রুটিন লাইফ।

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

হ্যালো বন্ধুরা। আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজ আমি এমন একটা বিষয় নিয়ে দুটো কথা বলতে চাচ্ছি যেটা প্রত্যেকেরই প্রয়োজন হয়। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রত্যেকটা কাজ রুটিন মাফিক না করতে পারার কারণে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়। অনেক সময় ভুলে যেতে হয় বা পেরে ওঠা যায় না শেষ পর্যন্ত। একটি কাজ একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ করার অনেক গুরুত্ব রয়েছে।

সমস্যাটা হতে পারে ছোট থেকে বড় সব ধরনের। কাজের রুটিন এরপর টাইম টেবিল ঠিকমতো মেইনটেইন না করতে পারা অনেক সময় বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে। আমরা যদি লাইফটাকে একটা রুটিনের মধ্যে আনতে পারি তাহলে প্রত্যেকটা কাজ আরো অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে। তবে এখানে একটা ইম্পরট্যান্ট ম্যাটার হচ্ছে সুস্থ থাকা। সুস্থ না থাকলে জীবনের কোন রুটিনই ঠিকঠাকভাবে মেইনটেইন করা সম্ভব না। প্রথমত সর্বদা সুস্থ থাকার জন্য চেষ্টা করতে হবে। এরপর লাইফের প্রত্যেকটা কাজ একটি নির্দিষ্ট বাউন্ডারিতে নিয়ে আসতে হবে। নিজের সুবিধামতো একটি রুটিন তৈরি করে ফেলতে হবে। তবে একবারে একটি ফাইনাল রুটিন তৈরি করা উচিত না। আমি যখন একটা রুটিন তৈরি করি তখন বেশ কয়েকবার সেটা কারেকশন করি। এরপর একটা নিখুঁত রুটিন পাই।

রুটিন করে সব কাজ করা আসলে দৈনন্দিন জীবনকে অনেক সহজ করে দেয়। রুটিন ছাড়া কাজ করলে খুব অগোছালো লাগে, কাজের গতি নষ্ট হয়, ভুল ভ্রান্তি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, কিছু কাজ মিসিং থেকে যেতে পারে। এই সমস্যা গুলো এড়ানোর জন্য আমি নিজে আমার প্রত্যেকটা কাজগুলো এখন টুডু লিস্টে রাখি।

তবে আপনি যদি রুটিন করেন, আপনাকে অবশ্যই সেই ভাবে কাজ করতে হবে। রুটিন ব্রেক করা যাবে না। রুটিন ব্রেক করলে আর কোন ফায়দা হবে না। সময় শেষ হওয়ার আগেই সাধারণত কাজগুলো শেষ করে রাখতে হয়। এই জিনিসটা আমি এখনো ঠিকঠাকভাবে ইমপ্রুভ করতে পারিনি। চেষ্টা করছি, দেখা যাক কতদূর ইমপ্রুভ করতে পারি। টাইম ম্যানেজমেন্ট আর কাজগুলো সব রুটিন মাফিক করে ফেলা, দুটো একসাথে করতে পারলে বহু কঠিন কাজও সহজ মনে হয়। এটা পরীক্ষিত, আমি নিজে উপলব্ধি করেছি।

আপনি যখন আপনার রুটিনটি তৈরি করবেন তখন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন কোন ছোট কাজ বাদ পড়ে না যায়। এরপর আপনার নির্ধারিত সময়ে তো অবশ্যই সে কাজগুলো করবেন এরপরেও যদি আপনি কখনও ফ্রী সময় পান তাহলে ছোট ছোট কাজগুলো করে ফেলবেন। এটা আপনাকে পরবর্তীতে খুব রিল্যাক্স দেবে। কিন্তু ভুলেও রুটিন ব্রেক করে অন্য সময় কাজ করার প্ল্যান করবেনই না। তাহলে রুটিন করে কোন লাভ নেই। আগের মতোই সব অগোছালো হয়ে যাবে।

