনেক কষ্টের পর আপনারা ভেড়াটা কিনতে পারলেন।তিন কিলোমিটার হেঁটে গেছেন অনেক রাস্ত। অনেক বেশি কষ্ট হয়েছে আপনাদের পুরা পোস্টটা পড়ে আমি বুঝতে পারলাম।যে গ্রামে ভেড়া কিনতে গিয়েছেন ওই গ্রামের পরিবেশ আমাকে মুগ্ধ করেছে এত সুন্দর ওই গ্রামের পরিবেশ । আপনার ছবি দেখলেই বুঝা যায়। যাই হোক দিন শেষে যেই কাজে গেছেন ওই কাজে সফল হয়েছেন এটা শুনে ভালো লাগলো। আশা করি পরবর্তীতে আপনাদের পিকনিকের গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।

পিকনিক সেদিন রাতেই করেছি। কিন্তু পিকনিকের ছবি তোলা হয়নি।

ওহ আচ্ছা,কিন্ত খুব মজার একটা দিন ছিলো।

ভাইয়া আমি জানি আজকের ব্যাপারটা অনেক কষ্টকর ই ছিলো।তবে ভেড়া কিনার পর থেকে পার্টটি পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ। কি একটা অবস্থা। একেবারে খাল, নদী সব পার হইলেন এক ভেড়ার জন্য। আর শেষে কিনা সে ই যেতে চায় না। 🤪
তবে এতো হাঁটলেন এটাই অবাক লাগতেছে। আমি হলে হয়তো অর্ধেক থেকেই চলে আসতাম।কারণ গরমে মাঠে হাটতে অনেক কষ্টকর।

শুধু কি তাই,,, বাপ্পারাজের মতো ডিগবাজি খায় তার পরেও নরতে চায়না।

😂😂ভেড়া যে ডিগবাজিও খেতে পারে এই তথ্য তো ভাইয়া আমার জীবনেও জানা ছিলোনা।
সাথে বাপ্পারাজ ও যে ডিগবাজি খায় এটাও জানতাম না।অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পারলাম আজকে। 🤪

ভাইয়া মনে হচ্ছে আমি ভেড়া কেনার ইতিহাস পড়ে ফেললাম। এত পরিশ্রম এত কিলোমিটার হাটাহাটি নদী পারাপার সবকিছু করে লাস্ট পর্যন্ত যে ভেড়া কিনতে পেরেছেন এটা ভেবে স্বস্তি লাগছে। ভেড়া কেনা হয়ে গেলে ভেড়া আনতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়েছে আপনাদের। বিশেষ করে কোমর পর্যন্ত পানিতে নেমে হাঁটা কষ্টদায়ক ছিল আপনাদের জন্য । শেষ পর্যন্ত যে অভিযান সফল হয়েছে সেটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাইয়া।

আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্টটি সম্পুর্ণ পড়ার জন্য।

বাহ্ পিকনিকের জন্য এত্ত কিছু । বেশ রোমাঞ্চকর ছিল । ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মূহুর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই। দাওয়াত দিয়েছিলাম আসলেন না তো।

বাপরে বাপ,এত কষ্ট করা শুধু একটি ভেড়া কেনার জন্য।আমি তো পড়েই যাচ্ছিলাম শেষ হচ্ছিল না।এখনের রোদ গায়ে খুব লাগে।যদি ও আমার একটু খারাপ লাগছিল ভেড়াটির জন্য তবে শেষ পর্যন্ত আপনাদের কষ্ট সার্থক হয়েছে এটা ভেবে ভালো লাগছে।ধন্যবাদ দাদা।

হাহাহা, দিনটা দারুণ ছিল দারুন, অনেক মজা পাইছি আমি, প্রতিটা জায়গা খুব সুন্দর ভাবে লিখেছেন ভাইয়া, সবকিছু পড়ে আমার কাছে মনে হচ্ছে, একটা ভেড়ার মাংস দিয়ে বোধহয় এই কষ্টের সুদ হবে না, প্রচণ্ড কষ্ট করেছেন সারা দিন হাঁটাহাঁটি রোদের কষ্ট পানির পিপাসা, এত খোঁজাখুঁজির পর ভেড়া পাওয়া, যেমনই হোক সময় টা কিন্তু দারুন ছিল, আপনিও খুব সুন্দর ভাবে লিখেছেন, আজকের পোষ্ট সত্যিই খুব উপভোগ করেছি অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

ভেড়ার মাংস খুবি স্বাদের । তবে আপনার এই ভেড়া খোজার এডভেঞ্চার টি আমার খুবি ভাল লেগেছে। সত্যি অনেক কষ্ট করে বহুদূর গিয়ে ভেড়া যোগার করেছেন। কিন্তু তাতে একটা আনন্দ ছিল যে বলে বুঝানো যাবে না। আমরাও মাঝে মাঝে এই রকম এডভেঞ্চার করি। যাই হোক ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা।

ভাইয়া,আপনার সফল অভিযানের জন্য প্রচণ্ড রকমের পরিশ্রম আপনি করেছেন। ভাইয়া,এই সময় রৌদ্রের তাপ প্রচন্ড রকমের থাকে।এই তাপে মানুষের শরীরের পানি শুকিয়ে যায় তাই কিছুক্ষণ পরপর পানির পিপাসা লাগে। ভাইয়া,আপনি একরোখা মানুষ যে চিন্তা করেছেন সেটা করেই ছেড়েছেন।আমি হলে হয়তো এই কাজটি করতাম না। এতটা পথ হেটে এত পরিশ্রম করে ভেরা কিনার চিন্তাভাবনা আর মাথায় থাকত না।

