সমুদ্র সৈকতের ঝিনুকের মেলা।

in hive-129948 •  3 years ago 

অনেকদিন হয়ে গেল পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার থেকে ঘুরে এলাম। ইতিমধ্যেই আমার ট্রাভেলিং এর মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আমি যখন ফ্রি থাকি মাঝে মধ্যেই আমার গ্যালারির ছবি গুলো দেখতে থাকি। বিশেষ করে পুরনো ছবিগুলো দেখতে বেশ ভালই লাগে। ফেলে আসা স্মৃতি গুলো আরেকবার মনে করিয়ে দেয় গ্যালারির পুরনো ছবিগুলো। আজ হঠাৎ ভাবছিলাম আমার তোল পুরনো কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আজকে যে ছবিগুলো পোস্ট করতেছি এই ছবিগুলো দিয়ে একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট করার ইচ্ছা আগে থেকেই ছিল। আপনারা জানেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিচের কোল ঘেঁষে অসংখ্য দোকানপাট গড়ে উঠেছে যেখানে বিভিন্ন রকমের ঝিনুক বিক্রি হয়। মেয়েদের কানের দুল, গলার মালা, পায়ের তোড়া সবকিছুই ঝিনুক আর মুক্তোর তৈরি। এইসব জিনিসগুলো প্লাস্টিকের তৈরি ও আছে। কিন্তু মুক্তার মালা, আর ঝিনুক এর তৈরি জিনিসগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি।

আমরা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে তিন দিন এবং তিন রাত কাটিয়েছি। সমুদ্রের রূপ দিনে একরকম আর রাতে আরেকরকম। চারিদিকে কৃত্রিম হলো, প্রাকৃতিক বাতাস, আর সমুদ্রের গর্জন। সমুদ্রের পানিতে হালকা পা ভিজিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। রাতে আমরা প্রতিদিনই বিচে যেতাম। আমরা যেদিন চলে আসলাম তার আগের দিন রাতে সবাই মিলে বিচে ঘোরাফেরা করছিলাম। রাত তখন প্রায় ১০ টা বাজে।

1636462096976-01.jpeg

1636462125207-01.jpeg

1636464622471-01.jpeg

সবাই রাতের খাওয়া দাওয়া করার জন্য হোটেলে গিয়েছিল কিন্তু আমার খেতে ইচ্ছা করছিল না। সবাইকে বললাম খেয়ে আসতে। আমি আর আমার এক ছোট ভাই বিচেই ঘোরাফেরা করছিলাম আর দোকানপাট গুলো দেখছিলাম। ওখানে অনেক গুলো ঝিনুকের দোকান ছিল। ওখানে গিয়ে ঝিনুক এর তৈরি বিভিন্ন রকম জিনিস আর প্লাস্টিকের তৈরি মেয়েদের সাজগোজের জিনিস গুলো হাতে নেড়ে দেখছিলাম আর অনেকগুলো ছবিও তুলেছিলাম। সেই ছবিগুলোই কখন আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ।

1636462142164-01.jpeg

1636462167934-01.jpeg

1636462204162-01.jpeg

1636462231346-01.jpeg

1636462259596-01.jpeg

1636462288369-01.jpeg

1636462313324-01.jpeg

1636462342083-01.jpeg

1636462365657-01.jpeg

1636462392642-01.jpeg

1636462424198-01.jpeg

1636462468397-01.jpeg

1636462532398-01.jpeg

1636462496816-01.jpeg

স্পেসিফিকভাবে কোন ছবির উপর আলোচনা করলাম না। ছবি গুলো সবই দুই থেকে তিনটি দোকান থেকে তোলা।

  • ছবিগুলো যে ডিভাইস দিয়ে তোলা হয়েছেঃ- xiaomi redmi note 9 Pro Max.
  • ছবিগুলো যে লোকেশন থেকে তোলা হয়েছেঃ-
    https://w3w.co/coaster.rigs.shunning
  • তারিখঃ- ২৭ আগস্ট ২০২১- রোজ শুক্রবার।

Amar Bangla Blog

||
আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||

break.png

Amar Bangla Blog Discord Server


এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য

break.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সমুদ্র সৈকতের ঝিনুকের মেলা।
সৈকতে বালু নিয়ে করেছিলাম খেলা
তিনদিন তিনরাত সৈকতের রুপ
দিনে-রাতে ভিন্নরকম দেখে হই চুপ।।

ঝিনুকের দোকানে রকমারি বাহার
পাশের এক হোটেলে করে নেই আহার
গলার মালা হাতের চুড়ি আহা কত রংবাহারি
কিনে নিলাম তাড়াতাড়ি,ফিরতে হবে এবার বাড়ি
♥♥

ধন্যবাদ ভাইয়া!♥

কবিতাটি অসাধারণ লেগেছে। আমার ঘটনাগুলোই আপনি কবিতা দিয়ে প্রকাশ করলেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

