আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে আমি আমার এমন এক ভালোবাসা নিয়ে কথা বলতে এসেছি। যেটা হয়তো আমার জেনারেশনের অনেক জনের ভালোবাসা। অর্থাৎ আর কেউ নয়। আমি আজকে কথা বলতে এসেছি আমার সবচেয়ে প্রিয় কবি কিংবা লেখককে নিয়ে।
আমি জীবনের প্রথম যে গল্পটি পড়েছিলাম। অর্থাৎ একেবারে ছোট বেলা থেকে একটু বড় হওয়ার পরে। গল্পের বইয়ের মানে বুঝতে পারার পরে, যে বইটা আমি পড়েছিলাম সেটা বোধহয় নাট বল্টু। এই বইটার লেখক ছিলেন স্যার হুমায়ূন আহমেদ। আর তখন থেকেই উনার লেখার প্রেমে পরে গিয়েছি আমি বলা চলে। আমার ছোটবেলাকার সবচেয়ে বেশি সময় কাটানোর মুহূর্ত হলো হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লেখা বই পড়ে। যেমন আমি অনেক বড় ফ্যান হিমু সমগ্র এবং মিশির আলি সমগ্র এর।
ছোটবেলায় মাঝেমধ্যে স্বপ্ন দেখতাম যে, আমি যদি হিমু হতাম। তাহলে কেমন হতো? আসলে ছোটবেলার ব্যাপার গুলোই অন্যরকম। অর্থাৎ সেই ছোটবেলায় মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও কখনো হিমু সমগ্র পরে রূপা হতে ইচ্ছা করেনি। সবসময় মনে হতো। যদি আমি হিমু হতাম। তবে খালি পায়ে পায়ে পুরো শহরটা ঘুরতাম। কোনো পিছুটান থাকতো না। কোনো চিন্তা থাকতো না। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো। নিজের প্রতি এতোটাই আত্মবিশ্বাস থাকতো যে, কেউ কোনো কিছু বললেও কখনো খারাপ লাগতো না। যারা আসলে হিমু সিরিজের বইগুলো পড়েছেন। তারা আমার কথাগুলো বুঝতে পারবেন। তাছাড়া অন্যরাই কথাগুলো বুঝতে পারবেন না। কারণ আমি লেখার বিষয়ে কিছু কথা বলেছি।
তাই আমার কাছে মনে হয় যে, আমি যদি আমার জীবনের প্রথম ভালোবাসার কথা বলি। অর্থাৎ বুঝ হওয়ার পরে কোনো কিছু খুব পছন্দের কিংবা কোনো ভালো লাগার কথা যদি বলি। তাহলে সেটা হচ্ছে স্যার হুমায়ূন আহমেদের বই। যার বই আমি এখনো ভালবাসি। আগেও ভালবাসতাম এবং ভবিষ্যতেও ভালোবাসবো। উনি সত্যিই একজন লেজেন্ড।