ভাইয়া, আপনার একটি সফল অভিযান লেখাটি পড়ে খুবই ভাল লেগেছে।তবে লেখার একটি অংশ পড়ে আমার প্রচন্ড রকমের হাসি পেয়েছে ভাইয়া।

চারজন ছিলাম তার মধ্যে আমরা তিনজন কিছুদূর কিছু দূর করে কোলে করে নিয়ে আসছিলাম। যখন আমরা ভেড়াটাকে ছেড়ে দিয়েছিলাম আর সামনের দিকে টানছিলাম কিন্তু সে যেতেই চাচ্ছিল না।

ধন্যবাদ ভাইয়া, একটি সফল অভিযান পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।💐

রোদের মধ্যে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে আপনাদের চারজনকে। শেষ পর্যন্ত শুনলাম না ভেড়া কে জবাই করা হয়েছে কিনা। আরেকটা কথা এতো কষ্ট করে বাড়িতে এসে কমিউনিটিকেও সময় দিয়েছেন, এটি অনেক বড় একটা ব্যাপার। আমি হলে বাড়িতে এসে হাত পা ছড়িয়ে, নাক টেনে ঘুমাতাম😆😆

হায়রে ভেড়া,
তোর জন্য কত প্যারা
অবশেষে দিলি ধরা,

কষ্টের মাঝে সুখ ছিল
ভ্যারা কিনতে গিয়ে
অবশেষে ছোট ভাইয়েরা
ভেরা গেল নিয়ে♥♥

হাহাহা। আমার এই আপুটা অলওয়েজ হিট।

দেখতে হবে না বোনটি কার??

হুম।।।এজন্যই তো এই অবস্থা 🥳

♥♥

ও ভাইয়া একটার পর একটা অ্যাডভেঞ্চার। মনে হচ্ছিল সিরিজ গল্পের মত। প্রথমে নদী পার হয়ে চরে, শেখান থেকে পাশের গ্রামে, তারপরে আবার খাল-বিল পেরিয়ে অন্য জায়গায়। খুবই দারুণ ছিল আপনাদের পুরা অভিজ্ঞতাটা।

অনেক দূর যাওয়ার পর দেখলাম আমরা যেখান থেকে এসেছি সেখানে ভেড়ার কাছে কে যেন একজন এসেছে। তারপর সেখানে আবারো ব্যাক করলাম। প্রচন্ড রোদ আর অনেক বড় বড় শক্ত ঢিলের উপর দিয়ে হাঁটতে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছিল। তবুও হেঁটে চলে গেলাম ওইখানে। যাওয়ার পর আরো হতাশ হলাম। যে লোকটা ভেড়ার কাছে এসেছিল উনি নাকি ভেড়াগুলোর মালিক নন।

ব্যাপারটা কিন্তু বেশ বিরক্তিকর এবং মজারও বটে।

আপনাদের পিকনিকের গল্প শুনে আমারও মনে চাচ্ছে বন্ধুদের নিয়ে পিকনিক করি। এবার সবাই একসাথে হলে আমরাও প্ল্যান করব পিকনিকের।

শেষ পর্যন্ত যে আপনি আপনার অভিযান সফল করতে পেরেছেন এটা জেনেই অনেক ভালো লাগলো। আপনি অনেক পরিশ্রমের মাধ্যমে আপনার কাঙ্খিত কাজটি করতে সক্ষম হয়েছেন। ভেড়ার মাংস আমি কোনদিন খাইনি। তবে আপনি দারুন একটি অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন। চর এলাকার জীবনযাত্রা সম্পর্কে এবং পরিবেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

ভাই আপনি এক ঢিলে দুই পাখি মেরেছেন। প্রথমত ভেড়া ক্রয় করেছেন দ্বিতীয়তঃ খুব সুন্দর ভাবে কৃষি জোত এবং কৃষি কার্যক্রম উপভোগ করতে পেরেছেন। তবে এরকম ভ্রমণ আমার অত্যন্ত সুন্দর লাগে। আপনার সামনের দিনগুলো অনেক সুন্দর এবং সৌন্দর্য বর্ধিত ভাবে কাটুক এই দোয়া প্রত্যাশা করে মানিক এর কাছে।

দিনটি আসলেই অনেক বড় ছিল। আপনার অ্যাডভেঞ্চার টা ভালই লাগলো। এরকম অ্যাডভেঞ্চার আমরাও মাঝে মাঝে করি। আসলে বন্ধুরা সাথে থাকলে যেকোনো জায়গাতেই অনেক ভালো লাগে। আমার মনে হয়, মাঝে মাঝে নিজেকে রিচার্জ করার জন্য সবারই প্রকৃতির মাঝে যাওয়া উচিত।

এ তো আজব জবর ভেড়া কাহিনী!!
''ভেড়ী'' ইন্টারেস্টিং!!
আর এত কষ্ট করার জন্য আপনার জন্য খারাপ লাগছে ভাই!
এ এক দারুণ অ্যাডভেঞ্চার