লাইফস্টাইল পোস্ট: জরুরি প্রয়োজনে রংপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে একদিন

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে রংপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যাওয়ার গল্প শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

জীবন চলার পথে একজন মানুষ কে বিভিন্ন ধরনের সংগ্রাম করে জীবন পরিচালনা করতে হয়।আর বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে একজন ছেলের জীবন খুব একটা বেশি সহজ হয়ে উঠে না। একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান কে জীবনে প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম করতে হয়।এ বিষয়ে হয়তো আপনারা সকলেই অবগত আছেন। বিশেষ করে যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের মধ্যে জন্মগ্রহণ করে তাদের পুরোটা জীবন হাড়ভাঙা পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে শেষ করতে হয়। তবে, যারা একটু স্বাবলম্বী পরিবারের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেন, তাদের কে তেমন একটা পরিশ্রম করতে হয় না। কেননা, তারা তাদের পরিবার থেকে অনেক বড় ধরনের একটি সাপোর্ট পায়। কিন্তু একজন মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান পরিবারের অনেক ধরনের সাপোর্ট থেকে বঞ্চিত। তারা চাইলে খুব সহজেই তাদের জীবন পরিচালনা করতে পারে না।

আমি এবং আমার এক বন্ধু সহ বেশ কিছু দিন ধরে রংপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে যেতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু সময় সুযোগের অভাবে যাওয়া হচ্ছিল না। যাইহোক, একদিন আমরা হঠাৎ করে বের হয়ে মিঠাপুকুর থানায় কোন এক কাজের জন্য বের হয়ে পড়ি এবং সেখানে গিয়ে আমরা আমাদের সকল ধরনের কাজ সম্পন্ন করি। এরপর আমরা বাসায় আসার জন্য বের হয়ে পড়ি, তখন আমাদের মনের মধ্যে রংপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কথা মনে পড়ে যায়। তখন ভাবলাম ডিরেক্ট মিঠাপুকুর থেকে একেবারে রংপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যাবো।আর মিঠাপুকুর থেকে রংপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দুরুত্ব ছিল খুবই অল্প।প্রায় আট থেকে দশ কিলোমিটার হবে। যেহেতু আমাদের কাছে বাইক ছিল, তাই আমরা আমাদের বাইক নিয়ে রংপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্যেশ্যে রওনা দিলাম।

আর মিঠাপুকুর থেকে রংপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আসার জন্য রাস্তা ছিল অনেক সুন্দর।প্রায় ছয় লেনের রাস্তা। আমরা খুবই সুন্দর ভাবে বাইক রাইডিং করতে পারছিলাম সেদিন।আর বিকাল বেলা এই রোডের মধ্যে একটু কম ভীড় থাকে। আমরা অল্প কিছু সময়ের মধ্যে রংপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে পৌঁছে যাই।আর রংপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র টি রংপুর জেলার পায়রাবন্দ উপজেলায় অবস্থিত। এখানে আসার মূল কারণ হলো, বেশ কিছু দিন পর আমার বন্ধু ইতালি পাড়ি দিবেন।তাই সে চাচ্ছিল যে, বাংলাদেশ থেকে প্রাইভেট কার ড্রাইভিং শিখে ইতালি যাবে।আর যে কোন একটি জিনিসের উপর অভিজ্ঞতা অর্জন করে কোথাও গেলে কিছু টা উপকারী হবে।

আমরা বাইক নিয়ে রংপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে প্রবেশ করলাম। সেখানে গিয়ে দেখতে পারলাম অনেক গুলো ছাত্র ছাত্রী সেখানে ক্লাস করছেন।আর এই জায়গার মধ্যে খুবই সুন্দর ভাবে প্রতিটি প্রশিক্ষণ করানো হয়।আর এরকম প্রতিটি জেলার মধ্যেই একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে একদম বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ নেয়া যায়। যাইহোক, আমরা প্রথমে অফিস কক্ষে প্রবেশ করলাম। সেখানে প্রবেশ করে দেখতে পারলাম অনেকেই ভর্তি হ ওয়ার জন্য এসেছেন। আমরা বেশ কয়েকজন ছেলের সাথে কথা বললাম। তাদের সাথে কথা বলে বেশ ভালো লাগছিলো। তারা সকলেই আমাদের রংপুর জেলার ছিল।

সেদিন একটু বেশি ভীড় ছিল অফিসের মধ্যে। আমরা লাইনের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম বেশ কিছুক্ষণ সময়। বেশ কিছুক্ষণ সময় পরে আমাদের সিরিয়াল চলে আসে। এরপর আমরা আমাদের কার ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের কথা তাদের কাছে থেকে জানতে চাইলাম। তারা খুবই সুন্দর করে আমাদের কে কার ড্রাইভিং এর বিষয়ে বুঝিয়ে বলেন। আমার কাছে তাদের ব্যবহার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। কিন্তু কার ড্রাইভিং এর জন্য মিনিমাম বাইশ বছর বয়স লাগবে।সবে মাত্র আমার বন্ধুর বয়স উনিশ হয়েছে।তাই তার আর সেদিন সেখানে ভর্তি হ ওয়া হয়নি। এখন আমরা সেখান থেকে চলে আসি।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।