বন্ধু সহ আমাদের এলাকার একটি কমলা‌ বাগানে ঘোরাঘুরি

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে বন্ধু সহ আমাদের এলাকার একটি কমলা‌ বাগানে ঘোরাঘুরি করার অনুভূতি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ফল রয়েছে, তারমধ্যে কমলা অন্যতম। কমলা চিনে না এমন মানুষ বাংলাদেশ ও ভারত দু দেশের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাবে না।আর এই কমলা ফল টি সকলের নিকট একটি প্রিয় ফল।আর এই কমলা অতিথি আপ্যায়নের জন্য খুবই জনপ্রিয় একটি ফল। বিশেষ করে গ্ৰামের কোন মানুষ তাদের আত্মীয় স্বজনদের বাসায় বাসায় ঘুরতে গেলেই এই কমলা ফল সাথে নিয়ে যায়। যারা গ্ৰামে বসবাস করেন, তারা হয়তো এই বিষয়ে অবগত আছেন। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় প্রচুর পরিমাণে কমলা চাষ করা হয়। তবে আমাদের রংপুর জেলার মধ্যে তেমন একটা কমলা চাষ হয় না। তবে কিছু কিছু মানুষ বাড়ির আশেপাশে কয়েকটি কমলার গাছ লাগিয়ে কমলা চাষ করে থাকে। আমাদের রংপুর জেলার মাটি কমলা চাষের জন্য অনপযোগী। তবু ও অনেকেই কমলা চাষ করার চেষ্টা করে।

বেশ কিছুদিন ধরে শুনতে পারছিলাম, আমাদের এলাকার মধ্যে একটি বিশাল বড় কমলার বাগান রয়েছে।আর এই কমলার বাগানের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কমলা ধরেছে। আমার গ্ৰামের এক বন্ধু এই কমলা বাগানে ঘুরতে যাওয়ার জন্য আমাকে বেশ কয়েকবার বলছিল। কিন্তু প্রথম অবস্থায় আমার এই কমলা বাগানে ঘুরতে যাওয়ার তেমন একটা ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু কয়েক দিন পর শুনতে পারলাম, এই কমলা বাগানে নাকি বাহির থেকে অনেক ইউটিউবার ঘুরতে এসেছিলেন।এই কথা শুনার পর আমার এই কমলা বাগানে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা জাগে।

এরপর আমি একদিন আমার বন্ধু কে কল করলাম এই কমলা বাগানে ঘুরতে যাওয়ার জন্য। আমার বন্ধু যাওয়ার জন্য রাজি হয়ে যায়। এরপর আমরা দুজন যাওয়ার জন্য তারিখ ঠিক করলাম। আমরা মূলত গত বৃহস্পতিবার এই এই কমলা বাগানে ঘুরতে যাওয়ার জন্য ঠিক করেছিলাম। এরপর আমরা গত বৃহস্পতিবার সকাল বেলা দুজন একত্র হয়ে একটি অটোরিকশা ঠিক করে নিলাম। আমাদের বাসা থেকে এই কমলা বাগানের দুরুত্ব প্রায় এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। রিকশা ওয়ালা মামা আমাদের কে অল্প কিছু সময়ের মধ্যে কমলা বাগানের মধ্যে গিয়ে নেমে দেয়।

আমরা রিকশা থেকে নেমে কমলা বাগানের দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। রাস্তা থেকে কমলা বাগানের দুরুত্ব খুবই অল্প। দুই মিনিটের রাস্তা। আমরা দুই মিনিটের মধ্যেই কমলা বাগানের গেটের সামনে চলে আসলাম। এসে দেখতে পারলাম, গেটের সামনে একটি ছোট অফিস কক্ষ রয়েছে। আমরা অফিস কক্ষে প্রবেশ করে পারমিশন নিয়ে নিলাম কমলা বাগানে প্রবেশ করার জন্য। আসলে এতো বড় বাগানের মধ্যে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করা মোটেও ঠিক হবে না।তাই আমরা অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করেছিলাম বাগানের মধ্যে।

তাদের কাছে থেকে অনুমতি চাওয়ার পর তাঁরা আমাদের কে কমলা বাগানে প্রবেশ করার অনুমতি দিয়ে দেয়। অনুমতি দেয়ার পর আমরা কমলা বাগানে প্রবেশ করি। কমলা বাগানে প্রবেশ করার পর দেখতে পারলাম, প্রতিটি কমলা গাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কমলা ধরেছে।আর কমলা গুলো তেমন একটা বড় হয়নি। কমলা গুলো দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছিল, কিন্তু কমলা গুলো এখন ও অনেক ছোট।তাই চাইলে ও খাওয়া সম্ভব হবে না।

তবে কমলা গুলো একটু খানি পরিপক্ক হলে, আমি কিছু পরিমাণ কমলা কিনে নিয়ে খেতাম। কিন্তু এটা আমার সম্ভব হয়নি। তবে পরবর্তীতে গেলে আমি এই কমলা বাগান‌ থেকে কমলা কিনে নিয়ে আসার চেষ্টা করবো। এরপর আমি এবং আমার বন্ধু সহ কমলা বাগানের চারদিকে ঘোরাঘুরি করে দেখছিলাম। কমলা বাগানে ঘোরাঘুরি করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছিলো।আমি মাঝে মাঝে কমলার কচি পাতা গুলো দাতে দিয়ে চিবাইছিলাম, আসলে কমলার পাতা চিবিয়ে খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বেশ কিছুক্ষণ সময় আমরা কমলা বাগানের চারদিকে ঘোরাঘুরি করি। কমলা বাগানের চারদিকে ঘোরাঘুরি করতে এক পর্যায়ে আমাদের পা ব্যথা শুরু হয়ে যায়। এরপর আমরা দুজন কমলা বাগান থেকে বের হয়ে আসি। আমরা সেদিন কমলা বাগানের মধ্যে খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছি।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।