আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বুধবার, ১২ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং
কুতুব বাবা বাংলাদেশের রংপুর জেলার মধ্যে একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি প্রায় কয়েকশো বছর আগে মৃত্যু বরণ করেন। কুতুব বাবা ছিলেন একজন ধর্ম প্রাণ মানুষ।সে আমাদের রংপুর জেলার প্রতিটি ধর্মের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। কুতুব বাবার জন্মস্থান আমার জানা নেই। কিন্তু প্রায় একশত বছর আগে তিনি নাগের হাটের পাশে একটি বড় বট রয়েছে, সে সেখানে বসে বেশ কিছু দিন কাটিয়েছেন এবং নাগের হাট এলাকার হিন্দু, মুসলিম এবং অন্যান্য সব ধর্মাবলম্বীদের সাথে অনেক ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একদা সে সেখানকার একজন স্থায়ী হয়ে যায়।তার সাথে নাগের হাট এলাকার প্রতিটি মানুষের একটি ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রতিটি ধর্মের মানুষ তাকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন। কুতুব বাবার জন্য এলাকার প্রতিটি মানুষ প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের খাবার নিয়ে আসতেন।
একদা সে এই বট গাছের নিচেই মৃত্যু বরণ করেন। তার মৃত্যু বরণে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ অনেক বেশি কষ্ট পেয়ে যান। কেননা তাকে এলাকার প্রতিটি মানুষ অনেক বেশি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসতেন।সে মারা যাওয়ার পর থেকেই নাগের হাট এলাকার হিন্দু এবং মুসলিম উভয়েই একত্রিত হয়ে প্রতি বছর একটি প্রোগ্রাম করে থাকেন। হিন্দু এবং মুসলিম উভয়েই মিলেমিশে এই প্রোগ্রাম টি সফল করে থাকেন। এটা আসলেই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। যাইহোক, গত দুই দিন আগে কুতুব বাবার দরগাহ শরীফের মাজারে একটি বাৎসরিক প্রোগ্রাম ছিল।তাই আমরা আমাদের গ্ৰামের বেশ কয়েকজন ছেলেরা সহ ঘুরতে গিয়েছিলাম এই কুতুব বাবার দরগাহ শরীফের মাজারে।
আমাদের বাসা থেকে কুতুব বাবার দরগাহ শরীফের মাজারের দুরুত্ব ছিল প্রায় সাত থেকে আট কিলোমিটার। আমরা সকলেই মিলে বাইকে করে গিয়েছিলাম এই মাজারের মধ্যে। আমরা প্রায় প্রতি বছরই এই মাজারের বাৎসরিক প্রোগ্রামের মধ্যে যাওয়ার চেষ্টা করি। যাইহোক, আমরা মাজারের মধ্যে গিয়ে দেখতে পারলাম সেখানে প্রচুর পরিমাণে মানুষের ভীড় জমে গিয়েছে। মাজারের প্রধান পয়েন্ট বট গাছ, আর এই বট গাছ বিভিন্ন ভাবে সাজানো হয়েছে এবং বট গাছের চারদিকে মোমবাতি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।এই এলাকার সর্বস্তরের মানুষ, হিন্দু, মুসলিম এবং অন্যান্য ধর্মের মানুষেরা মোমবাতি কিনে নিয়ে এসে বট গাছের নিচে জ্বালিয়ে দিচ্ছেন। এটা আসলেই দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগছিলো আমার কাছে।
তবে, আমরা তেমন কোন মোমবাতি জ্বালিয়ে দিতে পারিনি, মূলত যাওয়ার সময় মোমবাতি সাথে করে নিয়ে যাইনি। যাইহোক, তবুও আমরা অন্যের মোমবাতি গুলো নিয়ে খেলা করছিলাম। সকলেই মিলে মিশে এতো সুন্দর একটি আয়োজন করে, এটা আসলেই আমাদের জন্য খুবই সুন্দর একটি উপহার। যেদিন এই জায়গার মধ্যে প্রোগ্রাম টি অনুষ্ঠিত হয় , সেদিন নাগের হাট সহ এলাকার আশেপাশের সব জায়গার মধ্যে এক উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয়ে যায়।প্রায় ঈদের মতোই দিন টি কাটে তাদের। প্রতি বছর সেখানে আমাদের দেশের বিভিন্ন ধরনের জায়গা থেকে মানুষ চলে আসে এটি দেখার জন্য। অনেকেই তাদের মনের আশা গুলো পূরণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের জিনিস পত্র কিংবা টাকা মান্নত করে থাকে। সেখানে বেশ কয়েকটি দান বাক্স রয়েছে, সেগুলো এই দিনে একদম পূরণ হয়ে যায়।
আমরা সকলেই মিলে চারদিকে ঘোরাঘুরি করছিলাম। ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালোই লাগছিলো আমার কাছে। আসলে এরকম জায়গায় ঘোরাঘুরি করলে অনেক বেশি ভালো লাগে। ঘোরাঘুরি করার সময় আমার বেশ কয়েকজন প্রাক্তন বন্ধুদের সাথে দেখা হয়ে গেল। তারপর তাদের সাথে বেশ কিছু সময় কাটালাম। দীর্ঘ দিন পর তাদের সাথে ও দেখা হয়ে বেশ ভালো লাগছিলো আমার কাছে।এক সময় আমরা সকলেই একসাথে চলাফেরা করছিল, কিন্তু সময়ের সাথে সব কিছু পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। যাইহোক, এরপর আমরা চলে গেলাম মাহফিলের মঞ্চে। সেখানে গিয়ে দেখতে পারলাম অনেক গুলো মানুষের ভীড়। সেখানে বেশ কিছু সময় কাটিয়ে চলে গেলাম মাহফিলের মেলায়। মাহফিলের মেলায় বেশ কিছু সময় ঘোরাঘুরি করে বাসায় চলে আসি।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দেশে অনেক দরগা ও মাজার শরীফ রয়েছে কিন্তু সবগুলো আমাদের তো দেখা হয় না। যদি এভাবে কোন ব্লগার ভিজিট করে এবং আমাদের দেখার সুযোগ করে দেয় সেই থেকে ধারণা পাওয়া যায়। ঠিক সেভাবে আপনার জন্য দেখার সুযোগ পেলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এরকম দর্গাগুলিতে বছরে মাত্র একবার ওরস হয়ে থাকে। তবে আপনাদের এই দরগাটি দেখতেছি বেশ পুরনো এবং ঐতিহ্য সম্পূর্ণ। কুতুব বাবা তাহলে নাগের হাট এলাকায় ভালোই খ্যাতি অর্জন করেছিলো। যার ফলে সেই এলাকার প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী লোকেরা তাকে ভালোবাসতো। যাইহোক সেখানে বন্ধুদের নিয়ে কাটানো মুহূর্তের একাংশ অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit