আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- বান্দরবান শহর থেকে থানচি যাওয়ার পথে চা বিলাস
- ২৭, জুন ,২০২৪
- বৃহস্পতিবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজ আমি বান্দরবান শহর থেকে থানচি যাওয়ার পথে চা বিলাস মুহূর্তের দৃশ্য পটভূমি শেয়ার করব । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
Device : Redmi Note 11
মাঝ পথে চা বিলাস
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
তাহলে চলুন গল্পটি শুরু করি |
---|
জানুয়ারি মাসে ১৮ তারিখে আমরা বান্দরবান এবং কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম ঘুরতে। আমরা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে অনেক প্ল্যান করি। বর্তমান সবাই অনেক ব্যস্ত কেউ বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত রয়েছে। সেজন্য সবার একসঙ্গে হওয়াটা অনেক কষ্টকর। অনেক প্ল্যান পরিকল্পনা শেষে আমরা ১৮ তারিখে ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। বান্দরবান পাহাড়ি অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করার জন্য যে সকল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন সেগুলো আমরা আগেই কিনেছিলাম। আমাদের কুষ্টিয়া থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে বিকেল পাঁচটার দিকে রওনা হওয়ার পর আমরা কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে পৌঁছাই নয়টার দিকে। আমরা যখন বান্দরবন শহরে পৌঁছায় তখন সকাল 11 টা বাজে। অনেক পথ জার্নি করার মাধ্যমে সবাই ক্লান্ত ছিলাম। যাইহোক আপনাদের সাথে ধারাবাহিকভাবে বান্দরবান ঘুরাঘুরি মুহূর্তের দৃশ্যপট পর্ব আকারে শেয়ার করে চলেছি।
Device : Redmi Note 11
যাত্রা পথের দৃশ্য
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
আমরা বান্দরবান শহর থেকে নীলগিরি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম কিন্তু সেখানে যাওয়া সম্ভব হলো না তারপর সেখান থেকে ব্যাক করে থানচির এর উদ্দেশ্যে বের হই। সেই সময় প্রচন্ড শীত ছিল চাঁদের গাড়ি ফাঁকা চারিপাশে প্রচন্ড গতিতে পাহাড়ি রাস্তা অতিক্রম করছে। এদিকে আমরা সিটে বসে কাপাকাপি করছি । সবাই এমনভাবে পোশাক পড়েছিলাম যেন বাতাস ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে । প্রচন্ড বেগে গাড়ি চলায় বাতাসের গতিবেগ অনেক ছিল কোন ভাবেই বাতাসের হাত থেকে রেহাই পেয়েছিলাম না। তবুও শীতে সবারই কাঁপুনি ধরে যায়। সেদিন শীতের কষ্ট কতটুকু ভালোভাবে বুঝতে পেরেছিলাম।
Device : Redmi Note 11
সকালের ফ্রেশ মাইন্ডের সেলফি
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
দীর্ঘ তিন ঘন্টা আমাদের যাত্রা করতে হবে সকাল ভোরে বেরিয়েছিলাম। কারন আমাদের সেখানে পৌছাতে অনেক দেরি হয়ে যাবে সকালে বের হলে খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছাতে পারবো। পাহাড়ি অঞ্চলে টাইম অনুযায়ী বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি না করলে সবই লস। আমাদের ম্যানেজার সাহেব সাগর ভাই তিনি আমাদের সকল দায়িত্ব নিয়ে সেভাবেই বিভিন্ন জায়গায় যাত্রা করে। মাঝপথে একটি চায়ের দোকান দেখতে পাই আসলে প্রচন্ড শীতে এক কাপ চা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা সেই সময় বুঝতে পেরেছিলাম। গাড়ি যখন থামালো মনে হল যেন রেহাই পেলাম শীতের হাত থেকে। সেখানে থামার পর স্থানীয় লোকজন আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল ।তারা প্রায় সবাই বাঙ্গালী মাত্র ২-৩ জন দেখতে পেলাম তারা চাকমা।
Device : Redmi Note 11
চারিপাশের দৃশ্য পটভূমি
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
সকালে যেহেতু নাস্তা করে বের হয়নি। সেখানে ছোলা সিদ্ধ যেটা মাঝে মাঝে বাজারে গিয়ে খেতাম। যাইহোক, সেটা আমাদের নাস্তার জন্য পারফেক্ট ঝালমুড়ি পেয়েছিলাম দুটোই খেয়েছিলাম তারপর চা খাওয়ার পালা। পাহাড়ি মানুষের ব্যবহৃত কাচি যেটা দেখতে চা পাতির মতো যখন পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ পাহাড়ের গহীনে প্রবেশ করে তখন তারা এগুলো নিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করে। সেটা আমরা হাতে নিয়ে দেখলাম কেমন। তাদের যখন এই চাপাতির মত কাচি নিয়ে পাহাড়ে যেতে দেখতাম অনেক ভয় পেতাম। যদি কেউ এটা দিয়ে কোপ দেয় তাহলে অবস্থা খারাপ কারণ পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ অনেক হিংস্র তাদের তাকানো ভাব ভঙ্গি দেখলেই আমার ভয় করে। যাইহোক, শীতের কাঁপুনি থেকে মুক্তি পেলাম চা খাওয়ার পর সেই মুহূর্তটা মনে রাখার মত ।আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | বান্দরবান শহর থেকে থানচি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 11 |
ফটোগ্রাফার | @ripon40 |
লোকেশন | বান্দরবান |
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit