লাইফস্টাইল পোস্ট: জরুরি প্রয়োজনে বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস রংপুরে একদিন

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে রংপুর বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে পাসপোর্ট নেয়ার গল্প শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

পুরুষ মানুষের জীবনে কোন সুখ শান্তি থাকে না, তাদের পুরো টা জীবন বিভিন্ন ধরনের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যায়। একজন পুরুষ মানুষ সর্বপ্রথম তার পরিবারের জন্য জীবন উৎসর্গ করে। মূলত একজন ছেলে মানুষ নিজের পরিবার কে ভালো রাখার জন্য সব ধরনের জীবন বাজি রেখে সংগ্রাম করে। আসলে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জীবন এতো বেশি সহজ হয়ে উঠে না। তাদের কে ছোট বেলা থেকেই কঠোর পরিশ্রম করে জীবন পরিচালনা করতে হয়। একজন পুরুষ কখনোই নিজের সুখ খুঁজে না, পুরুষেরা সব সময় নিজের পরিবার পরিজনদের কে সুখে শান্তিতে রাখার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে। আসলে পুরুষ মানুষ তার পরিবারের সুখেই সে সুখি।আর প্রতিটি পুরুষ মানুষের পুরো জীবন ধরে এই কঠোর পরিশ্রম লেগেই থাকে।

বেশ কিছুদিন আগে আমার বন্ধু বিদেশ পাড়ি দেওয়ার জন্য পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করে। তার পাসপোর্ট টি আবেদন করার কয়েক দিন পর তার আবেদন কৃত পাসপোর্ট টি তৈরি সম্পন্ন হয়ে যায়। এরপর তার ফোনে ম্যাসেজ চলে আসে পাসপোর্ট টি গ্ৰহণ করার জন্য।আর পাসপোর্ট গ্ৰহণ করার জন্য বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে যেতে হয়। এরপর আমরা একদিন ফ্রি সময়ে পাসপোর্ট নেয়ার জন্য রংপুর পাসপোর্ট অফিসে চলে আসি। আমাদের বাসা থেকে পাসপোর্ট অফিসের দুরুত্ব ছিল খুবই অল্প। হয়তো আট থেকে দশ কিলোমিটার হবে।আর যারা রংপুর বিভাগের কিন্তু অন্যান্য জেলার মধ্য থেকে আসে তাদের একটু খানি দুর হয় এই অফিস টি। যাইহোক, আমরা অল্প কিছু সময়ের মধ্যে রংপুর বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে চলে আসলাম।

আসলে এর আগে আমি কোনদিন এই পাসপোর্ট অফিসে আসিনি। সেদিন প্রথম গিয়েছিলাম আমার বন্ধুর সাথে। পাসপোর্ট অফিস টি দেখতে খুবই সুন্দর।আর পাসপোর্ট অফিসের ক্যাম্পাসের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ দিয়ে সাজানো। পরিবেশ একদম মনোরম। যাইহোক, আমরা পাসপোর্ট নেয়ার জন্য পাসপোর্ট অফিসের মধ্যে প্রবেশ করলাম। অফিসে প্রবেশ করে দেখতে পারলাম, অফিসের স্যার অন্য একটি কাজে ব্যস্ত রয়েছে।তাই আমাদের কে বাহিরে অপেক্ষা করতে বলেন। আমরা বাহিরে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সময় অপেক্ষা করছিলাম। পাসপোর্ট অফিসের বাহিরের পরিবেশ টি অনেক বেশি সুন্দর এবং সাজানো।

অল্প কিছু সময়ের মধ্যে আমাদের কে পাসপোর্ট নেয়ার জন্য ডাক দেন। আমরা চলে গেলাম পাসপোর্ট নেয়ার জন্য। এরপর তারা আবার পাসপোর্ট অফিসের মধ্যে বসতে বলেন, আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে অপেক্ষা করছিলাম পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য। তারা অনেক সময় ধরে আমার বন্ধুর পাসপোর্ট টি খোঁজাখুঁজি করছিল। আসলে একটি পাসপোর্ট বের করার জন্য অনেক গুলো পাসপোর্ট দেখে দেখে বের করতে হয়। বেশ কিছুক্ষণ সময় পরে আমার বন্ধুর পাসপোর্ট টি পেয়ে যায় এবং পাসপোর্ট টি নেয়ার জন্য আমাদের কে ডাক দেন। এরপর আমার বন্ধু পাসপোর্ট টি নেয়ার জন্য প্রথমে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রসেস টি সম্পন্ন করে। এরপর তাকে তার পাসপোর্ট বহি টি প্রদান করে।

পাসপোর্ট টি পাওয়ার পর আমার বন্ধু বেশ খুশি। আসলে দীর্ঘ দিন ধরে এই পাসপোর্ট টি তৈরি করার জন্য এইসব অফিসের মধ্যে ঘোরাঘুরি করছিল। অবশেষে সেদিন তার পাসপোর্ট বহি টি হাতে পেয়ে অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়। আসলে সে এই বছর ইতালি যাবেন কাজ করার জন্য।আমি আশা করছি সে বিদেশের মাটিতে গিয়ে সততার সাথে কাজ করার চেষ্টা করবে।আর সে যেন তার পরিবারের পাশে সর্বদা সুসম্পর্ক বজায় রাখে, আমি এমনটাই প্রত্যাশা করছি। সকলেই আমরা তার জন্য দোয়া করবো।আমি আশা করছি আর অল্প কিছু সময়ের মধ্যে ভিসা সহ সকল ধরনের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।