জানা অজানা মহাবিশ্ব

in hive-129948 •  3 days ago 

astronomy-1868560_1920.jpg

Source

বর্তমানে আমরা যেসব টেকনোলজি ব্যবহার করছি, মানে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত যেসব টেকনোলজি এটা কিন্তু অনেকটাই পিছিয়ে আছে। বরঞ্চ নাসা এবং স্পেস এক্স এর কাছে এমন কিছু টেকনোলজি রয়েছে যার কাছে আমাদের এই টেকনোলজি কিছুই না এবং তারা সেসব টেকনোলজি ব্যবহার করে মহাকাশের গভীরতায় গবেষনা করছে। এই গবেষণার ফলাফল আমরা প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের পত্রিকায় খবরে দেখতে পাই। কখনো কি আমরা চিন্তা করে দেখেছি এই মহাবিশ্ব কত বড়? এই মহাবিশ্বের রহস্য কত গভীরতম হতে পারে? এইসব বিষয় নিয়েই আজকে সংক্ষিপ্ত একটি পোস্ট লেখার চেষ্টা করছি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে, তবে চলুন শুরু করি।

আমাদের এই মহাবিশ্বে যে বস্তুর ভর যত বেশি তার আশেপাশে গ্রাভিটিও তত বেশি অর্থাৎ সেই বস্তুর আশেপাশে একটি অদৃশ্য শক্তি কাজ করে নিজেই শক্তি আশেপাশে বস্তুকে নিজের দিকে টেনে নেয়। এই বিষয়টিকে আমরা গ্রাভিটি বলে থাকি। এই গ্রাভিটির প্রভাব কিন্তু অনেক বড় একটি প্রভাব। যেমন সূর্য এবং বাকি সব গ্রহ সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। এই বিষয়টি আবার পুরোপুরি সঠিক নায় বরঞ্চ সূর্য এবং অন্যান্য গ্রহ একটি বেরি সেন্টারকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। আবার আমাদের এই পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ হলো চাঁদ। এই চাঁদ কিন্তু আবার আমাদের এই পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরছে অর্থাৎ পৃথিবীর যে গ্রাভিটি রয়েছে সেই কারণেই কিন্তু চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। সূর্যের যে গ্রাভিটি রয়েছে সেই গ্রাভিটির জন্যই কিন্তু পৃথিবী সহ অন্যান্য গ্রহ উপগ্রহ এবং সৌরজগতে থাকা সব কিছুই কিন্তু সূর্যের কাছে থাকা বেরিসেন্টার কে কেন্দ্র করে ঘুরছে।

আমরা যতই মনে করি আমাদের টেকনোলজি এখনো অনেক সীমিত। সেসব মানুষদের বলতে চাই এখনো আমাদেরকে টেকনোলজি কিন্তু অনেকটাই অ্যাডভান্স। হয়তো সেই বিষয়গুলো আমরা জানি না। পৃথিবীর বাইরে এমন কিছু পয়েন্ট রয়েছে যেসব পয়েন্টগুলোতে সূর্য এবং পৃথিবীর গ্রাভিটি একদম একে অপরকে সমান করে দিয়েছে অর্থাৎ সেখানে একটি ভারসাম্যহীনতা বজায় রাখে এবং সেখানে যদি কোন বস্তু যদি স্থাপন করা যায় তাহলে সেটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত একেবারে স্থির অবস্থায় থাকবে এবং সূর্যকে প্রদক্ষিণ করবে এবং পৃথিবীর সাথে একই সমান্তরালে ঘুরতে থাকবে। এই পয়েন্ট কে বলা হয় Lagrangian points.

এইতো বছরখানেক আগে জেমস স্পেস টেলিস্কোপকে এল টু পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে। এরকম পয়েন্ট আছে টোটাল পৃথিবীর কাছে চারটি। তার মধ্যে এল টুর পয়েন্ট সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। সেখানেই মূলত জেমস স্টেজ টেলিস্কোপ কে স্থাপন করা রয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের মহাবিশ্বের সূচনা লগ্নের যেসব গ্যালাক্সি এবং বিষয়বস্তু ছিল সেসব কিছুর গবেষণা করা। এছাড়াও মহাকাশের একটি নির্দিষ্ট স্থানে এই স্পেস টেলিসকোপটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের তথ্য এবং গবেষণা করে থাকে যা আমরা প্রায় বিভিন্ন ধরনের নিউজ এবং আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানতে পারি।

এটা ঠিক আমাদের কাছে এখনো অনেক ভালো ভালো টেকনোলজি রয়েছে কিন্তু এত ভালো টেকনোলজি থাকার শর্তেও আমরা কিন্তু মহাবিশ্বের অনেক কম সংখ্যক বিষয় আবিষ্কার করতে পেরেছি। সময়ের সাথে সাথে হয়তো এই আবিষ্কার এবং আমাদের জানার বিষয়গুলো আরো বেশি হবে। যাই হোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।

ABB.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!