আপনারা রুটিরের জন্য একটা সফটওয়্যার ইউজ করতে পারেন। টুডু লিস্ট নামে প্লে স্টোরে সফটওয়্যার পেয়ে যাবেন। আমি অবশ্য সফটওয়্যারটা ইউজ করতাম কিন্তু এখন খাতা কলমে লিখে রাখি। আমার সারাদিন কি কি কাজ রয়েছে এটা আমি প্রত্যেকদিন সকালে একটি পেইজে লিখে ফেলি। এরপর যখন এক একটা কাজ শেষ হয় তখন এক একটা লেখা কলম দিয়ে কেটে দেই। এটা আমার দারুণভাবে কাজের স্পিড বাড়ায়। আমার একটা আগ্রহ কাজ করে যে দ্রুত প্রত্যেকটা টাস্কে ক্রস মারতে হবে। এটা খুব ইফেক্টিভ। আপনারাও ট্রাই করতে পারেন।

আমি আমার রুটিন গুলোকে আরো ইমপ্রুভ করার চেষ্টা করছি। আপনাদের কাছে খুব ভালো ভালো আইডিয়া থাকতে পারে। থাকলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। একেক জন একেক রকম সিস্টেম ফলো করে। জানা থাকলে নিজেও ট্রাই করা যাবে। যেটা বেশি ইফেক্টিভ হবে সেটাই ফলো করবো আর কি। যাইহোক আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে ইনশা আল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।

work-4057334_1280.jpg
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

ভাই প্রথমে বলবো আপনি একটি সুন্দর টপিক তুলে ধরেছেন ৷ আসলে আমাদের জীবনে রুটিন মাফিক চলা ভীষন জরুরী ৷ তাহলে সময়ের সৎ ব্যবহার করা সম্ভব ৷ নয় তো অনেক কাজের চাপ পরে যায় ৷ তাই নিজের জন্য ভবিষ্যৎ ভাল কিছুর জন্য নিয়ম মাফিক রুটিন অনুযায়ী কাজ করা ৷
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য ৷

আমাদের দৈনিন্দন জীবনের কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য একটি রুটিন এর কোন বিকল্প নেই। তবে আমি মনে করি রুটিন মাফিক কাজ করার জন্য সফটওয়্যার ব্যবহারের চেয়ে খাতা-কলমে লিখে রেখে কাজ করাটাই শ্রেয়। আর রুটিন তৈরি করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের সকলের উচিত ছোট কাজগুলোকে রুটিনের মধ্যে ধরে নেওয়া। নিজের কাজের ভিত্তিতে তৈরি করার রুটিন অনুসারে কাজ করাটাই নিজেদের জন্য ফলপ্রসূ।

হ্যাঁ ভাই,এটাই বড় কথা সুস্থ থাকলে সব কাজ ঠিকঠাক করা যায়। প্রথমত আপনাকে সুস্থ থাকতে হবে তারপরে আপনার কাজের রুটিন মানতে পারবেন।

আপনারা রুটিরের জন্য একটা সফটওয়্যার ইউজ করতে পারেন। টুডু লিস্ট নামে প্লে স্টোরে সফটওয়্যার পেয়ে যাবেন।

ভালো ধারণা দিলেন।

দারুণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন দাদা।তবে প্রত্যেকের জীবনে রুটিনের ভূমিকা অপরিসীম থাকলেও সেটা মেনে না চলার ফলে সমস্যায় পড়তে হয়।আসলে পরিকল্পনা হয়তো সবাই করে কিন্তু রুটিন মেনে কাজ করাটা বেশ কঠিন।আমিও চেষ্টা করি রুটিন মাফিক কাজ করার কিন্তু কখনো কখনো ভেস্তে যায়।

আমার সারাদিন কি কি কাজ রয়েছে এটা আমি প্রত্যেকদিন সকালে একটি পেইজে লিখে ফেলি।

আপনার এই বিষয়টি ভালো লাগলো।ধন্যবাদ দাদা।

আসলেই ভাইয়া আমাদের সবার উচিত রুটিন তৈরি করে সেই মোতাবেক চলা। আজকের কাজ কালকের জন্য ফেলে রাখা যাবে না। অবশ্যই রুটিন ফলো করতে হবে। জেনে ভালো লাগলো আপনি একটা পেইজে সারাদিনের কাজ গুলো লিখে ফেলেন এবং এতে করে কাজের স্পিড অনেকটা বেড়ে যায়। এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন সবসময়।