আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে এমন একটা পোস্ট শেয়ার করতে এসেছি। যেটা আমাদের সমাজে এতো অহরহর ঘটছে। কিন্তু হয়তো আমাদের বেশিরভাগ সময় নজরে পরে না। কারণ ব্যাপারটা এতো গোপনীয় ভাবে গোপন রাখা হয় যে, এটা আমাদের চোখ পর্যন্ত আসলে আসেই না। তাই ভাবলাম যে যেহেতু আমার নজরে একটু হলেও এসেছে। তাই আমি ব্যাপারটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি।এতে করে হয়তো আপনারাও কিছু অজানা ব্যাপার জানতে পারবেন।
আমি একটা পরিবারকে দেখেছি যে, পরিবারে তাদের মা এর বেশ অনেকটা বয়স হয়েই তারপর ই তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন অর্থাৎ মৃত্যুবরণ করেছেন এবং বয়সের একেবারে শেষ ধাপে এসে তখন ওই সন্তানদের বাবা একেবারে সঙ্গী হারা হয়ে গিয়েছে। আসলে যখন সন্তান-সন্ততিরা বড় হয়ে যায়। তখন বাবা-মায়েরা সবচেয়ে একা হয়ে যায়। ঠিক তখন বাবা-মা তাদের পরস্পরের ভরসা হয়ে দাঁড়ায়। একটা সময়ের পথিক হয়ে দাঁড়ায়। কারণ যখন পুরো পৃথিবী ব্যস্ত হয়ে পরে।তখন তারা তাদের নিজেদের মধ্যে নিজেদেরকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে।
ঠিক তেমনটাই হয়েছিলো ওই লোকটির ক্ষেত্রে। অর্থাৎ বউ মারা যাওয়ার পরে খুব নিঃসঙ্গ হয়ে পরেছিলেন। তিনি তাই তিনি তার সন্তানদের কাছে বলেছিলেন যে তিনি আরেকটি বিয়ে করতে চান এবং ঠিক তার পরেই সন্তানদের কাছে তার বাবা হয়ে গেলেন পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ। কারণ সন্তানদের কথা হলো, বাবা যদি এই বয়সে বিয়ে করে। তাহলে তারা তাদের শ্বশুর বাড়িতে কি মুখ দেখাবে। তখন তার বাবা বুঝিয়ে বললেন যে, তিনি তার টাকায় বিয়ে করবেন কিংবা তার বউকে তিনি চালাবেন। সেক্ষেত্রে অন্যরা কেন কেউ কিছু বলবেন। তখন সন্তানেরা একেবারে পরিষ্কার বলে দিলো যে, যদি আরেকটা বিয়ে করতেই হয়। তবে যেনো তাদেরকে সম্পত্তি ভাগ করে দিয়ে তারপরে বিয়ে করে। তাহলে আপনি নিজেই চিন্তা করেন যে , ওই বাবা-মা তাহলে কেমন ছেলে মেয়ে বড় করেছে!
আসলে মানুষ একটা সময়ে এসে শুধু নিজের কথাই ভাবে। বাবা মার কথা ভুলে যাই। বাইরের সম্মানের কথা ভেবে নিজের বাবা-মার কথা ভুলে যাই। সম্মানকে প্রাধান্য দেয় বেশি কিন্তু বাবা-মার সুখের কথা তাদের মাথায় থাকে না। আসলে বাবার বিয়ের কথা শুনে সন্তানের এই স্বার্থপরতার মত পিছিয়ে যাওয়া মোটেই কোন সন্তানের উচিত না প্রতিটা সন্তানের উচিত তার বাবা-মার কিসে ভালো হবে সেই চিন্তা ভাবনা করা। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit