অস্বস্তি

in hive-129948 •  20 days ago 

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে অস্বস্তি সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


image.png



লিংক


এই বর্তমান সময়ে যে গরম পড়েছে তাতে আমরা একটু আরাম করে কোথাও থাকতে পারছিনা। কারণ চারদিকের গরমের পরিমাণটা এত বেশি যে কোথাও আমরা একটু শান্ত হয়ে বসে থাকতে পারছি না। যদিও যাদের বাড়িতে এয়ারকন্ডিশনার লাগানো রয়েছে তাদের বাড়িতে একটু শান্তি থাকলেও তারাও কিন্তু এর বাইরে বেরোতে পারছে না। কারণ ঠান্ডার ভিতর থেকে যখন আমরা গরমে বের হচ্ছি তখন আরো বেশি কষ্ট হচ্ছে। কারণ আমাদের প্রতিনিয়ত বাইরে বিভিন্ন কাজে বের হতে হয়। কারণ আমরা ঘরে বসে থাকলে আমাদের সংসার করবে না। বিশেষ করে এই গরমের ভিতরে শরীরটার জন্য সবসময় ক্লান্ত মনে হয়।


কারণ এই গরমের সময় আমরা তেমন কোনো এনার্জি পাই না কোন কাজ করার মত। আর কোথাও যদি বসে থাকি দু মিনিট তখন মনে হয় যে আমরা সেখানেই শুয়ে পড়বো। কারণ যেহেতু গরমের সময় রাতে আমাদের ঘুমটা তেমন ভালো হয় না। আর যদি রাতে ভালো না হয় তাহলে আমাদের সারাদিনটা ওই ঝিমাতে ঝিমাতে কেটে যায়। আসলে এভাবে যদি গরম দিনকে দিন বাড়তে শুরু করে তাহলে আমরা কি করে থাকবো। আসলে এসব কিছুর মূলে আমরা নিজেরাই দায়ী। যখন আমরা গাছ কাটি তখন আমাদের গরমের কথা মোটেও খেয়াল থাকে না। আর যখন অতিরিক্ত গরম লাগে আমাদের তখন আমাদের গাছ কাটার কথা মনে পড়ে যায়।


আসলে শুধুমাত্র আমাদের কথাই চিন্তা করছি। যারা রাস্তায় ভ্যান রিক্সা চালায় এবং বিভিন্ন ধরনের বোঝা বইছে তাদের কি অবস্থা একবার ভেবে দেখুন। আসলে এখন ছুটির দিনগুলোতে বাজারে গেলেও আমাদের অনেক বেশি কষ্ট হয়। কারণ এই গরমের মাঝে বাজার করতে গেলে একদিকে তেমন লোকের ভিড় তেমনি অন্য দিক থেকে জিনিসের দাম অনেক বেশি থাকে। আর যখন আমরা বাজার থেকে বাড়িতে আসি তখন মনে হয় যেন আমরা বাইরে থেকে স্নান করে এসেছি। আসলে এই গরমের মাঝে সবারই অসস্তি হচ্ছে প্রচুর। কারণ তাদের শরীরটাই গরমে অনেক বেশি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। আর এই গরমের সময় বিভিন্ন মানুষের হিট স্ট্রোক হচ্ছে। বিশেষ করে বয়স্ক লোকেরা এর ফলে মারা যাচ্ছে।


তাইতো এই গরমের সময় আমাদের অনেক পরিমাণে জল খেতে হবে। কারণ জলের কোন বিকল্প নাই। আর একটা জিনিস কি কখনো খেয়াল করে দেখেছেন যে এই অতিরিক্ত গরমে আমাদের কেমন ঘাম হচ্ছে না। আসলে এতে করে আমাদের শরীরে ডিহাইড্রেশন হচ্ছে। আর এই ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচার জন্য আমাদের অবশ্যই বেশি পরিমাণে জল খেতে হবে। কিন্তু আমরা আরেকটা ভুল করে ফেলছি যে এই গরমের সময় ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা জল বের করে খাচ্ছি। আসলে গরমের ভিতরে বেশি ঠান্ডা জল খাওয়া মোটেও ভালো নাই। এর ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সৃষ্টি হয়। তাইতো আমাদের সবকিছু বুঝে শুনে এই গরমের সময় চলতে হবে।

কারণ যদি আমরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গরমের সময় চলাচল করি এতে করে আমাদের বড় মারাত্মক ধরনের একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আসলে আমরা যত সম্ভব ঘরের ভিতর থাকার চেষ্টা করব। অতিরিক্ত গরমে বাইরে বেশি ঘোরাঘুরি করলে হয়তোবা আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। আর এজন্য সবাইকে এই গরমে সতর্ক থাকতে হবে এবং বেশি বেশি পরিমাণ জল খেতে হবে। কারণ জল না খেলে আমাদের যেকোনো সময় হার্টের রোগ হতে পারে। আর যত সম্ভব পরিবারের সবাইকে নিরাপদ থাকতে হবে। কারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হবে এই গরমে।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। এই গরমের অস্বস্তিতেও আমাদেরকে জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হয়। অনেক বেশি গরমের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজগুলো করতে হয়। বেশ চমৎকার একটি বাস্তবসম্মত পোস্ট শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি বাস্তবসম্মত পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

তীব্র গরমে কোথাও গিয়ে শান্তি নেই। যেখানে যাই না কেনো সব জায়গায় অস্বস্তি লাগে। তাই এসি অন করে যথাসম্ভব বাসায় থাকার চেষ্টা করে থাকি। তবে যারা দিনমজুর, তারা প্রখর রোদে ভীষণ কষ্ট করে বাহিরে কাজ করে থাকে। তাদেরকে দেখলে আসলেই মায়া লাগে। যাইহোক এই গরমে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে এবং এর কোনো বিকল্প নেই। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।