গ্ৰামীন‌ রেসিপি: মজাদার কাঁঠাল বীজের ভর্তা রেসিপি

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে কাঁঠালের বীজের ভর্তা রেসিপির নিয়ম কানুন শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

কাঁঠালের বীজের ভর্তার সাথে হয়তো অনেকেই এখন পরিচিত নন। তবে যারা গ্ৰাম এলাকায় বসবাস করে থাকেন, তারা হয়তো এই কাঁঠালের বীজের ভর্তা রেসিপির সাথে পরিচিত।গ্ৰামের প্রতিটি মানুষ এই কাঁঠালের বীজের ভর্তা রেসিপি খেয়েছেন। তবে কাঁঠালের বীজের ভর্তার সাথে পান্থা ভাত খেতে অনেক মজা লাগে, যারা কাঁঠালের বীজের ভর্তা দিয়ে পান্থা ভাত খেয়েছিলেন, তারা হয়তো এই বিষয়ে অবগত আছেন।আর যারা এখনো খেয়ে দেখেননি, তারা চাইলে খেয়ে দেখতে পারেন। কাঁঠালের বীজের ভর্তা রেসিপি টি তৈরি করা একদমই সহজ। তবে কাঠাল ভর্তা রেসিপি এবং আলু ভর্তা রেসিপি তৈরি করার নিয়ম কানুনে কিছুটা মিল রয়েছে। তবে আমার কাছে কাঠাল বীজের ভর্তা রেসিপি টি তৈরি করা কিছু টা সহজলভ্য মনে হয়। তবে, অল্প সময়ের মধ্যে এই রেসিপি টি তৈরি করা যায়। আমি আজকে আপনাদের মাঝে কাঠাল ভর্তা রেসিপি তৈরি করার প্রতিটি নিয়ণ তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

প্রয়োজনীয় উপকরণ

• কাঠাল বীজ
• মরিচ
• রসুন
• পেঁয়াজ

কার্যপ্রণালী

ধাপ-১

প্রথমে আমরা কিছু পরিমাণ কাঁঠালের বীজ একটি কড়াইয়ে নিয়ে নিলাম। আমাদের কে প্রথমে কাঁঠালের বীজ গুলো ভালো ভাবে ভেঁজে নিতে হবে।

ধাপ-২

এরপর বেশ কিছুক্ষণ এর মধ্যে কাঁঠালের বীজ গুলো ভাজি করা সম্পন্ন হয়ে যায়। এরপর আমরা কাঁঠালের বীজ গুলো অন্য আরেকটি পাত্রের মধ্যে ঢেলে নিলাম।

ধাপ-৩

এখন আমরা আরেকটি পাত্রের মধ্যে পরিমাণ মতো কিছু মরিচ, পেঁয়াজ এবং রসুন নিয়ে নিলাম। এখন আমরা মরিচ এবং রসুন গুলো হালকা করে ভেজে নিবো।

ধাপ -৪

এরপর আমরা একটি কড়াইয়ের মধ্যে পরিমাণ মতো তেল ঢেলে নিলাম এবং বেশ কিছু সময় ধরে তেল গুলো একটু গরম করে নিলাম। এরপর আমরা গরম তেলের মধ্যে রসুন এবং মরিচ গুলো ঢেলে নিলাম এবং বেশ কিছু সময় ধরে ভেজে নিলাম।

ধাপ -৫

এখন আমরা ভাজি করা কাঠাল বীজের খোসা গুড়ো ছিলিয়ে নিলাম। কেননা খোসা সহ ভর্তা করলে তেমন একটা মজাদার হবে না, তবে খোসা সহ ভর্তা তৈরি করা যায়, সেটি তেমন একটা মজাদার হয় না।

ধাপ-৬

এরপর আমরা কাঠাল বীজের খোসা গুড়ো ছিলিয়ে ব্যালেন্ডার মেশিনের মাধ্যমে ব্যালেন্ড করে নিলাম।ব্যালেন্ড করা ভর্তা গুলোর মধ্যে কিছু পরিমাণ পেঁয়াজ দিয়ে মেখে নিলাম।

ধাপ-৭

এখন আমাদের কাঠাল বীজের ভর্তা রেসিপি পুরোপুরি ভাবে তৈরি হয়ে গেল। এখন আমরা চাইলে ভাতের সাথে মিশিয়ে খেতে পারবো। তবে আমার কাছে এই কাঠাল বীজের ভর্তা রেসিপি টি কোন কিছু মাধ্যম ছাড়াই শুধু ভর্তা টি খেতে বেশ ভালো লাগে।

আজকে আমার তৈরি রেসিপি টি কেমন হয়েছে তা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আপনারা।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।