আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
শুক্রবার, ২৬ ই জুলাই ২০২৪ ইং
{Source}(https://unsplash.com/photos/internet-led-signage-beside-building-near-buildings-2m71l9fA6mg)
আপনারা হয়তো সকলেই জানেন, বাংলাদেশের মধ্যে সাময়িক অসুবিধার জন্য ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।আর এই অসুবিধার কারণে হয়তো অনেকেই ইতোমধ্যে অনেক অনেক টাকা লসের মধ্যে সম্মুখীন হয়েছেন। বিশেষ করে যারা ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে আসক্ত তারা হয়তো একটু বেশি লসের মধ্যে রয়েছে।আর যারা সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তারা হয়তো তেমন একটা সমস্যার সম্মুখীন হননি। তবে, যারা ইন্টারনেটের মধ্যে অধিক হারে আসক্ত তাদের হয়তো এই কয়েক দিন একটু কষ্টের মধ্যে কেটেছে। কেননা হঠাৎ করে এতো দিন অফলাইনে থাকা অনেক টা কষ্টকর, এটি আমি নিজেই হারে হারে টের পেয়েছি। আমার জীবনের প্রথম এমন দীর্ঘ দিন ইন্টারনেট থেকে দুরে থাকতে হয়েছে। এটা হয়তো আমার এবং আপনার মতো অনেক মানুষের সাথেই ঘটেছে।
আমি ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করা শুরু করি।আর তখন থেকেই আমার ইন্টারনেট ব্যবহার চলছে প্রতিনিয়ত। তবে আমি এই কয়েক বছরের মধ্যে হয়তো হাতে গোনা কিছু সময় বাদে আমি প্রায় সব সময় ইন্টারনেটের মধ্যে আসক্ত ছিলাম। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সাথে যুক্ত হওয়ার আমি বিভিন্ন ধরনের সোসাল মিডিয়ার মধ্যে আসক্ত ছিলাম। বিশেষ করে ফেসবুক এবং ইউটিউব এর মধ্যে আমার আসক্তি ছিল একটু বেশি।আমি ফ্রি সময় পেলেই ফেসবুক এবং ইউটিউব এর মধ্যে স্কলিং করে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট এবং ভিডিও ক্লিপ দেখেছিলাম। এছাড়াও মাঝে মধ্যে কোনো ধরনের কাজের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ ও ব্যবহার করেছিলাম। ঠিক এভাবেই চলছিল আমার ইন্টারনেট ব্যবহার করার দিন গুলো। তবে, আমার অনলাইন গেমস গুলোর মধ্যে তেমন একটা আসক্ত ছিল না।আমি সব সময় অনলাইন গেমস গুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছিলাম।
তবে, হঠাৎ করে ইন্টারনেট হারিয়ে যাওয়ার ফলে আমার কাছে অনেক টা অস্থিরতা অনুভব হয়েছিল।আমি এই দিন গুলোর মধ্যে গুলোর মধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আসলে এই দিন গুলোর মধ্যে সময় কাটাতে অনেক বেশি কষ্ট হয়ে পড়ছিল। তবে, আপনাদের কাছে এই দিন গুলো কেমন কেটেছে তা জানিনা। তবে, আমার কাছে এই দিন গুলো একটু বেশি কষ্ট দিয়েছিল। যখন আমি ফ্রি সময়ে ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের কাজ কিংবা ঘাঁটাঘাঁটি করছিলাম, কিন্তু ইন্টারনেট বিহীন এই সময়ে আর সেটি সম্ভব হয়নি। আসলে একটি স্মার্টফোন ইন্টারনেট ছাড়া একদম অচল।আমি মনে করি একটি স্মার্টফোনের প্রাণ হচ্ছে ইন্টারনেট। শুধুমাত্র ইন্টারনেটের মাধ্যমে একটি স্মার্টফোন জীবিত থাকতে পারে।
দীর্ঘ সময়ে ইন্টারনেটের একদম বাহিরের জগতে থেকে শুধু একটি মাত্র অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারছি, আর সেটি হলো বর্তমান সময়ে প্রতিটি মানুষ ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল।আর এই ইন্টারনেট বিহীন প্রতিটি মানুষ একদম অচল। বিশেষ করে যারা শহরের মধ্যে বসবাস করে থাকেন তাদের হয়তো একটু বেশি কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। কেননা এই কয়েকদিনে তাদের বাসা থেকে বের হওয়ার তেমন একটা সুযোগ ছিল না।আর তাদের কে সব সময় ঘরের মধ্যে বন্দি হয়ে থাকতে হয়েছিল। তবে, এই দিক দিয়ে গ্ৰামের মানুষের তেমন একটা কষ্ট বোধ হয়নি।গ্ৰামের মানুষেরা ইন্টারনেটে বিহীন এই সময়ে বিভিন্ন ধরনের খেলা ধুলার মধ্যে মগ্ন ছিল। বিশেষ করে ক্রিকেট এবং ফুটবল খেলার মধ্যে গ্ৰামের প্রায় সকলেই যুক্ত ছিল।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ইন্টারনেট বিহীন এই কয়েকটা দিন সবারই একটু অন্যরকম ছিল। তবে আমার ক্ষেত্রে আমি সময়টাকে বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিলাম। অতটাও খারাপ ভাবে কাটেনি দিনগুলো। তবে কিছুটা সময় বিরক্ত লাগতো ইন্টারনেট ছাড়া। যাই হোক আপনার ইন্টারনেট বিহীন দিনগুলোর অনুভূতি জানতে পেরে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে আমরা বেশ ভোগান্তির শিকার হয়েছি এই কয়টা দিন। আরো কষ্ট লেগেছে আমরা কাজ করতে পারি নাই তাই। তবে বর্তমান পুনরায় সবাই কাজে ফিরতে পেরেছি আশা করব আর এমন সমস্যার সম্মুখীন হবো না। আবারো সবাইকে কাজ করতে দেখে অনেক অনেক ভালো লাগছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলছেন আমরা তো সব সময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্ত থাকতাম। সময় গুলো অনেক বেশি ভালো যেত। হঠাৎ করে নেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণেই খুব খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায় সকলের। অবশেষে যখন নেট ফিরে পেলাম বেশ ভালই লাগলো। একটি সপ্তাহ ইন্টারনেট থেকে বিরতি থেকে বুঝতে পেরেছে আসলে জীবনটা কত কঠিন ছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit