আসসালামু আলাইকুম,

কেমন আছেন সবাই?নিশ্চয়ই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে আবারো নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

১৩ই অক্টোবর ছিল আমার ছেলের প্রথম জন্মদিন। দেখতে দেখতে একটা বছর কেটে গেছে বুঝতেই পারেনি। মনে হল সেদিনই হসপিটালে প্রথম ওকে দেখলাম প্রথম কোলে নিলাম সেই অনুভূতিগুলো একটা বছর হয়েছে বুঝতেই পারেনি। সময় কত দ্রুত চলে যায়। ছেলেকে পেয়ে আমাদের পরিবারের সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছিল আমার মেয়ে। সব সময় চাইতো ওর একটা ভাই হোক আর ওর ভাইকে ভাইকে শুধু পেয়ে খুশি নয় ভাইয়ের প্রতি যথেষ্ট দায়িত্ব সে পালন করে। আল্লাহর কাছে আমি সব সময় শুকরিয়া আদায় করি যেন ওদের ভাই বোনের ভালোবাসা আজীবন এরকমই থাকে। ভাইয়ের জন্য বোন তার সবকিছু দিয়ে দিতে প্রস্তুত।

আমার ছেলের জন্মদিনটা এবার পড়েছিল পূজার ছুটিতে। ছুটিতে আমি আমার বাবার বাড়ি গাইবান্ধায় গিয়েছিলাম। আর তখন আমার ফুফাতো ভাই বোন তাদের বাচ্চারাও এসেছিল। যার জন্য করে ছেলের জন্মদিনটা অনেকটা ভালোভাবে কেটেছে। যদিও আমি জন্মদিনে তেমন কোন কিছু করি না। আমার বাবাকে বলেছিলাম যাতে মসজিদে দোয়া করে নেমে এজন্য কিছু লাগবে কিনে এনেছিলাম।

এই লাড্ডুগুলো দিয়ে আমার বাবা মসজিদে নামাজ পড়ে দোয়া করে নিয়েছে। আমার মা অনেক ধরনের রান্না বান্না করেছিল। পেলে কে বাচ্চারা তো কেক পেলে কেক কাটার জন্য অস্থির হয়ে থাকে। আমি যেহেতু কেকটা আগের দিন এনে রেখেছিলাম এর জন্য ওদের এক্সাইটমেন্ট আরো অনেক বেশি ছিল কখন কি একটা কাটা হবে। তবে আমার ফুফাতো ভাই বোনেরা ১৩ তারিখেই সবাই চলে যাবে এজন্য বিকেল বেলায় কেক কাটা হয়েছে। বাচ্চারা মিলে সবাইকে কেটেছে আর বাচ্চারা সবাই মজা করে কেক খেয়েছে।

সবাই আমার ছেলেটার জন্য দোয়া করবেন। সে যাতে সুস্থ সুন্দর মানবিক একজন মানুষ হয়ে উঠতে পারে। আকজের মতো এখানে বিদায় নিচ্ছি।ধন্যবাদ সবাইকে।