দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা। পর্ব: ০৫

in hive-129948 •  2 months ago 

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে দৈনন্দিন জীবন সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।



image.png



লিংক


আসলে আজকে আবারো আপনাদের মাঝে আমি দৈনন্দিন জীবনের কিছু ঘটনা নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আসলে বর্তমান সময় আমরা সবাই জানি যে আমাদের ভারতবর্ষে ভোটের কার্যক্রম চলছে। আসলে এই ভোটের সময় সবাইকে সতর্ক করা হয় যাতে করে কোন ধরনের অন্যায় কোন কাজ না হয়। এছাড়াও আমরা দেখতে পাই যে বিভিন্ন রাজনৈতিক লোকেরা বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের মিটিং মিছিলের আয়োজন করছে। আসলে এই মিটিং মিছিলের ফলে হয়তোবা অনেক শিক্ষার্থীদের অনেক ধরনের অসুবিধা হচ্ছে। এরপরও তাদেরকে কষ্ট করে এই ভোটের কটা দিন পড়াশোনা করতে হচ্ছে। যাইহোক প্রতিদিনকার মত আমি কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। যেহেতু কাজ থেকে বাড়ি ফিরতে আমার একটু রাত হয়ে যায় তাই আমি রাতের বেলায় বেশি দ্রুত আর কখনো বাইক চালাই না। যেহেতু রাস্তার মাঝে মাঝে কোথাও খারাপ জায়গা থাকে। এজন্য আমাকে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করে বাইক চালাতে হয়।


এর আগে আমি অনেক জায়গাতে দেখেছি যে রাস্তার পাশে বিভিন্ন পুলিশেরা বিভিন্ন ধরনের তল্লাশি করে। অর্থাৎ তারা রাস্তার পাশে একটা ছোট বসার মত স্থান করে সেখানে বিভিন্ন গাড়ি আটকে সেসব গাড়ি সার্চ করে। কেননা এই ভোটের সময় যাতে কোন ধরনের অস্ত্র এবং কোন মাদক চালনা করতে না পারে। আসলে হয়তোবা এতদিনেও আমাকে একবারও কোন জায়গায় চেক করা হয়নি। আর ভোটের দিনগুলোতে আমি অবশ্যই সব সময় আমার সঙ্গে আমার গাড়ির সকল কাগজপত্র এবং আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স বহন করি। আসলে ভারতবর্ষে গাড়ি চালাতে গেলে সব সময় লাইসেন্স কাছে রাখতে হয়। যদিও এখন এইসব কাগজপত্র রাখার কোন প্রয়োজন হয় না। কারণ আমাদের গাড়ির সকল কাগজপত্র অনলাইনে আপডেট করা থাকে। এছাড়াও আমার গাড়ির নাম্বার দিয়ে যদি অনলাইনে সার্চ করা হয় তাহলে আমার গাড়ির সকল পেপার ওই অনলাইনে দেখা যায়।


তবুও আমি সব সময় কাগজগুলো আমার সঙ্গে রাখার চেষ্টা করি। যাইহোক কাজ সেরে আমি নিরিবিলি বাড়ির দিকে রওনা দিচ্ছিলাম। তো মাঝপথে আমাকে একদল পুলিশ আটকে আমার ব্যাক সার্চ করার জন্য আমাকে বললেন। আসলে এই সময় তেমন একটা বেশি তর্ক বিতর্ক না করাই ভালো। যাইহোক পুলিশরা পুলিশের ডিউটি পালন করছে এবং তাদের ডিউটিতে যাতে কোন ব্যাঘাত না ঘটে এজন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করব। তো যেহেতু আমার ব্যাগে ল্যাপটপ এবং অন্যান্য ইলেকট্রিক সামগ্রী ছিল। তাই আমি একজন অফিসারকে বললাম যে আমার ব্যাগটি একটা টেবিলের উপরে খোলা হোক। কেননা আমার ব্যাগের ভিতর ছোট ছোট অনেক ধরনের জিনিসপত্র রয়েছে। যাইহোক অফিসারটি আমার কথা শুনে উনটা যে জায়গাটিতে বসেন ওখানে একটা টেবিল ছিল ওখানে আমাকে নিয়ে গেলেন। এরপর আমি আমার ব্যাগটি রেখে সেই ব্যাগের ভিতর জিনিসপত্র বের করতে শুরু করলাম।


তো প্রথমে উনি আমার ব্যাগটি খোলার জন্য চেষ্টা করলেন। তখন আমি ওনাকে বললাম যে স্যার আমি আমার ব্যাগের ভিতরে যেসব জিনিসপত্র আছে সেসব জিনিসপত্র এই টেবিলে রাখি এবং পরবর্তীতে আপনি আমার ব্যাগটি সার্চ করুন। কেননা আমার ব্যাগের ভিতর অনেক মূল্যবান জিনিস থাকে। যাইহোক আমার কথা শুনে উনি বললেন ঠিক আছে আপনি আপনার ব্যাগ থেকে আপনার জিনিসপত্র গুলো বের করে নিন। যাইহোক আমি ওনার কথামতো আমার ব্যাগ থেকে জিনিসপত্র গুলো বের করে টেবিলে রাখলাম এবং উনি আমার ব্যাগটি খুব সতর্কতার সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় সার্চ করতে শুরু করে দিলেন। যাইহোক ব্যক্তি সার্চ করার পরে উনি আমার ব্যক্তিগত পেশার জিজ্ঞাসা করলে আমি আমার ব্যক্তিগত পেশা ওনাকে বললাম। এরপর পুনরায় আমি আমার জিনিসগুলো ব্যাগে ভরে আবার বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আসলে এর ফলে আমার একটু সময় নষ্ট হয়েছিল তবুও কিছু করার ছিল না।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!