ট্রাভেল: রেমাক্রি থেকে নাফাখুমের পথে পর্ব-১২ // by ripon40

in hive-129948 •  3 months ago 

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক


  • নাফাখুম জলপ্রপাত যাওয়া মুহূর্তের দৃশ্য
  • ২৯, নভেম্বর ,২০২৪
  • শুক্রবার


আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজ আমি নাফাখুম জলপ্রপাত যাওয়া মুহূর্তের দৃশ্য পটভূমি শেয়ার করবো।আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।



1000056989-01.jpeg


Device : Redmi Note 11
নাফাখুম এর উদ্দেশ্যে
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..





তাহলে চলুন শুরু করি


জানুয়ারি মাসে ১৮ তারিখে আমরা বান্দরবান এবং কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম ঘুরতে। আমরা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে অনেক প্ল্যান করি। বর্তমান সবাই অনেক ব্যস্ত কেউ বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত রয়েছে। সেজন্য সবার একসঙ্গে হওয়াটা অনেক কষ্টকর। অনেক প্ল্যান পরিকল্পনা শেষে আমরা ১৮ তারিখে ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। বান্দরবান পাহাড়ি অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করার জন্য যে সকল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন সেগুলো আমরা আগেই কিনেছিলাম। আমাদের কুষ্টিয়া থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে বিকেল পাঁচটার দিকে রওনা হওয়ার পর আমরা কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে পৌঁছাই নয়টার দিকে। আমরা যখন বান্দরবন শহরে পৌঁছায় তখন সকাল 11 টা বাজে। অনেক পথ জার্নি করার মাধ্যমে সবাই ক্লান্ত ছিলাম। যাইহোক আপনাদের সাথে ধারাবাহিকভাবে বান্দরবান ঘুরাঘুরি মুহূর্তের দৃশ্যপট পর্ব আকারে শেয়ার করে চলেছি।

IMG_20240121_080155-01.jpeg

IMG_20240121_080156-01.jpeg

IMG_20240121_080200-01.jpeg

IMG_20240121_080216-01.jpeg


Device : Redmi Note 11
ট্রাকিং মুহূর্তে
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..



এর আগের পর্বে আপনাদের সাথে সাঙ্গু নদী দিয়ে যাওয়ার সময় চারিপাশের দৃশ্যপটভূমি শেয়ার করেছিলাম। আসলে আমাদের এই ছোট্ট দেশে পার্বত্য অঞ্চলে অনেকগুলো জায়গাতে ঘুরাঘুরি করেছি কিন্তু নদীপথে পার্বত্য অঞ্চলে কোথাও যাওয়া হয়নি। প্রথম সাঙ্গু নদী দিয়ে যাওয়ার সময় ভিন্ন এক অনুভূতির সাক্ষী হয়েছিলাম। সেখানকার মানুষের জীবন যাত্রার মান কেমন। তারা পাহাড়ি অঞ্চলে কিভাবে বসবাস করে। তাদের দৈনন্দিন জীবনের সুযোগ সুবিধা এবং কষ্টময় মুহূর্ত গুলো কেমন সেটা ভালই উপলব্ধি করতে পেরেছি। এই নদী পথ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের দৃশ্যমান অনেক বিষয়ই চোখে পড়েছিল। যেগুলো গত পর্বে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে যখন সাঙ্গু নদী দিয়ে যাওয়ার ট্রাভেলিং ব্লগ গুলো দেখতাম অনেক ভালো লাগতো। যখন নিজে সাক্ষী হলাম সেই অনুভূতিটা একদমই আলাদা ছিল।

IMG_20240121_080316-01.jpeg

IMG_20240121_082229-01.jpeg

IMG_20240121_080316-01.jpeg

IMG_20240121_082229-01.jpeg


Device : Redmi Note 11
পাহাড়ের সৌন্দর্য
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..



গত পর্বে আপনাদের সাথে সকালের মুহূর্তের দৃশ্য শেয়ার করেছিলাম আমরা সকাল ভোরে প্রস্তুতি নিয়ে নাফাকুমের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম। আসলে এই অনুভূতিটা অন্যরকম ছিল। প্রায় দুই ঘন্টা যাবত হেঁটে হেঁটে পাহাড়ের গিরিপথ দিয়ে আমাদের সামনের দিকে এগোতে হবে। অনেক জায়গা রিস্কি তবুও ভালোলাগার বিষয় আছে। অনেক নতুন কোন জায়গার সাক্ষী হতে পারাটা বিভিন্ন রকম অনুভূতি কাজ করে। আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম পাহাড় পথে হেটে যাওয়া খুবই কঠিন। প্লাস্টিকের জুতা যেগুলো খুবই কার্যকরী। সেগুলো আগেই কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম তাছাড়া বান্দরবান শহরে অনেক পাওয়া যায়। আমরা সবাই সেই পাহাড়ের পাশ দিয়ে হেঁটে হেঁটে রওনা দেয়া শুরু করলাম। সেখানকার একজন আমাদেরকে পথপ্রদর্শক হিসেবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছিলেন।

IMG_20240121_082458-01.jpeg

IMG_20240121_082501-01.jpeg

IMG_20240121_082911-01.jpeg

IMG_20240121_083438-01.jpeg


Device : Redmi Note 11
পাহাড়ি পথের দৃশ্য
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..



তিনি অনেক মানুষকে ছিলেন আমরা তাকে অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছিলাম । অনেক সুন্দর করে আমাদেরকে ব্যাখ্যা দিচ্ছিল । আসলে সেখানকার মানুষগুলো অনেক ভালো। আমাদের পার্সোনাল যে গাইড নিয়ে গিয়েছিলাম তিনি অনেক ফাঁকিবাজ ছিল । যাইহোক, দুই ঘণ্টার পথ দ্রুত হেঁটে যাওয়া অনেক কঠিন । স্বাভাবিকভাবে হেঁটে অতিক্রম করতে হবে আমরা সেভাবেই সামনের দিকে এগোতে থাকলাম। আবার চারিপাশের পরিবেশ গুলো ভালোই উপভোগ করছিলাম । পাহাড়ের এই সুন্দর মনোরম পরিবেশ আপনি যদি উপভোগ করতে পারেন তাহলে জীবনের সার্থকতা কতটুকু সেটা বুঝতে পারবেন। সেই দিনগুলো মনে পড়লে আবার ফিরে যেতে মন চায়। সেখানে একান্ত নিরিবিলিতে কাটিয়ে আসার মুহূর্তটা খুবই মিস করি। পরবর্তী পর্বে আরো সুন্দর মুহূর্তের দৃশ্য শেয়ার করব।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীরেমাক্রি থেকে নাফাখুমের পথে
ডিভাইসRedmi note 11
ফটোগ্রাফার@ripon40
লোকেশনবান্দরবান

ধন্যবাদ সবাইকে



20211112_012926-01.jpeg

আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।



standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

gPCasciUWmEwHnsXKML7xF4NE4zxEVyvENsPKp9LmDaFuzVwHnY92rponrLLcEknitVG5yvYaPTExVtjfc6Bi4cvC9ppuyLmaATGbhg8UF4suiCxVfuw2YuSWJftJo9C74dQUN2WE1yNJmdtXp.png

💞 আল্লাহ হাফেজ 💞

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Screenshot_2024-11-29-14-53-19-025_com.android.chrome.jpg

Screenshot_2024-11-29-14-51-30-459_com.coinmarketcap.android.jpg

Screenshot_2024-11-29-14-50-53-141_com.twitter.android.jpg

আপনি তো দেখছি অনেক সুন্দর স্থান ভ্রমণ করেছেন। আমাদের দেশে বেশ অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে। আমার খুব ইচ্ছে এ সমস্ত জায়গা গুলো দেখার। তবে আপনাদের মধ্য দিয়ে দেখার কিন্তু সুযোগ আসে। বেশ ভালো লাগলো এমন সুন্দর জায়গা গুলো দেখে।

এই জায়গাটির কথা কখনোই ভুলবো না। পাহাড়ি অঞ্চলের গহীনে যেখানে গিয়ে ভিন্ন এক অনুভূতির সাক্ষী হয়েছিলাম সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।