আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগে সকল সদস্যরা কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয়ই সবাই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ তো প্রথম রমজান ছিল। দিনটি সারাদিন অনেক ভালো কেটেছে। আশা করি সবারই অনেক ভালো কেটেছে।আজ আবারও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আশা করি আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
গাইবান্ধায় একটি নির্দিষ্ট সময়ে বাণিজ্য মেলা হয় এবারও তার অন্যথা হয়নি। অনেকদিন যাবত বাড়ি যাওয়া হয় নি। বাড়ি থেকে সবাই বলছিল বাণিজ্য মেলা শুরু হয়েছে আমার মেয়ে তো যাওয়ার জন্য অনেক অস্থির ছিল আর আমি অনেকদিন বাড়ি যাইনি মেলায় যাওয়ার বাড়িতে ঘুরে আসা দুটো মিলিয়ে হঠাৎ করে প্ল্যান করে গাইবান্ধা চলে যাই। খুব বেশি দিনের সময় না দুদিনের সময় নিয়ে গাইবান্ধা গিয়েছিলাম। কারণ জাহিরার এখন স্কুল একদমই মিস করা যাবে না। তারপর জাহিরা কোচিং ট ভর্তি হয়েছে। সেখানেও ক্লাস মিস করা যাবে। তো সব মিলিয়ে তাকে খুব চাপের মধ্যে থাকতে হয়। এজন্য তার মাঝখানে এক শুক্রবার বন্ধ ছিল এটা চিন্তা করে তাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাইবান্ধা চলে যাই।আমার মেয়ে তো সেদিন সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার জন্য অস্থির করছিল। কিন্তু আমার শরীর ভালো লাগছে না বলে সেদিন যায়নি পরের দিন বিকেল হতে হতে আমরা সবাই বেরিয়ে পড়ি। আমি আমার ছেলে আমার মা আমার মেয়ে আন্টিরা মিলে আমরা মেলায় চলে যাই। মেলার লাইটিং দেখে আর গেটটা এত বেশি সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল দেখতে রাজকীয় রাজকীয় লাগছিল। আলাদা আলাদা টিকিট কেটে আমরা ভিতরে ঢুকে পরি। ঢুকে প্রথমে যেটা চোখে পড়ে আচারের দোকান আর চকলেট এর দোকান।
জিনিসগুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছিল আমার কিছুটা কিছুটা মেয়ের পছন্দের কিনে ফেলি। কিছুটা আমার পছন্দের বেশ ভালই ছিল খাবারগুলো।এরপর সংসারে জিনিসপত্র কেনার জন্য এতটাই বেশি ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম ছবি তেলার কথা মনে ছিল না। যা দেখি তাই নিতে ইচ্ছা করে। আসলে মেয়েরা বিয়ের পরে সংসারের জিনিস সেই বেশি কিনতে চায়। আমার তো অন্য কোন দোকানে যেতে ইচ্ছা করছিল না ফুলদানি ফুল প্রকারের এইসব নিতে ইচ্ছা করছিল। বেশ কিছুটা নিয়ে নিয়েছি। এরপর মেয়ের বায়না করেছে সে রাইডে উঠবে। তারপর তার পছন্দের বাইডে তুলতে গিয়ে আরেক সর্বনাশ করে ফেলেছি প্রথম একটা রাইডার মেয়েকে একাই তুলে দিয়েছিলাম।এরপরের টাতে মনে হচ্ছিল ওকে একা তুলে দেওয়া ঠিক হবে না তাই আমি ছেলে মেয়ে তিনজনই উঠে যাই।রাইডে উঠে তো তাকাতে পারছিলাম না।চোখ বন্ধ করেছিল মাথা ঘুরছিল রাইড বন্ধ হওয়ার পরে প্রচন্ড শরীর খারাপ করে।
এরপর আর খুব বেশি কেনাকাটা করা হয়নি। কারণ আমার শরীর কোনভাবেই আর চলছিল না। শুধু মনে হয়েছিল বাসায় গিয়ে আমি একটু চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকলে অনেক ভালো লাগবে। এরপরে মেয়ের অল্প কিছু কেনাকাটা করে আমি মেলা থেকে বের হয়ে আসি।শরীর না চললে তো কোন কিছুই ভালো লাগেনা। তারপরও অনেক কিছু কেনাকাটা করেছি। আর আমার ছেলে তো রাইডে ওঠে সেটা থেকে নামতে চায় না। এত ছোট মানুষ মাত্র ১৭ মাস বয়স. তারপরও সে এত কিছু বোঝে।সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ সবাইকে ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রথমেই আপনার ছোট্ট ছেলের জন্য অনেক শুভকামনা রইল। আপনি মেয়ের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় মেলায় ঘোরাঘুরি করে যাপন করেছেন দেখে ভালো লাগছে। মেলায় গিয়ে রাইড না চাপলে কখনো ঘোরা সম্পূর্ণ হয় না। তাই সে দিক থেকে ওরা রাইড চড়ে খুব ভালো কাজ করেছে। সকলে মিলে এমন আনন্দেই থাকুন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি বাণিজ্য মেলায় ঘোরাঘুরি করেছেন এবং সেখানে অনেক সুন্দর ফটো ধারণ করে সেই বিষয়ে বর্ণনার সাথে উপস্থাপন করেছেন আজকের পোস্টে। আপনার পোস্ট এর মধ্য দিয়ে কিন্তু খুব সুন্দর ধারণা পেয়ে গেলাম বাণিজ্য মেলা সম্পর্কে। আপনার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করে অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাণিজ্য মেলায় গিয়ে দেখছি খুব ভালো সময় কাটিয়েছিলেন। আপনার ঘুরাঘুরি করার পুরো মুহূর্তটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এত সুন্দর করে শেয়ার করার কারণে পুরোটা পড়তে পারলাম। ঘুরাঘুরি করার সময় মেলার খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন। সব মিলিয়ে দারুন ছিল আপনার এই পোস্ট।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমানে কমবেশি সব জেলাতেই বাণিজ্য এবং কুটির শিল্প মেলা হচ্ছে। আপনাদের গাইবান্ধাতে বাণিজ্য মেলায় গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। পুরো মেলা খুব সুন্দর ভাবে লাইটিং করা। ডেকোরেশন গুলো দেখে ভালো লাগলো। সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit