---

হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক

---

---

---

আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি " স্কুল জীবনের গল্প " শেয়ার করছি । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

---

---

Source

আজকে আবার স্কুল জীবনের গল্প নিয়ে হাজির হলাম। এর আগে চারটি পর্ব শেয়ার করেছি । সেখানে অনেক সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। সেই মুহূর্তগুলো এখনো মনে পড়লে মনে হয় আবার যদি সে অনুভূতি গুলো ফিরে পেতাম সত্যিই অনেক ভালোলাগা কাজ করতো।

সেখানে প্রবেশ করার পর প্রথমেই আমরা রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়িরর ভেতর প্রবেশ করলাম। তার স্মৃতি বিজড়িত অনেক জিনিসপত্র রয়েছে সেগুলো একে একে পরিদর্শন করলাম। সেই সময় অনেক ছবি তুলেছিলাম যেগুলো হয়তো বন্ধুদের কাছে এখনো আছে। সেখানে গিয়ে ভিতরের সমস্ত জায়গায় ঘুরাঘুরি করার পর। রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ির পাশেই একটি পুকুর আছে যেটা অনেক গভীর সেখানে কয়েকটি নৌকা এবং লঞ্চ ছিল ছোট্ট। পুকুরটি অনেক বড় ছিল সেখানকার একজনের কাছ থেকে জানতে পারলাম অনেক গভীর। তার পাশেই দুই বিঘা জমি যেটা নিয়ে কবিতা রয়েছে। আমরা ঘুরতে আসার আগেই প্লান করেছিলাম রবীন্দ্রনাথের এই পুকুরে আমরা গোসল করব সবাই মিলে। প্রথমে অনেককে রাজি ছিল না সেই সময় কিছু বন্ধুর জোরাজুরিতে সবাই রাজি হয়ে যায়।

বন্ধুদের সাথে যেখানেই যাওয়া যায় অনেক মজা অনেক বিনোদন। আমরা প্ল্যান করলাম গোসল করার মাধ্যমে সাঁতার প্রতিযোগিতা হয়ে যাবে। সবাই রাজি হয়ে গেল পুকুরের চারপাশে চারটি ঘাট রয়েছে সিঁড়ির। যেহেতু দৈর্ঘ্যের দিক দিয়ে অনেক বড় তাই আমরা প্রস্থ বরাবর সাঁতার প্রতিযোগিতা দেব। পশ্চিম দিকের বাধা ঘাট সেখান থেকে সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু করলাম পূর্ব দিকের ঘাটে গিয়ে উঠলাম। অনেকে প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার সাথে সাথে পরাজয় মেনে নিয়ে আবার ফিরে আসলো। আমরা কয়েকজন পূর্ব ঘাটে গিয়ে উঠলাম। সেই সাঁতার প্রতিযোগিতায় আমি ফার্স্ট হয়েছিলাম। ছোটবেলা থেকেই অনেক ভালো সাঁতার দিতে পারতাম। তারপর আমার কিছু বন্ধুরা দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল পুকুরের তলদেশ থেকে মাটি তুলতে হবে ডুব দিয়ে।

আমি সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম আরো দুই একজন গ্রহণ করেছিল। প্রথমে আমি মাটি তোলার জন্য ডুব দিলাম প্রথমবার ব্যর্থ হলাম। প্রথমবার অনেক ভয় ভয় করছিল বলে তলদেশের খুব কাছাকাছি গিয়ে ফিরে আসি। আর দুই বন্ধু তারা চেষ্টা করলেও তারাও ব্যর্থ। আমি তাদের কাছে বললাম এবার শেষ চেষ্টা। অবশেষে শেষবারে মাটি তুলতে সফল হয় তখন সবাই উল্লাস করতে থাকে এখনো সেই কথা মনে পড়লে মনে হয় সেই সময়ে ফিরে যাই। দীর্ঘ সময় ধরে গোসল করেছিলাম প্রায় এক ঘন্টা যাবত। সেদিন এত পরিমাণ গোসল করেছিলাম সবার চোখ লাল হয়ে গিয়েছিল। গরমের সময় গোসল করার মজাই আলাদা।

উপর থেকে উঠে আমরা সবাই ফ্রেশ হয়ে নিলাম। সেখানে অনেক সময় আড্ডা দেওয়া। নিজেদের ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। আমরা যে যার মত রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়িতে ঘুরতে ঘুরতে আলাদা হয়ে গেলাম। সেখানে ঘুরাঘুরি করা শেষ করতে করতে বিকেল হয়ে গিয়েছিল ।আবার নৌকায় বাড়ি ফিরতে হবে সেই চিন্তা রয়েছে সবার মধ্যে। বর্ষাকালে যে কোন সময় বৃষ্টি নামতে পারে নদীর পথে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি যাওয়া যেটা সত্যিই এই খারাপ একটা পরিস্থিতি ডেকে আনবে। তাই আমরা বিকেল শেষ হওয়ার আগেই রওনা দেওয়ার জন্য আবার পদ্মা নদীর দিকে রওনা দিলাম। মাঝপথে যেতে না যেতেই প্রচন্ড বৃষ্টি। তখন কি করা যায় সবাই একটি বাড়িতে প্রবেশ করে বৃষ্টির হাত থেকে সাময়িক রক্ষার জন্য আশ্রয় নিলাম।

সেদিন এত পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছিল যে এক ঘন্টা সময় সেখানেই কেটে গেল। আমরা সেই বাড়িতে অনেক সময় বসে আড্ডা দিতে থাকলাম। আর বলতে থাকলাম আজ মনে হয় আমাদের বাড়ি যাওয়া হবে না। বৃষ্টির যে প্রকোপ এই বাড়িতেই থেকে যেতে হবে। সেই বাড়ির মানুষ খুবই ভালো ছিল। আমাদেরকে রুমে গিয়ে বসতে বলল কিন্তু আমরা তাদের বাড়ির বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছিলাম। কয়েকজন বন্ধু ছিল নদী পথে বৃষ্টিময় মুহূর্তে যেতে ভয় পেয়েছিল তারা গাড়িতে চলে গেল। তারপর বৃষ্টি কমে গেলে আবার আমরা রওনা দেই। সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল আমাদের রওনা দিতে নদীপথে যেটা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।পরবর্তী পর্বে আরো সুন্দর কিছু মজার ঘটনা শেয়ার করার চেষ্টা করব। আশা করি এই পর্ব আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।

---

---