সিলেট ভ্রমণ: সাদা পাথরের পথে ( দশম পর্ব)

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে সিলেটের সাদা পাথর ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

আমি ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে সিলেট ভ্রমণের বেশ কয়েকটি পর্ব শেয়ার করেছি। আশা করছি আপনারা সকলেই আমার প্রতিটি পর্ব দেখেছেন।আর যারা এখন পর্যন্ত দেখেননি তারা অবশ্যই দেখার চেষ্টা করবেন। যাইহোক, আমরা যেহেতু নৌকায় করে সাদা পাথরের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমরা নৌকা ঘাটের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে গিয়েছিলাম নৌকার মাধ্যমে। নৌকার মধ্যে যাওয়ার সময় অনেক বেশি মজা করেছিলাম আমরা। আমরা নৌকায় করে নদীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে গিয়ে নৌকা থেকে নেমে পড়ি। নৌকা থেকে নেমে আমরা হেটে হেটে সাদা পাথরের দিকে যাচ্ছিলাম। আসলে নৌকা ঘাট থেকে সাদা পাথরের দুরুত্ব ছিল খুবই কম, প্রায় পাঁচশত মিটার হবে। যাইহোক, আমরা হেটে হেটে সাদা পাথরের মধ্যে গিয়েছিলাম।

নৌকা ঘাট থেকে সাদা পাথরে যাওয়ার পথে পুরো পথটি বালুচর ছিল।তাই আমাদের এই অল্প টুকু রাস্তা হেঁটে পার হতে অনেক টা কষ্ট হয়ে পড়ছিল। তবু ও আমরা সকলেই একত্রিত হয়ে গল্প করে হাঁটছিলাম।পথ টি অনেক বেশি কষ্টসাধ্য হলেও কয়েকজন এক সাথে হাঁটার জন্য তেমন একটা কষ্ট হয়নি। যাইহোক, আমরা অল্প কিছু সময়ের মধ্যে সাদা পাথরের মধ্যে চলে আসি। সাদা পাথরের মধ্যে এসে দেখতে পারলাম, সেখানে একপাশে বেশ কয়েকটি দোকান বসেছে।আর এই দোকান গুলোর মধ্যে সব কিছু ইন্ডিয়ান মালামাল। যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই জায়গার মধ্যে ঘুরতে আসে তারা কম বেশি সকলেই এই মালামাল গুলো কেনাকাটা করার চেষ্টা করে।

উপরে আপনারা যে পাহাড় গুলো দেখতে পারছেন, এগুলো সব আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের।তাই এখানকার প্রতিটি দোকান ওয়ালা আমাদের প্রতিবেশী দেশ থেকে মালামাল নিয়ে আসে বিক্রি করে থাকেন। আমরা বাংলাদেশ থেকে আমাদের প্রতিবেশী দেশের পর্ণ্য ক্রয় করতে পারি, এটা আসলেই আমাদের জন্য বড় একটি সুযোগ। যাইহোক, আমি বেশ কিছু চকলেট কিনেছিলাম, সব গুলো চকলেটের মূল্য একদম সিমীত ছিল। যাইহোক, এরপর আমরা চলে গেলাম সাদা পাথরের মধ্যে। সাদা পাথরের মধ্যে গিয়ে দেখলাম পারলাম, সেখানে প্রচুর পরিমাণে মানুষের ভীড়। আসলে এই জায়গার মধ্যে পুরো বছরে মানুষের ভীড় থাকে।

আমরা পাথরের সাথে খেলা করার জন্য পানির মধ্যে নেমে পড়লাম। অনেকেই অনেক ভাবে পাথর নিয়ে খেলা করছিল। আমরা যখন পানির মধ্যে নেমে পড়লাম তখন দেখতে পারলাম, প্রতিটি পাথর অনেক বেশি পিচ্ছিল। একদম সাবধানতা অবলম্বন করে পা ফেলতে হচ্ছিল। প্রথম অবস্থায় আমি বেশ কয়েকবার পানির মধ্যে পিছলে পড়ে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে আমি পানির মধ্যে একটু সাবধান ভাবে চলাফেরা করছিলাম। বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে সেখানে পাথর নিয়ে খেলা করছিল। আবার অনেকেই সুন্দর সুন্দর পাথর গুলো কুড়িয়ে কুড়িয়ে তাদের ব্যাগের মধ্যে ভরছিল বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আসলে এই সাদা পাথর নামক জায়গার প্রতিটি পাথর দেখতে অনেক বেশি সুন্দর। সেখানে প্রায় সব ধরনের পাথর দেখতে পাওয়া যায়।

আমি সকলের দেখে বেশ কয়েকটি সুন্দর সুন্দর পাথর কুড়াচ্ছিলাম পাথর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আসলে এটা সকলেরই একটি শখ। যারা আমাদের দেশের দুর দুরান্ত থেকে এই জায়গার মধ্যে ঘুরতে যান, তারা কম বেশি সকলেই বাসা থেকেই নিয়াত করে যায় সাদা পাথর নিয়ে আসার জন্য। আমিও বাসা থেকে ভাবছিলাম যে সাদা পাথর থেকে বেশ কয়েকটি পাথর নিয়ে আসবো। যাইহোক, আমি বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে কয়েকটা সুন্দর সুন্দর পাথর কুড়িয়ে কুড়িয়ে ব্যাগের মধ্যে ভরছিলাম। আসলে এখানকার প্রতিটি পাথর দেখতে অনেক বেশি সুন্দর।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।