♥♥

আমিও যতবার কক্সবাজারে গিয়েছে চেষ্টা করেছি রাতের বেলাতে বিচে উপভোগ করতে কারণ এই সময়টা অনেক মনমুগ্ধকর থাকে এবং যখন বাতাস আসে তখন সেখানে বসে থাকার কিংবা ঝিনুকের দোকানগুলো পরিদর্শন করা সত্যিই অনেক উপভোগ্য বিষয়। অনেকেই দেখি আবার হোটেলে গিয়ে বসে থাকতে পছন্দ করে। হা হা। কিন্তু আমি ঘুরতে গেলে বাইরে থাকতে খুব বেশি পছন্দ করি। ধন্যবাদ সুন্দর কিছু ছবি শেয়ার করার জন্য বিশেষ করে রাতের সমুদ্রের ছবিগুলো অনেক চমৎকার ছিল।

আপনি একদম সঠিক বলেছেন। রাতের বেলা সমুদ্র সৈকত সত্যিই দারুণ লাগে। সমুদ্রের গর্জন আর স্নিগ্ধ বাতাস সব মিলিয়ে একটা অসাধারণ পরিবেশ।

কক্সবাজার আমি গিয়েছিলাম কয়েকমাস আগে।বেশ কয়েকমাস হচ্ছে বলতে গেলে। তখন আমি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এর পাশের দোকানগুলো থেকে এইযে ঝিনুকের তৈরি অনেকগুলো জিনিষ কিনেছিলাম।
আমিও ফ্রি সময়ে পুরনো ছবি গুলো দেখি আর দেখতেও আমার খুব ভালোই লাগে।

আমি ঐসব দোকান থেকে অল্প কিছু কেনাকাটা করেছিলাম। আর বাড়ি আসার আগে অনেকগুলো ঝিনুক কুড়িয়ে নিয়ে এসেছিলাম।

সত্যি ভাইয়া ঝিনুকের মেলা যে বলেছেন এতে মিথ্যে নয়। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভিচ ঝিনুকের মেলায় বটে। তাও আবার একদিনের নয় সারা বছর জুড়ে। আপনার গ্যালারি দেখিয়ে আমাকে আমার পুরনো দিনে নিয়ে চলে গেলেন আপনি। আমারও মনে পড়ে গেলো পুরনো দিনের সেই স্মৃতি গুলো, যদিও আপনি আপনার স্মৃতিগুলো মনের ভাবগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করছেন। দেখে যেমনটা ভালো লেগেছে আমার কাছে তেমনি একটু খারাপও লাগছিল। কারন আমার কক্সবাজার ছয় দিনের সফরের কোন স্মৃতি আমার কাছে নেই। আমার অ্যালবামে কিছু ছবি আছে কোথায় আছে জানিনা। তবে আপনি অনেক সুন্দর করে কক্সবাজারের ঝিনুকের মেলার বর্ণনা দিয়েছেন। এবং কি।রাতের কক্সবাজার বিচের যে সৌন্দর্য ফুটে উঠে আপনার ফটোগ্রাফিতে আবার নতুন করে দেখে নিলাম। আপনার খিদে থাকা সত্ত্বেও আপনি খাননি বিছে ঘুরেছেন। সত্যি ভাইয়া এতো সুন্দর লাগে তখন খিদে থাকলেও খাওয়ার মত মন মানুষিকতা থাকে না। মন চায় যে সারারাত ওখানে ঘুরে হাটে আর সৌন্দর্য উপভোগ করি। আপনার পোস্টটি পড়ে এবং দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমাদের সাথে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনার প্রতি ভালোবাসা অবিরাম ভাইয়া।

আমিও মাঝে মাঝেই আমার গ‍্যালারি ঘুরে দেখি। তবে আমার ভালোর থেকে খারাপই বেশি লাগে কারণ সেই সুন্দর সময়গুলো অনেক মিস করি।

এবং তিনবছর আগে আমি সুন্দরবন গিয়েছিলাম ওখানেই ঝিনুকের মালা এবং অন‍্যান‍্য জিনিস পাওয়া যেত। আমি একসেট ঝিনুকের মালা কিনেছিলাম। এখনো আমার কাছে আছে।

আপনার তোলা ঝিনুক শামুকের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল। ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। খুব ভালো পোস্ট ছিল ভাই।

ভাইয়া আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো। ঝিনুক মালার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ঝিনুক শামুকের বিচিত্র রূপ আর গঠন। সত্যিই অসাধারণ সুন্দর। ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

আপনার পুরাতন কক্সবাজারের দৃশ্যগুলোর ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর।
আসলে কথাই বলে না " old is gold"

আপনার ফটোগ্রাফি গুলো তার জলন্ত প্রমান।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।

ছবি যখন কথা বলে স্মৃতির পাতায় তখন ফেলে আসা সময় গুলোতে বারবার ফিরে যেতে মন চায়। হাসি-কান্নার সময়গুলো ছবি দেখে মনে হয় । বাস্তবত আর কর্মব্যস্ততার চাপে সামরিক অনেক কিছুই ভুলে যায়। যখন আবার মোবাইল বা কম্পিউটার গ্যালারিতে চোখ যায় তখনই অনেক কিছু মনে পড়ে।

আছে কক্সবাজারে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। যে মুহূর্তগুলো ভুলে থাকার নয়।
যেখানে আছেন আশা করি ভালো থাকবেন।

আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে ভাইয়া ।জিনুকের মেলা দেখে তো আমার ঝিনুক নিতে ইচ্ছে করছে। এত রং বেরংয়ের সুন্দর সুন্দর ঝিনুক দেখে না নিয়ে কি পড়া যায় ?প্রতিটি ফটোগ্রাফি আপনি এতো সুন্দর করে তুলেছেন যে ঝিনুক গুলো আরও আকর্ষণীয় লাগছে দেখতে। অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ঠিক বলেছেন ভাইয়া কক্সবাজারের সৌন্দর্য দিনে একরকম আবার রাতে অন্যরকম। আমরা যখন বন্ধুরা মিলে গিয়েছিলাম তখন রাতের বেলা বিচের চেয়ার গুলোতে বসে থাকতাম। এত ভাল লাগতো তা বলার মতো না। একদিকে যেমন ভীষণ বাতাস অন্যদিকে সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ এসে পারে আছরে পড়তো । আসলে ওখানে না গেলে এই অনুভূতিটা কাউকে বলে বোঝানো যাবেনা। খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন মনে হচ্ছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

গ্যালারি তখনই ঘুরি যখন কারেন্ট চলে যায় আর ওয়াই-ফাই হাওয়া হয়😁
ইনশাল্লাহ আমার এস,এস,সি এক্সাম শেষ হলে আমিও ঘুরতে বেরোবো😊
ফটোগ্রাফি দারুণ ছিল আর ভাই প্রথম ছবিটা মেবি আপলোড হয় নাই,জাস্ট এড্রেস দেখা যাচ্ছে।

সুমন ভাইয়া আপনিও খুব ভ্রমণ পিপাসু, অনেক ঘুরেন আপনি।
আমিও কক্সবাজার গেছিলাম ফেব্রুয়ারিতে।
কক্সবাজার এর ঝিনুক এর ছবি অসাধারণ হয়েছে।

শুভকামনা রইলো ভাই

চমৎকার হয়েছে ভাই আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। ঝিনুক গুলো দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। এগুলো ব্যবহার করে খুব সুন্দর ডেকোরেশন করা যায়। তবে কখনো এভাবে ঝিনুকের দোকানে ভ্রমণ এর অভিজ্ঞতা নেই আমার। আপনার পোস্ট টির মাধ্যমে সেই অভিজ্ঞতা টিও হয়ে গেল কিছুটা। শুভেচ্ছা অবিরাম ভাই।

রাত্রেবেলা সমুদ্রের তীরে হাঁটাহাঁটি করার অনুভূতি খুবই আনন্দদায়ক। রাত্রিবেলা সমুদ্রতীরের বাতাস এবং সমুদ্রের স্তব্ধতা ,গর্জন মিলে ব্যাপারটি খুবই রোমাঞ্চকর লাগে। আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্রাফি ভীষণ সুন্দর হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাইয়া।

খুব সুন্দরভাবে ছবিগুলো তুলেছেন ভাইয়া। কক্সবাজারে সত্যিই শুধু ঝিনুকের মেলা দেখা যায়। প্রায় সব দোকানেই খুব সুন্দর ঝিনুকের বাহার দেখা যায়। কিছুদিন আগে আমিও ঘুরে এসেছিলাম। খুব ভালো লেগেছিল।

বিভিন্ন রকমের ঝিনুকের ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে ভাইয়া। আমি ছোটবেলায় যখন বাবার সাথে বাইরে যেতাম তখন এসব ছোট ছোট ঝিনুক গুলো কিনে আনতাম। বিশেষ করে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে আমি যখন গিয়েছিলাম তখন আমি বেশকিছু ঝিনুকের তৈরি জিনিস কিনেছিলাম। সেই পুরাতন জিনিস গুলো আজও আমার কাছে রয়েছে। সেগুলো দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। ঝিনুকের দোকানের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল।

আপনার ট্রাভেলিং এর মুহূর্তগুলো যখন আমাদের সামনে তুলে ধরেন সেগুলো পড়ে মনে হয় আমিও ঘুরতে গিয়েছি সেখানে। নিজের ভিতরে ঘোরার একটা ফিলিংস চলে আসে। তবে কক্সবাজার কখনো যাওয়া হয়নি হয়তো যাব কোনদিন ।আপনার তোলা ঝিনুকের ছবিগুলো, মালা গুলো দেখে আমার খুব ইচ্ছা করতেছে যাইতে ।এত সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেন সেটা নতুন করে বলার কিছু না তবে জিনিস গুলো আমার খুব ভালো লাগতেছে যদি যায় এগুলোর জন্য কোন একদিন যাব।