আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
সোমবার, ০৭ ই অক্টোবর ২০২৪ ইং
আপনারা হয়তো অনেকেই এই জয়না ফল কে চিনেন না। আসলে জয়না ফল একটি প্রাচীন ফল। বর্তমান সময়ে এই ফল টি প্রায় বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। এখন আর তেমন একটা এই জয়না ফল গাছ দেখতে পাওয়া যায় না।আর বর্তমান সময়ে যে কয়টি জয়না ফলের গাছ তার সব কয়টি সরকারের আয়ত্তে আছে বলেই এখন পর্যন্ত আমরা এই ফল খেতে পারছি।আর যে সব জয়না ফল গাছ সরকারের আয়ত্তের বাইরে সেই সব গাছ ইতোমধ্যে কর্তন করা হয়েছে। আমাদের রংপুর জেলার মধ্যে প্রাচীন কালে বেশ অনেক গুলো জয়না ফলের গাছ ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে এক থেকে দুটির বেশি জয়না ফল গাছ নেই।তার মধ্যে আমাদের এলাকার মধ্যেই একটি জয়না ফলের গাছ এখনো রয়েছে। এটা আসলেই আমাদের জন্য একটি ভাগ্যের ব্যাপার। আমরা প্রতি বছর এই জয়না ফল গাছ থেকে জয়না খেতে পারছি।
বর্তমান জেনারেশনের বেশিরভাগ মানুষ এই জয়না ফল চিনবে না। কেননা এই ফল বাংলাদেশের বেশ কিছু জায়গার মধ্যে রয়েছে।আর ফল বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না। তবে, আমাদের এলাকার মধ্যে এই ফলের বিশালাকার একটি গাছ রয়েছে। এই গাছটি নিয়ে আমাদের এলাকার মধ্যে বেশ কিছু কুসংস্কার রয়েছে।তবে, অতীতে এই গাছের মধ্যে অনেক কিছুই ঘটতো, এটা আমাদের এলাকার মানুষ মনে প্রাণে বিশ্বাস করে।আমি আমাদের এলাকার বেশ কিছু বৃদ্ধ বয়সের মানুষের কাছে থেকে এই গাছের অনেক রহস্য জানতে পেরেছিলাম। তবে, এই গাছ টির বয়স প্রায় তিনশত বছরের হবে বলে আমাদের এলাকার মানুষ ধারণা করে।আর গাছ টি দেখলেই বোঝা যায় গাছ টি অনেক পুরনো একটি গাছ।
আমরা ছোট বেলায় এই গাছের ফল পুরো সিজন ধরে খাইছিলাম। কিন্তু বর্তমান সময়ে আর এই ফল খাওয়ার সুযোগ হয়না। ছোট বেলায় স্কুলে যাওয়ার পথে এই ফল পেড়ে খাইছিলাম। আবার স্কুল থেকে আসার পথে এই ফল পেড়ে খেতে খেতে বাসায় আসছিলাম। জয়না ফল মূলত বর্ষাকালে হয়ে থাকে।পুরো বর্ষা সিজনে এই ফল গাছের মধ্যে পাওয়া যায়। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বাইরে থাকার জন্য এই ফল খাওয়া হয়নি। তবে, এবছর বর্ষা মৌসুমে আমি আমার গ্ৰামের বাড়িতেই ছিলাম।তাই আমার একদিন হঠাৎ করে এই জয়না ফল খাওয়ার কথা মনে পড়ে। এরপর আমি আমাদের গ্ৰামে গিয়ে আমাদের গ্ৰামের বেশ কয়েকজন ছোট ভাইদের কে ব্যবস্থা করলাম জয়না ফল খেতে যাওয়ার জন্য।
আমাদের গ্ৰামের পাশের গ্ৰামেই এই জয়না গাছ টি অবস্থিত। আমরা কয়েকজন ছেলে একত্রিত হয়ে জয়না গাছের নিকট হাঁটতে শুরু করলাম। অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই আমরা জয়না গাছের নিকটে পৌঁছে গেলাম।গিয়ে দেখতে পারলাম জয়না ফল প্রায় শেষের পথে। এরপর আমাদের গ্ৰামের বেশ কয়েকজন ছোট ভাই জয়না গাছের মধ্যে উঠে পড়লো। আসলে এই জয়না গাছের মধ্যে উঠা অনেক টা কষ্টকর। সকলেই এই জয়না গাছের মধ্যে উঠতে পারে না। গাছের নিচের দিকের ফল গুলো ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই তারা একদম গাছের উপরের দিকে উঠে পড়ে।আমি গাছের নিচের দিকে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তারা আমাকে সকলেই জয়না ফলের ডাল ভেঙ্গে ভেঙ্গে দিচ্ছিলেন, আমি নিচে বসে জয়না ফল খাচ্ছিলাম।
জয়না ফলের ভিতরের অংশ টি দেখতে একদম ডিমের কুসুমের মতোই।আর খেতে ও ডিমের কুসুমের মতোই লাগে।তাই এই ফল কে কিছু কিছু জায়গায় কুসুম ফল বলে। বেশ কিছুক্ষণ পরে তারা সকলেই জয়না গাছ থেকে নেমে পড়ে। এরপর আমরা সকলেই এক জায়গায় বসে জয়না খাচ্ছিলাম।আর যারা ইতোমধ্যে জয়না খেয়েছিলেন তারা হয়তো প্রত্যেকেই অবগত আছেন যে, জয়না ফল খাওয়ার মজা একটু অন্যরকম। আমাদের এলাকার সর্বস্তরের মানুষ এই ফলের সাথে পরিচিত।আর আমাদের এলাকার প্রতিটি মানুষ একবার হলেও এই ফল খেয়েছিলেন। আপনারা যারা এই জয়না ফল খেয়েছেন তারা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।আর যারা এখন পর্যন্ত এই জয়না ফল খেতে পারেননি তাদের আমন্ত্রণ রইল আমাদের বাসায়।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জয়না ফলের তো নাম আজকে প্রথম শুনলাম। আসলেই ভাই এটা আমি আজকে কখনো দেখিনি। তবে নতুন ফলের সঙ্গে পরিচিত হয়ে অনেক ভালো লাগছে। আপনার অভিজ্ঞতাটা দারুন ছিল ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর ভাবে আপনার পোস্ট আমাদের মাঝে সাজিয়ে নিয়েছে লেখার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit