---

হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক

---

---

---

আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন। আর আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি। আলহামদুলিল্লাহ। আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে আবারো একটি পোস্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি।

Source

বর্তমান দেশের যুবসমাজের বেহাল দশা। একটি সমাজ ও দেশের ভবিষ্যৎ হলো যুবসমাজ। যাদের হাত ধরেই একটি দেশের উন্নয়ন এবং সামনের দিকে এগিয়ে চলে। সেই যুবসমাজ যদি সামনের দিকে এগিয়ে না গিয়ে নিজেকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায় সেই দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অন্ধকারে নিপতিত হবে। যে যুব সমাজ একটি দেশের আশা আকাঙ্ক্ষার অনেক বড় ভরসার প্রতীক। যাদের প্রেম ময় রুপ শক্তির কারণে দেশের নিঃস অসহায় জনতা লাভ করবে নতুন জীবন। যাদের উপর একটি দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে তারাই আজ অধ্যপতনে।

বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার খুবই খারাপ অবস্থা। আমি ছোট্ট সময় দেখেছি আমাদের সমবয়সীরা বড়দের অনেক সম্মান এবং ভয়ের চোখে দেখতো। বর্তমানে যুবারা বড়দের সম্মান দেওয়া দূরের কথা তাদের পরোয়াই করে না। বিশেষ করে গ্রামের যুবারা সবচেয়ে বেশি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর প্রধান কারণ পরিবারের সচেতনতার অভাব। আমি একটি কথা মাঝে মাঝেই বলি একটি দেশের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার হলো পরিবেশ। যে দেশের পরিবেশ যত ভালো সেই দেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। আমরা যদি সুন্দর পরিবেশ নিজেদের সচেতনতা বোধ তৈরি করতে না পারি তাহলে আমাদের উত্তরসূরীরা খারাপ দিকে চলে যাবে।

এই দিক দিয়ে শহরের অভিভাবক তারা খুবই সচেতন। সমাজ ব্যবস্থা খারাপ হলেও তারা চেষ্টা করছে নিজের সন্তানকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ার । যেটা প্রতিটা পরিবারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে সকল যুবারা স্কুলে লেখাপড়া করে তারা মাদকাসক্ত হচ্ছে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম চাঁদাবাজি যেগুলো প্রতি নিয়ত দেখতে পাচ্ছি। এই সকল কর্মকান্ডের জন্য আমাদের সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য দায়ী।

এর প্রধান দায়বদ্ধতা থেকে যায় পরিবারের। একটি ছেলে বা মেয়ে যখন স্কুলে লেখাপড়া করে তাদের কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে । যেগুলো না বাড়লে তারা খারাপ দিকে চলে যাবে। বর্তমানে দেখা যায় স্কুলে যে সকল ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করে বিশেষ করে ছেলেরা তারা স্কুল শেষ হওয়ার পরপরই কিশোর গে ং মাদকাসক্ত বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সাথে লিপ্ত হয়ে যায়। সন্ধ্যা মুহূর্তে তাদের বই দিয়ে পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকার কথা কিন্তু তারা বিভিন্ন অলিতে গলিতে আড্ডা মাদকাসক্ত আরো অন্যান্য অপকর্মের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে। যেটা হয়ে থাকে পরিবারের সচেতনতার অভাবে। পরিবারের উচিত তাকে গাইড দিয়ে সঠিক পথে পরিচালনা করানো। সেই সময় একটি ছেলে বা মেয়ে সাহসিকতা দেখিয়ে বাইরে থাকাটা মানেই তার ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

আবার এর জন্য দায়বদ্ধতা রয়েছে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের। রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য যুবসমাজের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। আমরা ছোট্ট সময় দেখেছি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকতো বাপ চাচার সমবয়সী ব্যক্তিবর্গ আর বর্তমানে দেখতে পাই আমাদের মত যুবসমাজ। সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে যারা স্কুলে লেখাপড়া করে তাদের রাজনৈতিক বিষয়ে মাথা ঘামানোর প্রশ্নই ওঠেনা তাদের উপস্থিতি বর্তমানে বেশি। যেখানে তার চাচার সমবয়সীদের থাকার কথা ছিল। আমাদের এলাকার যখন ছোট্ট পর্যায়ের নেতারা হেঁটে যায় তাদের পাশে থাকে ১০-১২ বছর বয়সী কিশোর সত্যিই এটা দুঃখজনক। তাহলে বুঝুন এদের থেকে কি আশা করা যায়। এ সকল কিশোরদের আমরা যেটা শিখাবো তারা সেটাই শিখবে।

এই বিষয়ে কথা বললে শেষ হবে না। রাজনৈতিক নেতাকর্মী তাদের এই স্বার্থ হাসিলের জন্য বর্তমান যুবসমাজকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়ে সমাজ এবং দেশকে অন্ধকারের দিকে নিপতিত করছে। তাদের কিছু বলার উপায় নেই কারণ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য যে কোন অপকর্মের সাথে যুক্ত করে । তাদের টাকা-পয়সার লোভ দেখিয়ে যেকোনো কর্মকার করানোর পথে পরিচালনা করে। একসময় দেখা যায় সেই যুব সমাজ কোন কিছু করতে কর্ণপাত করে না। এক সময় দেখা যায় পরিবার ও সমাজকে তারা বিভিন্ন বিশৃঙ্খলার মধ্যে ফেলে দেয়। আজ তাদের কাছে পরিবার এবং সমাজ অনেক বড় অসহায়। প্রযুক্তির অপব্যবহারের কথা আর কি বলবো যেখানে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নতর দিকে ধাবিত হবে সেখানে আরো ত্বরান্বিত হচ্ছে। সেজন্য এই যুব সমাজকে সঠিক পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য একমাত্র পরিবারকে সচেতন হতে হবে। নিজের সন্তানকে সঠিক পথে পরিচালনা না করলে তার ভবিষ্যৎ এবং পরিবারের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হবে। সে জন্য সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

---

---