দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা। পর্ব: ০৬

in hive-129948 •  3 months ago 

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


image.png



লিংক


আসলে আজ আমি আবারো হাজির হলাম দৈনন্দিন জীবনের কিছু ঘটনা নিয়ে। আসলে আমাদের জীবনে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। এর মধ্যে কিছু ঘটনা আমরা কখনো ভুলতে পারি না চেষ্টা করলেও। কেননা এই জিনিসগুলো মনে রাখার মত কিছু জিনিস থাকে তাই আমরা সারা জীবন এই জিনিসগুলো ভুলতে পারিনা। সারাদিন শেষে যখন আমি বাড়ির দিকে ফিরছিলাম অর্থাৎ তখন রাত প্রায় আটটা বাজে। যেহেতু সারাদিন কাজ করে বিকালের দিকে একটু ক্ষুধা পায়। যেহেতু বাড়ি যেতে আমার এক ঘন্টা সময় লাগে তাই ভাবলাম যে আজ আমি বাইরে থেকে কিছু একটা খাবার কিনে খাব। আসলে আমার অন্যান্য রেস্টুরেন্টের খাবার থেকে রাস্তার খাবার গুলো অনেক বেশি ভালো লাগে। আসলে রাস্তার খাবারগুলোর স্বাদ রেস্টুরেন্টের খাবার গুলোর স্বাদ অপেক্ষা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমার শুধু মনে হয় যে রেস্টুরেন্টে শুধু টাকায় বেশি নেয়। খাবারের কোয়ালিটি কখনো ভালো করে না।



তাই আর দেরি না করে খাবারের দোকানের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। আসলে আমি একটা দিদির কাছ থেকে একটু ক্রিসপি চিকেন খাই প্রায় প্রতিদিন। আসলে ওই দিদির দোকানে একদম কেএফসি স্টাইলের চিকেন তৈরি করা হয়। যদিও আমি কেএফসির চিকেন খেয়েছি। আসলে এই কেএফসির চিকেন অপেক্ষা আমার ওই দিদির কাছে চিকেনটা অনেক বেশি ভালো লাগে। আরেকটা ব্যাপার হল ওই দিদি খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে তার দোকানটি সাজিয়ে রাখে এবং কোন প্রকার ময়লা আবর্জনা যাতে না লাগে সেজন্য উনি খাবারগুলোকে একটা নির্দিষ্ট বক্সে সুন্দর করে আটকে রাখেন। এছাড়াও উনি খুব স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাবার পরিবেশন করেন। যাই হোক আমি সেই দিদির দোকানে পৌঁছে একটা খাবারের অর্ডার করলাম। আসলে আমার যেহেতু লেগ পিস পছন্দ তাই আমি একটা লেগ পিস অর্ডার দিলাম।


যেহেতু দিদি সবার সামনে ফ্রেশ ফ্রেশ চিকেন তৈরি করে দেয়। তাই অর্ডার দেওয়ার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। আসলে যেহেতু দোকানের সামনে মেইনর রোড তাই আমি একটু পাশে এসে দাঁড়ালাম। এছাড়াও আমার বাইকটিকে রাস্তার পাশে এসে একটা নিরাপদ জায়গায় দাঁড় করালাম। যাইহোক এরপর আমি এদিক-ওদিক বিভিন্ন জিনিস দেখতে লাগলাম। তখন পাশ থেকে একটা ছেলে হঠাৎ করে এসে আমার পিঠে স্পর্শ করল। প্রথমে আমি ভাবলাম যে হয়তোবা আমার কোন বন্ধু-বান্ধব হবে। আমি যখন ঘুরে ফিরলাম তখন আমার মেজাজটা একদম শূন্য থেকে ১০০ ডিগ্রিতে পৌঁছে গেল। আসলে আমার পিছনে যে ছেলেটি আমার পিঠে হাত দিয়েছিল সে একটা নেশা আসক্ত ছেলে। সে যখন আমার কাছে এসেছিল তখনই আমি কেমন একটা গন্ধ পাচ্ছিলাম। তখন ছেলেটি আমার কাছে কিছু টাকা ভিক্ষা চাইল।


আসলে এই টাকা ভিক্ষা চাওয়াতে আমার রাগ আরও দ্বিগুণ বেড়ে গেল। যাইহোক আমি তৎক্ষণাৎ আমার মুখের ভাষাটা খুব খারাপ করে ফেললাম। কেননা এক দিক থেকে মদ খেয়ে এসে আমার পিঠে হাত দিয়েছে এবং দ্বিতীয়তঃ সে আমার কাছে ভিক্ষা চাইছে। আসলে আমি সত্যিই খুব জোরে চিৎকার করে উঠলাম। মনে হচ্ছিল যেন কানের গোড়াটা গরম করে দিই ছেলেটার। যাইহোক আমি আর তেমন বেশি কিছু বললাম না। কারণ মাতাল অবস্থায় ছেলেটি রয়েছিল। আমি তখন ছেলেটিকে আমার সামনে থেকে দূরে সরে যেতে বললাম। আসলে আমার মেজাজ গরম দেখে ছেলেটি তৎক্ষণাৎ আমার কাছ থেকে সরে পড়ল। কেননা ছেলেটি বুঝতে পারছিল যে আর বেশিক্ষণ থাকলে এখানে বিপদ হতে পারে। যাইহোক ছেলেটি চলে যাওয়ার পর আমি আস্তে আস্তে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার চেষ্টা করলাম। আসলে এই ধরনের মাতালদের সংখ্যা দিন দিন যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে দেশ কখনো আর সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে না। এই ছিল আজকে আমার ঘটনা।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার জীবনের দৈনন্দিন ঘটনার আজকের পর্বটা পড়ে খুব ভালো লাগলো। তবে এখানে যে বললেন বাইরের খাবারগুলো রেস্টুরেন্ট এর খাবারের থেকে ভালো হয় আবার দামেও কম রাখে এটা আমি অনেক দিক থেকে মানি।তবে স্বাস্থ্যসম্মত হলেই সেটা ভালো হয়। তাছাড়া মাতাল লোকটি আপনাকে স্পর্শ করেছে আবার ভিক্ষা চাইছে এটা দেখে আমার কাছেও অবাক লাগলো। কারণ সে মাতাল অবস্থায় এসে ভিক্ষা চাইছে হয়তো আবারও নেশা করার জন্য। এদের থেকে সাবধান থাকা উচিত। কারণ কখন কোন বিপদ ঘটায় সেটাই হলো চিন্তার বিষয়।