অবশেষে একটু স্বস্তির দেখা

in hive-129948 •  6 months ago 

আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
সোমবার, ৬ ই মে ২০২৪ ইং

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে দীর্ঘ দিন পর ঠান্ডা আবহাওয়া ও বাতাস উপভোগ করার অনুভুতি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।


RIYAN_20240505_180335_🌈Sky Blue by Expert Mistry-2.jpg

দীর্ঘ তিন সপ্তাহ ধরে এতো পরিমাণে গরম পড়েছিল, তাতে মানুষের জন জীবন একদম অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল।এ বছরের গরম প্রতিবারের থেকে একটু বেশি। শুধু একটু বেশি বললে ভুল হবে, একদম রেকর্ড গড়ার মতো গরম পড়েছিল এবছর। এবছর ঢাকার রাস্তা ঘাটের মধ্যে দেখা গিয়েছে গরমের তাপের কারণে গাড়ির মাধ্যমে ছিটানো হয়েছে পানি।ঢাকা শহর ছাড়া ও বাকি আরো বেশ কয়েকটি শহরের মধ্যে এই উদ্যোগ টি গ্ৰহণ করা হয়েছিল।এর মাধ্যমে রাস্তা ঘাটের মধ্যে চলাচল করা আরোহী গন একটু স্বস্তি বোধ করেছেন। অন্যান্য বছর রাস্তা ঘাটের মধ্যে এরকম পদ্ধতি অবলম্বন করে পানি দেয়া হয়নি। এটা থেকেই বোঝা যাচ্ছে এবছর কী পরিমাণ গরম পড়েছিল। আমরা নিউজ পেপারের মধ্যে দেখতে পারছিলাম, এই প্রচন্ড গরমের কারণে বেশ কয়েকজন মানুষ মারা গিয়েছে। এছাড়া ও অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছিল।

RIYAN_20240505_180348_🌈Sky Blue by Expert Mistry-2.jpg

অবশেষে সৃষ্টি কর্তা আমাদের দিকে খেয়াল করে গোটা বাংলাদেশের মানুষদের কে একদম শীতল করে দিলেন। দীর্ঘ দিন পর এরকম ঠান্ডা বাতাস ও ঠান্ডা আবহাওয়া পেয়ে আমরা এখন অনেকটাই খুশি। বেশ কয়েকদিন আগে এরকম দিনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রোদ উদিত হতো। কিন্তু দুইদিন ধরে আর তেমন কোন রোদ নেই। শুধু চারদিকে ঠান্ডা বাতাস বয়ছে। বাংলাদেশের জমিন টা কে একদম শীতল করে দিয়েছে। সৃষ্টি কর্তা চাইলে সব কিছু করে দিতে পারে। বেশ কয়েকদিন আগে আমরা প্রচন্ড গরমের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু আজ আমরা ঠান্ডা আবহাওয়া ও বাতাস উপভোগ করতে পারছি। আমরা এই দুই দিনের ঠান্ডা আবহাওয়া বাতাস উপভোগ করতে পেরে, প্রচন্ড গরমের কথা একদম ভুলে গিয়েছি।

