আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- রেমাক্রি শীতের সকাল
- ২৬, নভেম্বর ,২০২৪
- মঙ্গলবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজ আমি রেমাক্রিতে কাটানো শীতের সকালের দৃশ্য পটভূমি শেয়ার করবো।আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
Device : Redmi Note 11
রেমাক্রি শীতের সকাল
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..

তাহলে চলুন শুরু করি |
---|
জানুয়ারি মাসে ১৮ তারিখে আমরা বান্দরবান এবং কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম ঘুরতে। আমরা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে অনেক প্ল্যান করি। বর্তমান সবাই অনেক ব্যস্ত কেউ বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত রয়েছে। সেজন্য সবার একসঙ্গে হওয়াটা অনেক কষ্টকর। অনেক প্ল্যান পরিকল্পনা শেষে আমরা ১৮ তারিখে ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। বান্দরবান পাহাড়ি অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করার জন্য যে সকল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন সেগুলো আমরা আগেই কিনেছিলাম। আমাদের কুষ্টিয়া থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে বিকেল পাঁচটার দিকে রওনা হওয়ার পর আমরা কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে পৌঁছাই নয়টার দিকে। আমরা যখন বান্দরবন শহরে পৌঁছায় তখন সকাল 11 টা বাজে। অনেক পথ জার্নি করার মাধ্যমে সবাই ক্লান্ত ছিলাম। যাইহোক আপনাদের সাথে ধারাবাহিকভাবে বান্দরবান ঘুরাঘুরি মুহূর্তের দৃশ্যপট পর্ব আকারে শেয়ার করে চলেছি।
Device : Redmi Note 11
কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..

এর আগের পর্বে আপনাদের সাথে সাঙ্গু নদী দিয়ে যাওয়ার সময় চারিপাশের দৃশ্যপটভূমি শেয়ার করেছিলাম। আসলে আমাদের এই ছোট্ট দেশে পার্বত্য অঞ্চলে অনেকগুলো জায়গাতে ঘুরাঘুরি করেছি কিন্তু নদীপথে পার্বত্য অঞ্চলে কোথাও যাওয়া হয়নি। প্রথম সাঙ্গু নদী দিয়ে যাওয়ার সময় ভিন্ন এক অনুভূতির সাক্ষী হয়েছিলাম। সেখানকার মানুষের জীবন যাত্রার মান কেমন। তারা পাহাড়ি অঞ্চলে কিভাবে বসবাস করে। তাদের দৈনন্দিন জীবনের সুযোগ সুবিধা এবং কষ্টময় মুহূর্ত গুলো কেমন সেটা ভালই উপলব্ধি করতে পেরেছি। এই নদী পথ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের দৃশ্যমান অনেক বিষয়ই চোখে পড়েছিল। যেগুলো গত পর্বে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে যখন সাঙ্গু নদী দিয়ে যাওয়ার ট্রাভেলিং ব্লগ গুলো দেখতাম অনেক ভালো লাগতো। যখন নিজে সাক্ষী হলাম সেই অনুভূতিটা একদমই আলাদা ছিল।
Device : Redmi Note 11
অদৃশ্য পাহাড়
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..

গত বছর শীতের মৌসুমটা দারুন কেটেছিল। যেটা কখনোই ভুলবার নয় । বান্দরবন থেকে নেটওয়ার্কের বাইরে চলে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে একটি রাত যাপন তারপর সকালে ঘুম থেকে উঠে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ । মনে হচ্ছে কুয়াশায় ঘিরে পাহাড়গুলোকে আটকে রেখেছে। সকালের সেই কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ দেখে বিভিন্ন অনুভূতির সাক্ষী ।যেটা এখনো মনে পড়লে আবার যেতে ইচ্ছে করে। রাতে অনেক সময় আড্ডা দেওয়ার পরে ঘুমাইতে হয় দেরি হয়ে গিয়েছিল অনেকে ঘুমিয়ে গিয়েছিল আমরা কয়েকজন বন্ধু অনেক সময় ধরে আড্ডা দিয়েছিলাম। রাতের সেই ক্লান্তি ঘুম থেকে উঠতে আরো দেরি হয়ে গিয়েছিল। যাইহোক, সকালে রেডি হয়ে সেই সাঙ্গু নদীর দৃশ্য উপভোগ করার জন্য হালকা উঁচু পাহাড় থেকে নেমে নদীর মাঝে চলে গেলাম।
Device : Redmi Note 11
ঠান্ডা পানির ছোঁয়া
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..

আমরা যখন নদীর খুব কাছাকাছি গেলাম ঠান্ডা পানি সেই সময় প্রচন্ড শীত চারিদিকে কুয়াশায় ঘিরে রেখেছে । কুয়াশার চাদর এমনভাবে ঘিরে রেখেছে সকালের সৌন্দর্যটা বেস্ট ছিল। প্রথমে সেই ঠান্ডা পানিতে পা দিতে আতঙ্কিত হলাম কিন্তু অবাক হলাম পানি গরম ছিল যেন পানি থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে কি এক দারুন দৃশ্য সত্যি সেই দিনের কথা মনে পড়লে আবার যেতে ইচ্ছে করে আমরা সবাই রাতের বেলা যেখানে আড্ডা দিয়েছিলাম সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় চারিপাশের সুন্দর পরিবেশ উপভোগ করছি ফটোগ্রাফি নিয়ে সেই সময় অনেকটা ব্যস্ত ছিলাম। অনেক সুন্দর ভিডিও করে রেখেছিলাম যেগুলো আপনাদের সাথে এখনো শেয়ার করা হয়নি। আশা করি এরকম সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেমাক্রিতে কাটানো শীতের সকাল |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 11 |
ফটোগ্রাফার | @ripon40 |
লোকেশন | বান্দরবান |
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit