বন্ধুদের সাথে জন্মদিনের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মূহুর্ত

in hive-129948 •  2 months ago 

আসসালামু আলাইকুম,

কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয়ই সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে আবারো নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

IMG_20241028_123607.jpg

শুধু আমার মেয়ে বলে নয় আমি দেখেছি বেশিরভাগ বাচ্চারাই চায় তাদের আনন্দ তাদের বন্ধুদের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে বেশি পছন্দ করে। আমার মেয়েও চাচ্ছিল তার জন্মদিনে তার বন্ধুদের সাথে কিছুটা সময় কাটাতে আনন্দ করার। কিন্তু সবাইকে তো বাসায় ডাকা সম্ভব না সবাইকে একসঙ্গে পাওয়ার একটাই উপায় হচ্ছে স্কুল। মেয়ের ইচ্ছাটাও যাতে পূরণ হয় আবার যাতে কারো কোন সমস্যা না হয় এটা চিন্তা করেই আমি আগের দিন স্কুলের পরিচালকের ফোন দিয়েছিলাম এবং ওনার কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছি। যাতে আমার মেয়ে তার বন্ধুদের আনন্দ সাথে ভাগাভাগি করে নিতে পারে। স্যার তো খুব খুশি হয়েছেন বলেছেন এতে তার কোন সমস্যা নেই।

IMG-20241028-WA0000.jpg

IMG_20241028_122419.jpg

IMG_20241028_121624.jpg

IMG_20241028_121611.jpg

এজন্য আমি প্ল্যান করেছিলাম স্কুলে বাচ্চাদেরকে কিছু খাবার দিব। যাতে করে বাচ্চারাও খুশি হয় আর আমার মেয়েটাও অনেকটা আনন্দ পায়। আমার মেয়ে কাউকে কোন কিছু দিতে পারলে খুবই আনন্দ পায়। এজন্য আমি ওর জন্মদিনের দিন ওকে স্কুল থেকে নিতে যাওয়ার আগে বাচ্চাদের জন্য চকলেট ওয়েফার কিনেছিলাম। যে চকলেট ওয়েফার গুলো আমার মেয়েও পছন্দ করে আবার ওর বন্ধুরাও পছন্দ করে। স্কুলে গিয়ে তো দেখিয়ে ওর সব বন্ধুরা ওকে উইশ করেছে আমার মেয়ে আমার তো খুশিতে পারলে লাফায়। ক্লাসে টিচাররা ওকে উইশ করেছে এজন্য ও আরো অনেক বেশি খুশি হয়েছে।স্কুলের ম্যামদের কাছে অনেক বেশি কৃতজ্ঞ আমার মেয়েটাকে এতটা আনন্দ দেওয়ার জন্য। আমি যে ওর বন্ধুদের জন্য চকলেট ওয়েফার কিনেছি এটা আমার মেয়েকে আগে বলিনি ওর জন্য সারপ্রাইজ রেখেছিলাম। আমাকে ক্লাসে দেখে আমার মেয়ে তো অনেক খুশি হয়েছে আর চকলেট ওয়েফার যখন ওর বন্ধুদের কে দিচ্ছিল সে যে কি খুশি হয়েছে তা বলে বোঝানোর মত না। সবাইকে চকলেট ওয়েভার দিয়ে দেওয়াতে ওর বন্ধুরা অনেক খুশি হয়েছে। ওর বন্ধুরা ওকে অনেক আদর করছিল। আমার মেয়ে খুশিতে যেন আত্মহারা হয়ে যাচ্ছিল।

শুধু ওর বন্ধুদের কে দিলে তো হবেনা ওর ম্যামদের কেউ দিতে হবে এজন্য আমি ওর ম্যামদের জন্য মিষ্টি কিনে নিয়েছিলাম। যাতে করে ম্যামরাও খুশি হন। সবাইকে মিষ্টি দিয়ে আমার মেয়েটার জন্য অনেক অনেক দোয়া চেয়েছি।আমার মেয়ের স্কুলের ম্যামদের কথা আর কি বলবো ওনারা আমার মেয়েকে এত বেশি ভালোবাসে। আর আমার মেয়েটা সবসময়ই স্কুলে গেলে খুবই আনন্দ পায়। আর ওর ম্যামারা ওকে সব সময় অনেক বেশি প্রায়োরিটি দেয় এটা আমার মেয়ের কাছে খুবই ভালো লাগে। এজন্য এই স্কুলকে ও খুব ভালোবাসে।

বাচ্চারা তো আসলে অল্পতেই অনেক বেশি খুশি হয়ে যায় চকলেট ওয়েফার পেয়ে আমার মেয়ের বন্ধুরা ওকে আরো অনেকবার উইশ করেছে। আর বাচ্চাদের সব আনন্দ দেখে আমার কাছেও এত বেশি ভালো লাগছিল।
ভাবলাম বাচ্চাদের খুশি করা কত সহজ। আমার কাছে এটা ভেবে আরও ভালো লাগছে যে আমার মেয়েকে আমি আনন্দ দিতে পেরেছি। ওর এই আবদারটাও আমি রাখতে পেরেছি। সবাই আমার মেয়েটার জন্য দোয়া করবেন একদিন যেন আমার মেয়ে মানুষের মত মানুষ হয়ে আমাকে একজন গর্বিত মা হিসেবে সারা দুনিয়ার কাছে পরিচিত করতে পারে।

আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3CeF5StuMqDPqgYjRhUxqFbXTvH2r2mDgNbWweA4YGBo825oLh4oqEqeynn5EZL11LdCrppngkM.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

গত পোষ্টের মাধ্যমে জন্মদিনের কেক কেনার মুহূর্ত দেখেছিলাম। আজকে আরো একটা পোস্ট দেখে ভালো লাগলো। স্কুলের সব বন্ধুদের নিয়ে দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছে। স্কুলে সবাই নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছে। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য।

আপু আপনার মেয়ের জন্মদিন ছিল বৃষ্টি আপুর পোস্টের মাধ্যমে জেনেছিলাম। ছোট বাচ্চারা জন্মদিনে সত্যি অনেক আনন্দ পায়। আর তার স্কুলের বন্ধুদের সাথে দারুন সময় কাটিয়েছে। মামনির জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।