লাইফস্টাইল: অনলাইন পেইজ থেকে জীবনের প্রথম পছন্দের স্মার্ট ওয়াচ কেনা

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে অনলাইন পেইজ থেকে জীবনের প্রথম পছন্দের স্মার্ট ওয়াচ কেনার অনুভূতি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

আমি অনলাইন থেকে কেনা কাটা করা তেমন একটা পছন্দ করি না। কেননা, অনলাইন থেকে যে কোন ধরনের পর্ণ্য ক্রয় করলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে, কিছু কিছু সময় অনলাইন থেকে কেনা কাটা করতে হয়।আর আমাদের উচিত অনলাইন থেকে কেনা কাটা করার সময় সব কিছু ঠিক ভাবে দেখা শুনে কেনা কাটা করা। কেননা, অনলাইনে অনেক সময় নষ্ট জিনিস গুলো আমাদের দিয়ে দেয়, অথবা দূরদূরান্ত থেকে কোন ধরনের নিয়ে আসার সময় নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে গ্যাজেট জাতীয় পণ্য গুলোর ক্ষেত্রে এমনটা হয়। তবে, কাপড় চোপড় এর ক্ষেত্রে এমনটা খুবই কম হয়।আমি সব সময় ফিজিক্যালি ভাবে মার্কেট থেকে কেনা কাটা করার চেষ্টা করি। কিন্তু কিছু কিছু সময় এমন কিছু জিনিস মার্কেটের মধ্যে পাওয়া যায় না, তখন আমি সেসব জিনিস গুলো অনলাইন থেকে কেনাকাটা করার চেষ্টা করি।

বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছিলাম একটি স্মার্ট ওয়াচ কিনবো।আর বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ ছেলে মেয়েদের হাতে স্মার্ট ওয়াচ দেখে আমার শখ হয়েছিল যে, একটি স্মার্ট ওয়াচ কিনবো।আর স্মার্ট ওয়াচ গুলো হাতের মধ্যে পরলে অনেক বেশি সুন্দর লাগে।আর স্মার্ট ওয়াচ হাতের একটি সৌন্দর্য। যাইহোক, আমি একদিন রংপুর সুপার মার্কেটে গিয়ে আমার পছন্দের t900 ultra 2 মডেলের স্মার্ট ওয়াচ টি খুঁজছিলাম, কিন্তু আমি কোন দোকানের মধ্যে এই স্মার্ট ওয়াচ টি খুজে পাইনি। এছাড়াও আমি রংপুর শহরের বেশ কয়েকটি ছোট বড় সকল ধরনের মার্কেটের মধ্যে খুঁজে ছিলাম। কিন্তু কোথাও আমি আমার পছন্দের স্মার্ট ওয়াচ টি পাইনি। পরবর্তীতে ভাবলাম, যেহেতু এই স্মার্ট ওয়াচ টি মার্কেটের মধ্যে নেই , এখন আমি এই স্মার্ট ওয়াচ টি অনলাইন থেকে কিনবো।

এই স্মার্ট ওয়াচ টি অনলাইন থেকে কেনার জন্য প্রথমে প্রথমে আমি ফেসবুকে প্রবেশ করলাম এবং বেশ কয়েকটি স্মার্ট ওয়াচের পেইজে ঘোরাঘুরি করে দেখলাম তাদের কাছে আমার পছন্দের স্মার্ট ওয়াচের বেশ অনেক গুলো কালেকশন রয়েছে। এরপর আমি তাদের রিভিউ গুলো দেখছিলাম। আসলে আমি অনলাইনে কোন কিছু কেনাকাটা করলে সর্বপ্রথম রিভিউ দেখার চেষ্টা করি। রিভিউ দেখে বুঝতে পারলাম, স্মার্ট ওয়াচ টি বেশ ভালোই রয়েছে। এরপর আমি তাদের আমি তাদের পেইজের ইনবক্সে মেসেজ করলাম। তারা অতি দ্রুত আমার মেসেজের রিপ্লাই দিলো। এরপর আমি আমার পছন্দের স্মার্ট ওয়াচ টি দেখালাম। এরপর তারা তাদের অনলাইন অর্ডারের জন্য একটি ফর্ম পূরণ করতে দিলো।আমি ফর্ম টি পূরণ করে জমা দিলাম। আমার অর্ডার নিশ্চিত হয়ে গেল।

দুই দিন পর আমার ফোনের মধ্যে কুরিয়ার সার্ভিস থেকে একটি মেসেজ আসে।আর সেই মেসেজের আমার স্মার্ট ওয়াচ টির পার্সেল ছিল। আমাকে বিকাল বেলা কুরিয়ার সার্ভিসের এক লোক এসে ফোন করে আমার পার্সেল টি রিসিভ করার জন্য বলে।আমি আমার বাসা বের হয়ে দেখতে পারলাম, সে আমার বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এরপর আমি আমার স্মার্ট ওয়াচ টি নিয়ে ভালো ভাবে দেখছিলাম কোথাও কোন ধরনের সমস্যা আছে কি না। পুরোপুরি ভাবে দেখার পর বুঝতে পারলাম, কোথাও কোন ধরনের সমস্যা নেই। এরপর আমি কুরিয়ার সার্ভিসের লোক কে স্মার্ট ওয়াচের পেমেন্ট করে দিলাম। আসলে আমি অর্ডার দেয়ার সময় তাদের কে‌ কোন টাকা পেমেন্ট করিনি।

যাইহোক, আমি স্মার্ট টি বাসায় নিয়ে আসলাম এবং সর্ব প্রথম চার্জিং টেস্ট করলাম।চার্জে লাগানোর পর দেখতে পারলাম চার্জিং ঠিক রয়েছে। এরপর আমি ঘড়ির বেল্ট গুলো লাগিয়ে নিলাম। এরপর আমি ঘড়ি টি আমার হাতে পরলাম।হাতে পরার পর দেখতে পারলাম বেশ ভালোই লাগছে। যদি ও আমার হাত অনেক বেশি চিকন তবুও বেশ ভালোই লাগছিলো। আসলে আমি অনলাইনে যেমনটি অর্ডার করেছিলাম, বাস্তবে ঠিক তেমনি পেয়েছি। কিছু কিছু সময় একটু এলোমেলো হয়ে যায়, কিন্তু এবার তেমন কোন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়নি। যাইহোক, আমার বেশ পছন্দ হয়েছে স্মার্ট ওয়াচ টি।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।