আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে বর্ষায় রাস্তার বেহাল অবস্থা সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
আসলে এই বর্ষার সময় বিশেষ করে শহর অঞ্চলের মানুষগুলো যে কতটা কষ্টে থাকে তা একবার কেউ যদি শহরাঞ্চলে বৃষ্টির সময় ঘুরতে যায় তবে তারা বুঝতে পারবে। বিশেষ করে কিছুক্ষণ যদি একটানা বৃষ্টি হয় তাহলে রাস্তার উপরে হাঁটু সমান জল জমা হবে এবং সেই জল সরতে প্রায় তিন থেকে চার ঘন্টা সময় লাগে। আসলে এইসব রাস্তাঘাটে চলাচল করতে সেখানকার মানুষের যে কতটা বেশি কষ্ট হয় তা একমাত্র তারাই বুঝতে পারে। আসলে বর্ষাকালে যদি রাস্তা খারাপ থাকে তাহলে সেই রাস্তায় যে কোন ধরনের বড় দুর্যোগ ঘটে যেতে পারে। কেননা যদি বর্ষার সময় রাস্তার ভিতরে যদি কোন গর্ত থাকে তাহলে তা কিন্তু বর্ষাকালে বোঝা যায় না। কেননা সেইসব গর্তের সাথে সাথে পুরো রাস্তাটাই জলের নিচে ডুবে যায়। তাহলে একজন ব্যক্তি যদি ওই খারাপ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে তাহলে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্যোগ ঘটে যেতে পারে।
আসলে এই বর্ষাকালে সবথেকে বেশি রাস্তা খারাপ হয় এবং সরকার যদি এই বর্ষাকালে রাস্তার প্রতি বেশি নজর না দেয় তাহলে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ ঘটে যেতে পারে। আসলে আমরা একটা জিনিস সবসময় খেয়াল করে দেখেছি যে সারা বছর রাস্তা মোটামুটি ভালো থাকলেও বর্ষা সময়ে রাস্তার মাঝে মাঝে বিভিন্ন ধরনের বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও কেন যেন মনে হয় যে এই বর্ষাকালে সরকার বেশি রাস্তার দিকে নজর দেয় এবং রাস্তা ঠিকঠাক করার চেষ্টা করে। আসলে রাস্তা ঠিকঠাক করার সময় রাস্তার মাটি যখন তুলে ফেলা হয় তখন সেই রাস্তা আরো বেশি খারাপ হয়। আসলে এই খারাপ রাস্তা দিয়ে যখন বর্ষাকালে যাতায়াত করতে হয় তাহলে বোঝা যায় যে এই রাস্তাটা কতটা বেশি কষ্টকর একটা রাস্তা এবং এই রাস্তার ফলে কত মানুষ প্রতিদিন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়।
আসলে বর্ষাকালে রাস্তায় জল জমার অন্যতম একটা প্রধান কারণ হলো মানুষ যেখানে সেখানে নোংরা আবর্জনা ফেলার ফলে সেই নোংরা আবর্জনা গিয়ে রাস্তার পাশের যে ড্রেন থাকে সেই ড্রেন বন্ধ করে দেয়। আর এর ফলে সেই ড্রেন দিয়ে খুব দ্রুত জল সরে যেতে পারে না। আর এর ফলে বর্ষাকালে অল্প বৃষ্টি হলেই এইসব রাস্তাগুলো হাঁটু সমান জল দেখা যায় এবং মানুষের দুর্ভোগের কোন শেষ থাকে না। আসলে মানুষকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে কেননা মানুষ যদি সচেতন না হয় যেখানে সেখানে নোংরা আবর্জনা ফেলে তাহলে কিন্তু এই ধরনের জল জমাটের সৃষ্টি হবে এবং এই জমার জলে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু ঘুরে বেড়ায়। আসলে আমাদের তাই সবাইকে কঠোর হতে হবে যাতে করে যে কেউ যেখানে সেখানে নোংরা আবর্জনা ফেলতে না পারে। কেননা আমরা সচেতন হলে এই জল জমাট একটু হলেও কমে যাবে।
আসলে ঠিক সরকারকেও এই বর্ষাকালে রাস্তার দিকে একটু বেশি নজর দিতে হবে যাতে করে রাস্তার কোথাও কোন বড় গর্তের সৃষ্টি হলে সেই গর্তটি খুব দ্রুত সম্ভব বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। আসলে আমরা প্রতি বছর এই বর্ষাকালে বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগের কথা শুনতে পারি। কেননা এই খারাপ রাস্তা দিয়ে কোন যানবাহন বা কোন বাইক যখন চলাচল করে তখন যে কোন মুহূর্তে একটা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আসলে এজন্য আমাদের সব সময় বুঝে শুনে রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাতে হবে বর্ষাকালে। কেননা মাঝে মাঝে এত বড় রাস্তা সরকারের একার পক্ষে সব জায়গায় ঠিকঠাক ভাবে নজর দেওয়া মোটেও সম্ভব হয় না। আর এজন্য আমরা সবাই মিলে খুব সতর্কভাবে বর্ষাকালে যানবাহন চলাচল করব এবং যেখানে সেখানে আবর্জনা না ফেলে একটা নির্দিষ্ট স্থানে সবসময় আবর্জনা ফেলব।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।