মাদককে না বলুন

লিংক


আসলে বর্তমান সময়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আমাদের যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো এখন তারা বিভিন্ন মাদক গ্রহণ করছে এবং এর ফলে তাদের শারীরিক এবং মানসিক ক্ষমতা অনেকটা লোভ পাচ্ছে। আসলে আপনারা বর্তমান সময়ে দেখতে পাবেন যে বর্তমান কার ছোট ছোট বাচ্চারা দোকান থেকে বিভিন্ন ধরনের নেশাদার দ্রব্য কিনে নিয়ে রাস্তাঘাটে সেগুলো সেবন করছে। আসলে আপনারা যদি সেই সব বাচ্চাদেরকে এই মাদকের অপকারিতা সম্পর্কে বোঝাতে চান তাহলে আপনি উল্টো তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের কটুক্তি শুনে চলে আসবেন। আসলে এখন সমাজটা এই অরাজকতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো মাদক। একজন স্বাভাবিক লোক যদি মাদক গ্রহণ করে তার মন মানসিকতা সবসময় অস্বাভাবিক হয়ে যায়। আসলে এর ফলে আমাদের বুদ্ধিমত্তা অনেকটা লোভ পেয়ে যায়।

এছাড়াও আমরা বিভিন্ন ধরনের মাদকচক্র বিক্রয় দোকানগুলো রাস্তার অলিতে গলিতে দেখতে পাই। আসলে মাদক গ্রহণের ফলে দেশের যেমন শিক্ষিতের হার কমে যাচ্ছে তেমনি অল্প বয়সে বাচ্চারা বিভিন্ন প্রকার অপরাধ মূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। আসলে এই মাদকের ক্ষতি যে কতটা বেশি তা আমরা বর্তমান সময়ে টের পাচ্ছি। আসলে মাদক হলো এমন একটা জিনিস যায় একবার গ্রহণের ফলে মানুষের শারীরিক এবং মানসিক বুদ্ধিগুলো লোভ পায়। এছাড়াও তারা কোনটা ভালো এবং কোনটা মন্দ এসব বিচারের দিকগুলো বুঝতে না পেরে বিভিন্ন খারাপ কাজের দিকে ঝুঁকে পড়ে। আসলে তারা জীবনে যতই খারাপ কাজ করুক না করো এতে করে তাদের কোনো অনুশোচনা হয় না। কারণ তাদের ভালো-মন্দ বোঝার ক্ষমতা হারিয়ে যায় এই মাদক গ্রহণের ফলে। আমরা এখন দেখি যে রাস্তার দুপাশে মাদক সেবন করে অনেকে পড়ে থাকে।


আসলে আমরা তাদেরকে সবসময় পাশ কাটিয়ে চলে যাই এবং তাদের সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক রাখি না। এছাড়াও আপনারা দেখেছেন যে সমাজে যেসব লোক মাদক সেবন করে সেই সব লোকের সাথে লোকজন তেমন একটা মিশতে চায় না। এছাড়াও যারা মাদক সেবন করে তারা কিন্তু কখনো বাইরে গিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে পারে না। তারা যতটুকু পরিশ্রম করে সেই টাকা দিয়ে সম্পূর্ণ মাদক ক্রয় করে সেসব মাদক গ্রহণ করে। আসলে এসব ব্যক্তিদের জন্য তাদের পুরো পরিবারটা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায়। কারণ একটা পরিবার চায় যে তাদের সন্তানরা জীবনে বড় হোক এবং জীবনে বড় হয়ে তারা তাদের পরিবারকে যথেষ্ট সাহায্য করুক। কারণ একসময় মা-বাবা আমাদের যেমন খাদ্য, বস্ত্র এসব কিছু দিয়েছিল তেমনি তাদের বয়সকালে আমরাও তাদের সুখে রাখার দায়িত্ব নিয়ে থাকি। আসলে যারা সব সময় মাদক গ্রহণ করে তারা তাদের পরিবারকে কখনো সুখে রাখতে পারে না।

এছাড়া আমরা দেখতে পাই যে আমাদের এই পৃথিবীতে এখন মাদক গ্রহণের সংখ্যা অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে। আর এর ফলে সমাজে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজ সব সময় হয়ে থাকছে। আসলে আমরা যদি এসব ব্যক্তিদেরকে মাদকের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে বোঝাতে পারি এবং তাদেরকে যদি ভালো পথে নিয়ে আসতে পারি তাহলে কিন্তু আমরা একটা সুন্দর সমাজ তৈরি করতে পারব। কারণ শুধু সুন্দর সমাজ গঠনে এই মাদক সব থেকে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। আর এজন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করব যে মাদকের দোকানগুলো যাতে সচরাচর সব জায়গায় না থাকে এবং কোন দোকানদার যেন মাদকদ্রব্য বিক্রি করতে না পারে সেজন্য আমরা সব সময় সতর্ক থাকব এবং এসব মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জনসচেতনতা বাড়াতে চেষ্টা করব।

আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।