রাস্তার পাশের খাবার

in hive-129948 •  17 days ago 

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে রাস্তার পাশের খাবার সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


image.png



লিংক

আসলে প্রতিদিনকার জীবনে আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। আসলে আমরা সব সময় চেষ্টা করি যে ভালো এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার জন্য। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে তত এই পুষ্টিকর খাবারের সংখ্যা কমে যাচ্ছে এবং ক্ষতিকর খাবারের সংখ্যা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আসলে আগেরকার সময়ে হাইব্রিড জাতীয় কোন ফসলের উদ্ভব হয়নি। আসলে আমাদের পূর্বপুরুষ যারা ছিলেন তারা কিন্তু সবাই অনেকটা পুষ্টিকর খাবার খেয়ে এই পৃথিবীতে বহু বছর বেঁচে গেছেন। এছাড়াও তাদের সময়ে খাবারে তেমন একটা ভেজাল কখনোই ছিল না। আসলে তাদের কাছে ভেজাল নামক শব্দটি উচ্চারণ করলে তারা এই শব্দের মানে কখনোই জানে না। আসলে তারা পুষ্টিকর খাবার খেয়েছিল বলে তাদের ভিতর তেমন একটা মারাত্মক রোগ কখনো বাসা বাঁধতে পারেনি। আর এজন্য তারা যতদিন পৃথিবীতে বেঁচে ছিল ততদিন সুস্থ এবং সবল ছিল।


কিন্তু এই পৃথিবীতে এরপর থেকে একদিকে যেমন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি অন্য দিক থেকে খাদ্যের সংকট দেখা যাচ্ছে। আসলে এই অতিরিক্ত লোকেদের জন্য যে খাদ্যের প্রয়োজন হয় সেই খাদ্য যদি পূর্বের মতো তৈরি করা হতো তাহলে এত লোকেদের খাবারের চাহিদা কখনো পূরণ করা যেত না। আর এই জন্য বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের হাইব্রিড জাতীয় খাবারের উদ্ভব হয়েছে। কিন্তু রাস্তার পাশে আমরা বিভিন্ন ধরনের যে ছোট ছোট খাবারের দোকান দেখতে পাই সেই দোকানগুলো কি সত্যিই ভালো ধরনের খাবার তৈরি করে। আমার তো মনে হয় তারা কখনো ভালো খাবার তৈরি করে না। আসলে তারা যেসব খাবার তৈরি করে সেসব খাবার কিন্তু খুবই সুস্বাদু খেতে হয়। আসলে খাবারগুলো সুস্বাদু হলেও এই খাবারগুলো যেভাবে তৈরি করা হয় তা কখনো সঠিক উপায়ে হয় না।


আসলে তারা যেমন বাজার থেকে সবথেকে খারাপ খাবারগুলো কিনে আনে সস্তায়। আর সেই সস্তা সবজি দিয়ে খুবই নোংরা ভাবে খাবার তৈরি করে। আসলে তারা এই খাবারে স্বাদ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রকার কেমিক্যাল ইউজ করে। আসলে তারা যে খাবারগুলো তৈরি করে তা কিন্তু আসলে তেমন একটা বেশি খারাপ স্বাদের হয় না। আর এই স্বাদ বৃদ্ধির জন্য তারা বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম মসলা ব্যবহার করে। আসলে এই মসলা গুলো আমাদের শরীরের জন্য সবথেকে বেশি ক্ষতিকারক। কিন্তু ক্ষতিকারক হলেও তারা তাদের ব্যবসার লাভের জন্য খাবারে এই ধরনের বিষ জাতীয় মসলা দিতে কখনো ভুল করে না। কিন্তু এসব খাবার যদি আমরা বেশি খাই তাহলে আমাদের শরীরে আস্তে আস্তে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধবে। আর এজন্য সবাইকে বাইরের খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।


আসলে এসব খাবার যদি আমরা প্রতিনিয়তই খেতে থাকি তাহলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ হারে কমতে থাকবে। আসলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন মারাত্মক রোগের ফলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়। এছাড়াও বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে এসব রাস্তার পাশের খাবারগুলোতে যে ধরনের মসলা ব্যবহার করা হয় তা কিন্তু ক্রমাগত মানুষের শরীরে গেলে ক্যান্সার নামক মারাত্মক রোগের সৃষ্টি হয়। কিন্তু এখানে আমি সব দোকানের কথা বলছি না। কেননা এখনো কিছু কিছু দোকান রয়েছে যেখানে তারা সঠিক উপায় অবলম্বন করে মানুষের জন্য ভালো মানের খাবার তৈরি করে। আসলে এসব লোকজন ব্যবসাটাকে কখনো বড় করে ধরেন না। তারা সবাই মানুষকে ভালোবাসে এবং মানুষকে ভালো খাবার খাওয়াতে ভালোবাসে।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!