ভ্রমণ পোস্ট: রংপুর শিল্প ও বানিজ্য মেলা ঘুরতে যাওয়া

হ্যালো বন্ধুরা আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে রংপুর শিল্প ও বানিজ্য মেলা ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো। আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় শিল্প ও বানিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ঠিক অনুরুপ ভাবে আমাদের রংপুর জেলার মধ্যে এই শিল্প ও বানিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।আর এই মেলাটি রংপুর জেলার পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতিবছরেই এই মাঠে বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।যাদের বাসা রংপুর জেলার মধ্যে তারা হয়তো এই বিষয়ে অবগত আছেন। আমি বেশ কিছুদিন আগে এই মেলার মধ্যে বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমার সাথে আমার এক ভাই ছিল। আমরা দুজন মিলে মেলায় ঘোরাঘুরি করেছি। আজকে আমি মেলার কিছু সৌন্দর্য আপনাদের সাথে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

প্রথমে আমরা দুটি টিকেট কেটে নিলাম। কেননা আমরা দুজন ছিলাম।আর প্রতিটি বাণিজ্য মেলার মধ্যে টিকেট কেটেই প্রবেশ করতে হয়। টিকেট ব্যতীত প্রবেশ করা সম্ভব নয়।আর টিকেটের মূল্য খুব একটা বেশি নয়, বিশ টাকা মাত্র। এরপর আমরা টিকেট কেটে ভিতরে প্রবেশ করলাম এবং আমাদের টিকেট গুলো টিকেট বাক্সের মধ্যে ফেলে দিলাম। কেননা এই টিকেট গুলোর মাধ্যমে একটি রাফেল ড্র করা হবে।আর এই‌ রাফেল ড্র এর মধ্যে একটি আকর্ষণীয় পুরস্কার হলো একটি বাইক। আসলে বেশিরভাগ বাণিজ্য মেলায় এরকম লাফেল ড্র এর আয়োজন করা হয়।এর আগে ও বেশ কয়েকবার রংপুরের বাণিজ্য মেলায় রাফেল ড্র এর আয়োজন করা হয়েছিল।

এরপর আমরা মেলার মধ্যে প্রবেশ করলাম। সেখানে প্রবেশ করে দেখতে পারলাম বেশ অনেক গুলো দোকান বসেছে। প্রায় সব ধরনেরই দোকান বসেছিল। বিশেষ করে মেয়েদের কসমেটিকসের দোকান একটু বেশি ছিল। কেননা এই মেলা গুলোর মধ্যে কসমেটিকস একটু বেশি সেল হয়ে থাকে। এছাড়া ও‌ প্রায় সব ধরনের খাবারের দোকান ছিল। আমরা প্রথমে একটি ফুসকার দোকানে গিয়ে ফুসকা খেয়ে নিয়েছি।

এরপর আমি আমার বড় ভাই কে নিয়ে সোজা আচারের দোকানে চলে গেলাম। আসলে আচারের দোকান দেখলে আমি আর ঠিক থাকতে পারি না। এরপর আমরা বেশ কয়েকটি আচার মিশ্রণ করে নিয়ে খেয়ে নিলাম। আমি যে কোন মেলায় ঘুরতে গেলে সবার আগে আচার খেতে যাই। আচার আমার অনেক বেশি প্রিয়।

এরপর আমরা চলে গেলাম কসমেটিকস এর দোকানের মধ্যে। আমরা কসমেটিকস এর দোকানের সামনে গিয়ে মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস দেখছিলাম। আসলে আমার কাছে মেয়েদের কসমেটিকস গুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমরা দুজন বেশ কয়েকটি কসমেটিকস এর দোকানে গিয়ে কসমেটিকস দেখছিলাম। আসলে আমরা যে দুজন মেলার মধ্যে গিয়েছিলাম, আমাদের তেমন কোন গার্লফ্রেন্ড নাই, তাই তেমন কোন কসমেটিকস কেনা হয়নি।

এরপর আমরা মেলার মূল আকর্ষণ নৌকায় উঠার জন্য নৌকার নিকট চলে গেলাম এবং সেখানে গিয়ে দুটি টিকেট কেটে নৌকায় উঠে পড়লাম। টিকেট মূল্য ছিল পঞ্চাশ টাকা। আমাদের সাথে বেশ কয়েকটি মেয়ে ও উঠেছিল। নৌকায় উঠার বেশ কিছুক্ষণ এর মধ্যেই দোলন শুরু করে দিলো।নৌকার দোলনটি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। একদা এতো বেশি বৃদ্ধি পায় যে, আমার অনেক বেশি ভয় লাগতে শুরু করে।আর অন্যদিকে মেয়ে গুলো তো ভয়ে অনেক চিল্লাচিল্লি শুরু করছে। নৌকায় উঠে আমার বেশ ভালোই লাগছে।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।