RIYAN_20240505_180707_🌈Sky Blue by Expert Mistry-2.jpg

RIYAN_20240505_180703_🌈Sky Blue by Expert Mistry-2.jpg

দীর্ঘ দিন থেকে গরমের কারণে বাড়ির ভেতর থেকে বাহিরে বের হওয়া হয়নি। তবে গতকাল বিকাল বেলা একটু বাহিরে বের হয়েছিলাম। তখন দেখলাম আবহাওয়া অনেক বেশি সুন্দর এবং ঠান্ডা। তখন ভাবলাম এই সুন্দর আবহাওয়া উপভোগ করার জন্য মাঠের মধ্যে চলে যাবো। এরপর আমি আসরের নামাজ শেষে চলে গেলাম আমাদের সেই তেকানির মাঠে। সেখানে গিয়ে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছিলো। চারদিকে দিকে থেকে অনেক মিষ্টি বাতাস এসে আমার শরীর কে ঠান্ডা করে দিচ্ছিলো। এরকম মনোরম পরিবেশ উপভোগ করা টা ভাগ্যের ব্যাপার। আসলে যারা গ্ৰামের মধ্যে বসবাস করেন শুধু তাঁরাই এরকম সুন্দর সুন্দর আবহাওয়া উপভোগ করতে পারেন।আর যারা শহরের মধ্যে বসবাস করে তা এরকম সুন্দর সুন্দর আবহাওয়া উপভোগ করতে পারেন না। আসলে সবুজ শ্যামল প্রকৃতির মাঝে সময় অতিক্রম করতে বেশ ভালোই লাগে। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে সবুজ প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে।

RIYAN_20240505_180734_🌈Sky Blue by Expert Mistry-2.jpg

আমি মাঠের মধ্যে বেশ কিছু সময় ঘোরাঘুরি করলাম। বিকাল বেলা মাঠের মধ্যে তেমন একটা মানুষ ছিল না। তবে বেশ কয়েকজন মানুষ ছিল।তারা এই ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে মাঠের মধ্যে কাজ করছে। তাদের কাজ করা দেখতে আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে। আসলে প্রচন্ড গরমের মধ্যে কৃষকদের মাঠের মধ্যে কাজ করা অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে পড়ে। কিন্তু এরকম ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে কৃষকরা কাজ করতে অনেক বেশি সুবিধা পায়। তবে কৃষকেরা রোদ গরম কে উপেক্ষা করেই মাঠের মধ্যে কাজ করে।

RIYAN_20240505_180442_🌈Sky Blue by Expert Mistry-2.jpg

RIYAN_20240505_180348_🌈Sky Blue by Expert Mistry-2.jpg

আমাদের মাঠের মধ্যে একটি বিশাল বড় বট গাছ রয়েছে। এই বট গাছ টি অনেক পুরনো একটি বট গাছ। আমি মাঠের মধ্যে ঘুরতে গেলে এই বট গাছের নিচে বসে থাকি। কেননা এই বট গাছের নিচে বসে থাকলে অনেক বেশি ভালো লাগে। গতকাল মাঠের মধ্যে ঘুরতে গিয়ে এই বট গাছের নিচে বেশ কিছু সময় বসে ছিলাম।এই বটগাছের নিচে অনেক ঠান্ডা।যদি কবি হতে পারতাম, তাহলে এই বটগাছের নিচে বসে কবিতা লিখতাম। বাতাসের মধ্যে এই বট গাছের পাতা গুলো দোল দিচ্ছে।আর বাতাসের মধ্যে বট গাছের পাতা গুলো দোল খাওয়া দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। আপনারা চাইলে এই বট গাছের নিচে ঘুরতে আসতে পারেন।এই বট গাছ টি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়ন এর তেকানির মাঠে অবস্থিত।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

DeviceRedmi 10C
Camera48 MP
CountyBangladesh
LocationRangpur, Bangladesh

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6HzJaoPE9n3kyXHpVFScAadwSCVJpY84M3wWWzLLzELtQK2rSJtUL9pTj98dwsm1MP47up86HvqkxNUfovt7kXVd7M4Hk9jft.jpeg

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZ6f4GKSwLn3BBFmPFifbbr21AhPTJ7XiTPJGbzxXNzpL3AeDnWebvp5DxFE241B8HGEVAqqCDY5m5Sn.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

বর্তমান সময়ের যে গরম পড়েছে এই গরমে রোদের মধ্যে মাঠে কাজ করা আসলেই বেশ কষ্টকর। এজন্যই তো লোকজন বিকালের ঠান্ডা আবহাওয়া কাজ করছিল। তাছাড়া ক্ষেতের মাঝে এরকম একটি বট গাছ থাকায় সকলের জন্য বেশ উপকার হয়েছে। একটু বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা পাওয়া যায়। আপনিও কিন্তু এই বট গাছের নিচে বসে কবিতা লেখার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আশা করি পেরে যাবেন। ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মুহূর্ত দেখে।

আসলে এই বট গাছ টি আমাদের গ্ৰামের মানুষ দের জন্য অনেক উপকারী। অনেকে কাজ করা শেষে হাঁপিয়ে গেলে এই বট গাছের নিচে বসে একটু বিশ্রাম নিতে পারে।

আসলে ভাই আমাদের সকলেই প্রত্যাশা করছি যে সারা দেশে বৃষ্টি হোক, দক্ষিণা বাতাসে গাছের ডালপালাগুলো নাড়িয়ে দিক, সর্বোপরি আবহাওয়া ঠান্ডা হয়ে যাক। যাহোক আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমি আশা করি আমাদের এলাকায়ও খুব দ্রুত এরকম আল্লাহর রহমত নাযিল হবে।

আমাদের এলাকায় ইতোমধ্যে প্রচুর পরিমাণে বাতাস বয়ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে আশা করছি খুবই তাড়াতাড়ি বৃষ্টি নেমে আসবে।

হ্যাঁ ভাই প্রচণ্ড গরমের পর আবহাওয়া কিছুটা চেঞ্জ হয়েছে। আর এই মুহূর্তে বাইরের পরিবেশে ঘুরতে যেতে বেশ ভালো লাগে। ঠিক তেমনি প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে আপনি ফটোগ্রাফি ধারণ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর ব্লগ দেখে।

আসলে দুঃখের পর সুখ আসে।ঠিক তেমনি ভাবে প্রচন্ড গরমের পর এখন প্রশান্তির আবহাওয়া আমরা উপভোগ করতে পারছি।

তা ঠিক বলেছেন এই বছরে যে পরিমাণ গরম পড়েছে এই গরম আসলে সহ্য করা কঠিন । এই কারণেই এই উদ্যোগটা গ্রহণ করা হচ্ছে । ঢাকা শহরের শুধু রাস্তায় পানি দেওয়া হয়নি বড় বড় বিল্ডিং গুলোতেও বাইরে পানির ব্যবস্থা রেখেছে যাতে পথচারীরা চলাচল করতে গেলে একটু পানি পান করতে পারে । এই উদ্যোগটা আসলেই অনেক ভালো লেগেছে । দুদিনের বৃষ্টিতে আসলেই দেশটাকে একেবারে শান্ত করে দিয়ে গিয়েছে ।গ্রামের মানুষ তো সুন্দর সুন্দর প্রকৃতি উপভোগ করবেই । গ্রামের প্রকৃতির সাথে কি আর শহরের প্রকৃতির মেলানো সম্ভব । ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে ।

প্রচন্ড গরমের মধ্যে রাস্তা ঘাটের মধ্যে পানি ছিটানোর উদ্যোগ টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এতে করে রাস্তার আরোহীগন একটু শান্তিতে হাটা চলা করতে পেরেছে।

জি ভাই দুই এক দিন একটু কম পরম পরছে। তবে গত কাল রাতে বেশ ভালোই গরম ফিল হচ্ছিলো। একটু ঠান্ডা আবহাওয়া দেখে আপনি মাঠে ঘুরতে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। মাঠটা বেশ সুন্দর এবং সবুজ আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো হয়েছে। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আমাদের এখানে কিন্তু এখনো বৃষ্টি হয়নি ভাইয়া। আমরাও চেয়ে রয়েছি কবে বৃষ্টি হয়। খুবই ভালো লাগলো আপনাদের ওখানকার আবহাওয়া চেঞ্জ হয়েছে জেনে। তবে আজ সকাল থেকে আমাদের এখানে ভালই বাতাস হচ্ছে।